somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাননীয় শেখ হাসিনাঃ এটাই কি দিনের শেষ?

১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্হানী চর জিয়াউর রহমানের বিধবা স্ত্রী, হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে বিদেশে পালিয়া থাকা ইন্টারপোলের টপ লিস্টেড আসামী তারেক জিয়ার মা। দুর্নীতি এবং সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচনে জিতে আসা দুইবারের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের সবচেয়ে ধিকৃত এবং ঘৃণিত এই বিধবা, সন্তানহীনা নারীকে দরজা ভেঙ্গে, গ্রিল কেটে পাজাঁকোলা করে বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছে গণতন্ত্রের মানসকণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডঃ শেখ হাসিনার নেতৃত্ব পরিচালিত বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার। আইনের শাসকের ধারক ও বাহক ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কপিরাইটেড মালিক এই দলের এইরকম সাহসী কর্মকান্ডে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের মত আমিও খুশী।

এই ধরণের জনবান্ধব এবং দেশের বাস্তব সমস্যা নির্ভর বিষয়বস্তুর উপর এই জনগণের সরকার এইভাবেই গুরুত্বারোপ করবেন বলে আশা করা যায়।

এই মহতী কর্মকান্ডের কিছু সচিত্র বিবরণ পাওয়া যাবে এইখানে

সাপ্তাহিক জনকথার সম্পাদক ও ষাট দশকের ছাত্রনেতা ইবরাহীম রহমান এর একটি প্রাসঙ্গিক লেখা পড়লাম। তথ্যবহুল হওয়াতে ব্লগে শেয়ার করলাম লেখাটি।

১ টাকা মূল্যে শেখ হাসিনার গণভবন বনাম খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাসভবন

১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় মেয়াদ শেষে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ১ টাকার বিনিময়ে বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ক্যাবিনেটের নিয়মিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়। যার নামে বাড়িটি বরাদ্দ হবে তিনি সেই সভায় সভাপতিত্ব করার ফলে বিষয়টি জনমনে খুবই দৃষ্টিকটু বলে আখ্যায়িত হয়। ক্যাবিনেটের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়ার পর এ ব্যাপারে বাকি আনুষ্ঠানিকতা সমাপ্ত করে যেতে পারেনি আওয়ামী লীগ সরকার। তাদের ধারণা ছিল পরবর্তী সরকারও তারাই গঠন করবে, তখন বাকি আনুষ্ঠানিকতা সমাপ্ত করবে।

পরবর্তী সরকার গঠনে শেখ হাসিনা এত আত্মপ্রত্যয়ী ছিলেন যে, মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ক্ষমতা ছাড়ার কালে গণভবন ত্যাগ করার সময় সব জিনিসপত্র নিজ বাসভবন সুধাসদনে নিয়ে আসেননি। গণভবনের কর্মচারীদের বলা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিরে আসার পর তিনি ওইসব আসবাবপত্র আবার ব্যবহার করবেন। ফলে এগুলো আর টানাটানি করার প্রয়োজন নেই।

কিন্তু মানুষের তীব্র ক্ষোভকে প্রশমিত করার জন্য পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি লতিফুর রহমান গণভবন সংক্রান্ত ওই সিদ্ধান্তটি বাতিল করেন। পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসার সব ধরনের প্রস্তুতির ছক লণ্ডভণ্ড করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ১৭ জন সচিবকে প্রথম রাতেই বদলি করেন প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি লতিফুর রহমান। ১ টাকার বিনিময়ে গণভবন লিজ নেয়ার হঠকারী সিদ্ধান্ত বাতিল ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দ্বিতীয় সাহসী সিদ্ধান্ত। এই দুটি সিদ্ধান্তই জনগণের প্রশংসা অর্জন করে এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে জনগণের মনে আস্থার সৃষ্টি হয়।

১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হন। চক্রান্তকারীদের গুলির আঘাতে জিয়াউর রহমানের দেহ ঝাঁঝরা হয়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতা ও বীভত্সতায় গোটা জাতি হতবাক ও শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে। চক্রান্তকারীরা জিয়াউর রহমানের লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখে। অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর সরকারি উদ্যোগে লাশ ঢাকায় আনা হলে রাজধানীতে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। সংসদ ভবন চত্বরে জানাজার জন্য কফিন আনা হলে জনগণের প্রিয় প্রেসিডেন্টকে শেষবারের মতো একবার দেখার জন্য রাজধানীবাসী সকলেই যেন ছুটে যায় সংসদ ভবন চত্বরে। জানাজা অনুষ্ঠানে শোকার্ত মানুষের ঢল নামে। স্মরণকালের ইতিহাসে কোনো নেতার জানাজা অনুষ্ঠানে এত মানুষের উপস্থিতি এক নজিরবিহীন ঘটনা। বিবিসির ভাষ্য মতে, ওই জানাজায় ২০ লাখ লোক উপস্থিত ছিল। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রাজনীতির সঙ্গে যারা একমত ছিলেন না এমনকি চরম বিরোধিতাকারীদের চোখও অশ্রুসজল হয়ে পড়েছিল।

প্রশ্ন হলো, জিয়াউর রহমানের জানাজায় কেন এত মানুষের ঢল নেমেছিল। ’৭২-৭৫ সালে শেখ মুজিবের দুঃশাসনে মানুষ ছিল অতিষ্ঠ, দিশেহারা। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে দেশকে ধর্মহীন রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল। ৯০% মুসলমানের দেশে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে কিছু দলীয় লোক ও ক্যাডার ব্যতীত বাকি সব লোকই সরকারি পদক্ষেপের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায়। এই দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে জাতিকে মুক্তি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানে মুসলমানদের ঈমান-আকীদার প্রথম সোপান ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংযোজন করেছিলেন তিনি। ধর্মনিরপেক্ষতার স্থলে মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা স্থাপন করেছিলেন। ’৭২-৭৫ সালে গোটা দেশ পরিণত হয়েছিল একটি মৃতপুরীতে। সেখানে প্রেসিডেন্ট জিয়ার সময় দরজা খোলা রেখে মানুষ ঘুমাতে পেরেছে। সুশাসনের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়া মানুষের অন্তরের অন্তস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাছাড়াও তিনি সাধারণ মানুষের বাইরে আলেম সমাজ তথা ওলামা, পীর-মাশায়েখদের প্রিয়পাত্রে পরিণত হন। সব মিলিয়ে দেশের সব স্তরের মানুষের অতি আপনজনে পরিণত হন প্রেসিডেন্ট জিয়া। এহেন একজন সুশাসক এবং গণমানুষের আপনজনকে রাতের অন্ধকারে হত্যা করার ফলে সমগ্র দেশের মানুষ হতবিহ্বল ও শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে।

এমনই এক প্রেক্ষাপটে প্রবীণ জননেতা খান এ সবুর সংসদে দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে তার বিধবা স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও এতিম দুই সন্তান তথা অসহায় পরিবারের জন্য প্রেসিডেন্ট জিয়ার দীর্ঘ দিনের বাসস্থান তথা তার স্মৃতি বিজড়িত মইনুল রোডের বাড়িটি অসহায় পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে দান করার প্রস্তাব করলে সংসদে সব দল অকুণ্ঠ সমর্থন জানায়। একমাত্র বিরোধী দল আওয়ামী লীগও জাতির দুর্দিনে সংসদে প্রস্তাবিত রাষ্ট্রীয়ভাবে দানপত্র প্রদানের এই মহত্ কাজে শরিক হয়েছিল। সংসদের বাইরে সভা-সমিতি টকশো তথা সব গণমাধ্যম সংসদের এই সিদ্ধান্তকে অভিনন্দিত করেছিল। দলমত নির্বিশেষে সব স্তরের মানুষ এই সিদ্ধান্তকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছিল।

কিংবদন্তির সুশাসক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতির উদ্দেশ্যে গোটা জাতির আবেগমথিত ও হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ ক্যান্টনমেন্টের মইনুল রোডের সে বাড়িটি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অসহায় পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্প্রদান করা হয়েছে। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অসহায় পরিবারের নামে বাড়িটি রেজিস্ট্রি দলিল করে দিয়েছে। রেজিস্ট্রি দলিল করার পর কোনো সম্পত্তি ফেরত চাওয়া যায় না। এই বাড়িটি নিতান্তই একটি সরকারি বাড়ি, নয় ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সম্পত্তি। প্রেসিডেন্ট জিয়ার মৃত্যুতে সেই আবেগঘন মুহূর্তে জাতির সঙ্গে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডও একাত্মতা প্রকাশ করে বাড়িটি প্রেসিডেন্টের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে লিজ দলিল রেজিস্ট্রি করে দিয়েছে। এখানে শুধু জাতি নয়, সেনাবাহিনীর সব স্তরের সৈনিকদের আবেগও এর সঙ্গে জড়িত। কারণ সৈনিকরা তার ডাকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বেগম খালেদা জিয়া এই বাড়ির জন্য দরখাস্ত করেননি কিংবা কাউকে মুখেও অনুরোধ করেননি। তাছাড়া বাংলাদেশে একটা রীতি বা কনভেনশন চালু আছে যে, কেউ কোনো বাড়িতে একনাগাড়ে ১২ বছরের অধিক সময় অবস্থান করলে সে বাড়ির মালিকানা স্বত্ব দাবিদার হয়ে যান। আইনেও তা গ্রহণযোগ্য। যা হোক লিজ প্রক্রিয়ায় কোনো ত্রুটি থেকে থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত তা সংশোধন করে নেয়া, বাতিল নয়। বাতিল করার অর্থ হবে সমগ্র জাতির আবেগের অমর্যাদা করা, জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা।

গণভবন না পাওয়ার আক্রোশ বা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার ক্ষেত্র এটা নয়। তাছাড়া গণভবন নিতান্তই সরকারি কাজে ব্যবহৃত একটি সরকারি ভবন, যা শুধু ক্ষমতার জোরে লিখিয়ে নেয়া যায় না, তাও আবার বিতর্কিত পদ্ধতিতে। আদালতের মাধ্যমে লিজ বাতিল করা কোনোভাবেই সরকারের সমীচীন হয়নি। এ বাতিল নোটিশের সঙ্গে শুধু কিছুসংখ্যক আওয়ামী লীগের সমর্থকের বাইরে গোটা জাতির সমর্থন নেই। তাছাড়া এই লিজ দলিলের সঙ্গে দেশের নির্বাচিত পার্লামেন্ট জড়িত, এক কলমের খোঁচায় তা বাতিল করা যায় না। সরকারের এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে দেশের আপামর জনতার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে,যার ফলে আদালতের ভাবমূর্তি ভূলুণ্ঠিত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হতে পারে এবং আদালতের প্রতি মানুষের আস্থার সঙ্কটও সৃষ্টি হতে পারে।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া একজন ব্যক্তি নন, জাতির কর্ণধার, একটি ইনস্টিটিউশন। সেই ইনস্টিটিউশনের উত্তরাধিকারী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া এই বাড়ির জন্য দরখাস্ত কিংবা কাউকে অনুরোধ করেননি। রাষ্ট্র সে সময় অনেকটা দায়বদ্ধতা থেকেই এই বাড়িটি তার পরিবারকে দান করে। রাষ্ট্রীয়ভাবে দান করা বাড়ি ফেরত চাওয়া বা লিজ বাতিল করা বালখিল্যতা ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রতিহিংসা শুধু প্রতিহিংসারই জন্ম দেয়। আওয়ামী লীগ সরকার কোনো চিরস্থায়ী সরকার নয়। আগামী নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এসে অন্য কোনো সরকার ক্ষমতায় আসে তখন যদি শেখ মুজিবের ৩২ নং-এর বাড়ি, শেখ হাসিনার ধানমন্ডি সুদাসদনের লিজ বাতিল করে দেয় তখন কী পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে! কারণ এই দুটি বাড়িই রাজউক (তত্কালীন ডিআইটি) কর্তৃক লিজ দেয়া। আর রাজউক তো সরকারের অধীন একটি সংস্থা। নতুন সরকারের প্ররোচনায় রাজউক এই দুটি বাড়ির লিজ দলিল বাতিল করার অধিকার রাখে।

আইনমন্ত্রী বলেছেন, বাড়িটির মূল্য নাকি ৪০০ কোটি টাকা। ১৯৮০ সালেও একজন প্রখ্যাত আইনজীবী আইনমন্ত্রী ছিলেন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর যে শোকার্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল বর্তমান আইনমন্ত্রী তখন দেশে থাকলে নিশ্চয়ই তা প্রত্যক্ষ করেছেন। সেই আবেগ, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা কি ৪০০ কোটি টাকায় মূল্যায়ন করা যায়? তাছাড়া ওই সময় এ বাড়ির দাম হয়তো দুই/এক কোটি টাকার বেশি ছিল না। ১৯৮০ সালের ৩০ মে’র পর সৃষ্ট জাতির আবেগের কাছে দুই-এক কোটি টাকা একটা তুচ্ছ ব্যাপার নয় কি? শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণ কি টাকায় মূল্যায়ন করা যায়? ঢাকা শহরের জমির দাম জ্যামিতিক হারে বেড়ে গিয়ে বিশাল আকার ধারণ করেছে। দাম যত বৃদ্ধিই হোক আবেগের মূল্যায়নে তা তুচ্ছ।

সরকার বলছে, কোনো ব্যক্তির নামে এত বড় সম্পত্তি দেয়া যায় না। বাংলাদেশে ব্যক্তির নামে বিশাল সম্পত্তি লিজ দেয়ার বহু নজির আছে। মহাখালী-গুলশানের মধ্যস্থানে মাওলানা মান্নানের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত গাউসুল আজম মসজিদ। জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নামে প্রেসিডেন্ট এরশাদ ১ টাকার বিনিময়ে ৮ বিঘা জমি দান করেন। সেখানে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন দ্বীনের নামে প্রতিষ্ঠিত হলেও এটা আসলে মাওলানা মান্নানের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। বরাদ্দকৃত ৮ বিঘা জমির ৫ বিঘা রেজিস্ট্রি করা হয় জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নামে, বাকি ৩ বিঘা রেজিস্ট্রি করা হয় মাওলানা মান্নানের নিজ নামে। জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের টাকায় দৈনিক ইনকিলাব প্রতিষ্ঠিত হলেও দেশবাসী জানে দৈনিক ইনকিলাবের মালিক মাওলানা মান্নান ও তার পরিবার। মহাখালীর গাউসুল আযম মসজিদও মাওলানা মান্নানের কৃতিত্ব। সরকার যে এক টাকা মূল্যে (যার বর্তমান মূল্য ৪০০ কোটি টাকা) ৮ বিঘা জমি দান করেছে এ কথা কেউই স্মরণও করে না। তাছাড়া বর্তমানে দেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার চলছে। মাওলানা মান্নান আওয়ামী লীগের দৃষ্টিতে একজন যুদ্ধাপরাধী। মাওলানা মান্নান বেঁচে থাকলে হয়ত এখন গ্রেফতার এড়াতে পারতেন না। একজন যুদ্ধাপরাধী ব্যক্তির নামে ৮ বিঘা জমিদান কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
জনৈক কলা ব্যবসায়ী ও হারবাল ওষুধ ব্যবসায়ী দেওয়ান সাইদুর রহমানের নামে সাইদাবাদের ব্রাহ্মণচিরণে ৫ বিঘা জমিও ১ টাকায় দান করা হয়েছে বলে শোনা যায়। জনাব দেওয়ান সাইদুর রহমান নিজেও কোনো পীর বলে দাবি করেন না, কাউকে মুরিদও করেন না। সরকারের লিজ দেয়া জমিতে অবস্থান করে তিনি একজন আধ্যাত্মিক সাধক বলে পরিচিত হয়েছেন।

৬০-এর দশকে ভাষা সৈনিক প্রিন্সিপাল আবুল কাশেমের নেতৃত্বে বাংলা ভাষা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। সে সময় এই সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ একমত ছিল না। ভাষা সংস্কার আন্দোলনের পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম ১নং মিরপুরে বাংলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলা কলেজের নামে মিরপুরে বিরাট আকারের জায়গা বরাদ্দ দেয় তত্কালীন সরকার। সেই জমির একটা অংশ (বেশ কয়েক বিঘা) প্রিন্সিপাল আবুল কাসেমের নামে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে বলে শোনা যায়। ব্যক্তিকে জমিদান করার ব্যাপারে আইনমন্ত্রীর যে আপত্তি বা ক্ষোভ তা কি এসব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে? বিষয়টা কি খতিয়ে দেখবেন আইনমন্ত্রী মহোদয়।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:০৩
৬৭টি মন্তব্য ১২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×