বইঃ রিটার্ন অফ শী
লেখকঃ হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড
অনুবাদকঃ নিয়াজ মোরশেদ
প্রকাশনীঃ সেবা প্রকাশনী
“আমি মরবোনা,আমি আবার আসব,
অন্তত আর একবার আমি সুন্দর হবো,
শপথ করে বলছি!”
মৃত্যুর আগ মুহূর্তে এ কথা গুলোই বলে গিয়েছিল আয়েশা।এর পর কেটে গিয়েছে ২০ টি বছর; ভয়ানক, হৃদয় ক্ষতবিক্ষত করা ২০ টি বছর।কিন্তু এখন পর্যন্ত তো দেখা হলোনা আয়েশার সাথে!
হঠাৎ একদিন লিও স্বপ্ন দেখলো আয়েশা তাকে সংকেত দিচ্ছে সে কোথায় আছে।আর তাতেই সে পাগলের মত হয়ে গেল। যত কষ্টই হোক, যাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ লিও। এ ব্যাপারে লিওর বাবা প্রথমে কিছুটা অমত করলেও শেষে রাজি হয় লিওর সাথে যাওয়ার। এতদিন একসাথে থেকে আজ তাকে একা ছেড়ে দিতে পারেনা বি-পিতা হোরেস হলি।
দুর্গম পর্বতমালা, দুস্তর মরুভূমি পেরিয়ে আয়েশার খোজে এশিয়ার পথে রওনা হল লিও ও হলি।লিওর বিশ্বাস আয়েশা এশিয়ার কোন এক বরফ ঘেরা উপত্যকাতে আছে, শাসন করছে অজানা কোন এক রাজ্য।
খোঁজে বেরিয়েছে ১৬ টি বছর কিন্তু কই আয়েশার সেই স্বপ্নে দেখানো উপত্যকা?
হেটে হেটে,না খেয়ে এক সময় দুজনের মরার উপক্রম হল।আর তখনই যেন ভাগ্য দেবতা হাত বাড়িয়ে দিলেন!তারা খুজে পেল একটি পৌরাণিক মঠ।সেখানে থাকা সাধুদের সাহায্যে সুস্থ হয়ে উঠলো দুজন।তাদের ভ্রমন যাত্রার উদ্দেশ্য শুনে এক সাধু বলল, এমন এক উপত্যকা আছে, কিন্তু সেখানে যাওয়া মোটেও সহজ নয়।
কিন্তু জীবনের রহস্য অনুসন্ধান আর ভালোবাসার টানে যারা বেরিয়েছে, তারা কি কোন বাধা মানবে!
অবশেষে পাওয়া গেল সেই উপত্যকার খোজ আর সেখানে এবার তাদের প্রান বাঁচালো আতেন খানিয়া নামে এক রানী। সেই খানিয়া বিশ্বাস করে লিও তার স্বপ্নে দেখা রাজপুত্র! সে কিছুতেই লিওকে আয়েশার কাছে যেতে দিবেনা। লিওকে আতেন খানিয়া তার কাছে আটকে রাখবে যেকোন কিছুর বিনিময়ে। আর লিও সেটা ভাল করেই জানে খানিয়া তাকে ভালবাসে সে কিছুতেই তাকে যেতে দিবেনা আয়শার কাছে। কিন্তু লিওর যে যেতেই হবে সেই ভয়াল অগ্নি-পর্বতে।
অবশেষে একদিন পালিয়ে গেল খানিয়ার কালুন রাজ্য থেকে। আয়েশার সাথে দেখা করার আশায় সেই অগ্নি পর্বতের দিকে।
শেষ পর্যন্ত কি সত্যিই আয়েশার দেখা পেয়েছিল লিও? কিংবা পূর্বজন্মে খানিয়ার সাথে কি সম্পর্ক ছিল লিওর?
কিংবা শেষ পর্যন্ত কি পরিনতি হয়েছিল লিওর?
জানতে হলে হ্যাগার্ডের এই অমর বইটি পড়ার আমন্ত্রন রইল!
এই সিরিজ এর প্রথম বই "শী" এর রিভিউ পড়ার জন্য - Click This Link
হ্যাপি রিডিং!
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৭