বাক্স বন্দী বুদ্ধ। ২৩ ই মে ২০১০। এভারেস্টের চূড়ো
আজ দুপুরের দিকে আশীফ এন্তাজ রবি সচলায়তনের আরিফ জেবতিকের একটি পোষ্টের লিংক দেন মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্টের বিজয়ের ছবি। প্রায় কাছাকাছি সময়ে স্বাধীনতা আমিও একই ধরণের একটি পোষ্ট দেন।
পোষ্ট দুটিতেই পাগলা ভাই মন্তব্য করেন: ফটোশপের কাম করতে এতো দিন লাগে?
প্রসঙ্গত: উল্ল্যেখ্য এই ছবিগুলো (১ টি বাদে) জুন ২০১০ এ করা আমার এই পোষ্টটিতে ছিলো: মুসা ইব্রাহিমের এভারেস্ট সামিটের ছবি ।
এরপর আসা যাক কাজী মামুনের গত কিছুদিনের পোষ্ট বিষয়ে। উনি মুসার সাথে একই দিনে এভারেস্ট সামিট করা Max O'Meara এর কয়েকটি ছবি দিয়ে প্রমাণ করতে চাইছিলেন মুসার ছবিগুলো ভূয়াঁ। ম্যাক্সের বাকী ছবিগুলো দেখার জন্য আমি তাকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাই (একই সময়ে কাজী মামুনকেও, যদি তিনি এখনও আমাকে বন্ধু তালিকা যোগ করার মত যোগ্য ভাবেন নি)।
মুসার সাথে ম্যাক্সের ছবিগুলোর কোনই গরমিল নেই...কারণ ছবিগুলোর আ্যংগেল। বিষয়টা দেখা যাক। প্রথমেই প্রেয়ার ফ্ল্যাগের ডান দিক দিয়ে হেটেঁ যাওয়া ম্যাক্সের ছবি দেখি আমরা।
বামের লালবৃত্তটি ভালো করে লক্ষ্য করে দেখতে হবে। ছবিটির তীর চিহ্ন ফলো করে প্রেয়ার ফ্ল্যাগের স্তুপের উল্টো দিকে বসে ম্যাক্সের দ্বিতীয় ছবিটি এবার দেখা যাক।
বৃত্তের মধ্যে দেখা যাচ্ছে বুদ্ধমূর্তি এবং ডানে প্রেয়ার ফ্ল্যাগের স্তুপ। এই পোষ্টে এই সিরিজের বাকী ছবিগুলো আছে।
এইবার আসা যাক মুসার ছবিটিঃ
ক্লোজআপে দেখলে:
বিষয়টি আরিফ জেবতিক আরো ভালো ব্যাখ্যা করেছেন এইখানে (মন্তব্য ৬৮), নীচের এই ছবি দিয়ে:
মূসাকে নিয়ে যারা বাণিজ্য করতে চাচ্ছেন (পক্ষে বা বিপক্ষে) তাদের কি লাভ আমার জানা নেই, কন্সপিরেসী তত্ত্বের ভালো ক্ষাদক আছে...থাকবেও...কিন্তু মুসাকে নিয়ে জুনের পোষ্টের নীচের কথাটিও এখনও সমভাবে প্রযোজ্য থাকবে।
বির্তক করতে চাইলে অনেক কিছুই বের করা যায়....ছবিগুলো তার সামিট বিজয়কে প্রমাণ করে বলেই আমার ধারণা.....আমাদের জাতিগত পশ্চাৎপদ চিন্তাভাবনা থেকে আমাদের উত্তোরণ প্রয়োজন।
সাথে মেহরাবের ফেসবুক স্ট্যাটাসে করা মন্তব্যটিও।
রবির শেষ পোষ্টের পর এখন যেটা প্রতীয়মান হচ্ছে ২৩ তারিখ যারা সামিট করেছে বলে খবর এসেছে...সেটা বাংলাদেশ, মন্টিনিগ্রো বা অস্ট্রেলিয়ার যে কেউই হোক না কেন...এরা সবাই মিথ্যাবাদী এবং সবাই ঘুষ খাওয়ার মাধ্যমে দুর্নীতি করতে পারে।
এইসবের শেষ যেদিন... হবে সেদিনও লোকজন জানবে মুসাই প্রথম বাংলাদেশী এভারেস্ট বিজয়ী...কিন্তু দুঃখের বিষয় হবে এইসব ত্যানা প্যাচাঁনীদের নাম কেউই মনে রাখবে না