somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারত ভ্রমনের পূর্ব প্রস্তুতি ও পরবর্তী কার্যঃঃ(২)

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশীরা সাধারণত বর্ডার ক্রস করে দুপুর ১২্টার আগ্ পর্যন্ত। আর ইন্ডিয়া থেকে আগতরা বর্ডার ক্রস করে ১২টার পর। যদিও সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫-৬টা পর্যন্ত বর্ডার ক্রস করা যায়। গাড়ীতেই সুপারভাইজার যাত্রীদের সমস্থ পাসপোর্ট সংগ্রহ করে ফেলে। এক্ষেত্রে আপনাকে পাসপোর্টের সাথে ভ্রমন কর বাবদ ৫০০/-টাকা সোনালী ব্যংকে জমা দেওয়ার জন্য দিতে হবে। আর আপনি যদি চাকরীজীবি হোন তো অবশ্যই ছুটির দরখাস্থের ফটোকপি সাথে রাখবেন। নাহলে বাংলাদেশ কাষ্টমস্ বেহুদা টাকা দাবী করে বসে। বেনাপোল পৌঁছানোর পর আপনাকে ঘন্টাখানেক বাস কাউন্টারগুলোতে অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশ সাইডে। এই ফাকে ১২/১৪ঘন্টার জার্নির পর ফ্রেশ হওয়া, প্রাকৃতিক কর্ম সারা, ব্র্যকফাস্ট, হাটাহাটি করে পায়ের জড়তা দুর করা, মোবাইল, লেপটপ চার্জ করে নেওয়া, আর বোনাস হিসাবে সকালের বিশুদ্ধ হাওয়া একেবারেই ফ্রি পাবেন। গাড়ীর সুপারভাইজার আপনাকে বলতে পারে যে বাংলা টাকা আপনার সাথে রাখা যাবেনা, ওপারে নেওয়া যাবেনা ইত্যাদি। তবে আমার জানামতে বাই রোডে যাওয়ার সময় পাসপোর্ট প্রতি ৫০০০ টাকা রাখা যায় আপনার ফেরত আসার গাড়ী ভাড়া হিসাবে। আর একটা কথা হলো আপনাকে কোন বিষয়ে কোথাও আটকালে তাদের সত্যি ব্যপার যুক্তিসহকারে বুঝিয়ে বলবেন। এতে আপনার অবশ্যই সুবিধা হবে যেহেতু আপনি বৈধভাবেই বর্ডার ক্রস করছেন এবং আপনার সাথেও অবৈধ কিছু নেই। বাসকাউন্টারে অবশ্যই আপনার পোশাকের সামনের অংশে ঐ বাস কোম্পানির একটি ষ্টিকার লাগিয়ে নিবেন। কারন বর্ডার ক্রস করার সময় এটার কারিশমাই আলাদা। এটা দ্বারা আপনার গাড়ীর লোকেরা আপনাকে এপারে এবং ওপারে চিনে নিবে এবং আপনাকে প্রয়োজনীয় সব হেল্প এবং টিপস্ দিবে। আপনার পাসপোর্ট, ডলার এনডোর্সমেন্ট কপি ও ছুটির কাগজ সহ আপনার হাতে রাখুন এবং একটি কলমও রাখবেন। লাগেজ-ব্যগেজ আপনার আগে আগেই বাসের পোর্টাররা নিয়ে যাবে, তাই ওগুলো নিয়ে ভাববার কোন কারন থাকেনা। তবে আপনার চোখের সামনে থাকতে হবে।কারন পাসর্পোট এবং তার হোল্ডার ছাড়া বাংলাদেশ বা ভারত কর্তৃপক্ষ একটি সুতাও পার হতে দেইনা। সো নো টেনশন। তারপর বাংলাদেশ কাষ্টমস এ গেলে গাড়ীর লোকেরা আপনার থেকে পাসপোর্ট টাকা নিয়ে আপনার ভ্রমন কর জমা করিয়ে দিয়ে আপনাকে পাসিং লাইনে দাড় করিয়ে দিবে। এরপর কাষ্টমস্ এর লোক আপনাকে এপ্রোভ করে দিল । তারপর ইমিগ্রেশন পুলিশ আপনার ছবি তুলে ডিপারচার সিল দিয়ে দিল। পাসপোর্ট হাতে নিয়ে আপনার ব্যগ যেই কুলির হাতে থাকবে তার পিছন পিছন বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে যাবেন। যাওয়ার সময় কুলিদের যোগসাজশে বাংলাদেশ কাষ্টমস আপনার কাছে টাকা চাইলেও ১টাকা ও দিতে হবেনা। ওদের বলুন আপনার ব্যাগ চেক করার জন্য। তাহলে ওরা ব্যাগ চেক না করে চলে যেতে বলে। এবার গেট পেরোলে পাবেন নো-ম্যন্স ল্যান্ড। এখানে বাংলাদেশ কুলি আপনাদের ভারতীয় কুলিদের নিকট হ্যন্ডওভার করে দিবে। কুলিকে কিছু বকশিশ দিন। এরপর আপনার দায়িত্ব থাকবে ভারতীয় কুলিদের হাতে। তার পিছু পিছু যেতে থাকেন। সে আপনাকে ১০০% হেল্প করবে। এবার প্রথমে ইন্ডিয়ান ইমিগ্রেশন পুলিশ তার কাস্টমস্। এখানেও একই। আপনার লাগেজ এ কি আছে, সাথে কে আছে, বি.সি.আই.সি. আছে কিনা ইত্যাদি। আপনি যেহেতু বৈধ তাই আপনার সাথে অবৈধ কিছু থাকার প্রশ্নই আসেনা। এবার আপনার ডিটেইলস্ একটি ফরম এ লিখতে হয়। সেটাও আপনার গাড়ীর লোকেরা করে দিবে এবং কোন টাকা দিতে হবেনা। এবার ঐ ফরম আপনার পাসপোর্টের ভিতর ডুকিয়ে ইন্ডিয়ান কাষ্টমস্ এর সামনে দাড়াবেন। তারা আপনার নাম জিজ্ঞেস করবে এবং ছবি তুলবে। আপনার পাসপোর্টে এরাইভাল সিল দিয়ে দিবে। ব্যাস, আপনার অফিসিয়াল কাজ শেষ। আপনার পোর্টার আপনাকে ভারতের সাইডে গাড়ীর কাউন্টার পর্যন্ত পৌঁছে দিবে। দেখবেন আপনার জন্য আপনার গাড়ী অপেক্ষায় আছে।

আরো আছে অনেক অনেক গল্প......
তবে আপনারা চাইলে শুধু লিখব..

পর্ব ১
Click This Link

সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সত্যি বলছি, চাইবো না

লিখেছেন নওরিন হোসেন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৮



সত্যি বলছি, এভাবে আর চাইবো না।
ধূসর মরুর বুকের তপ্ত বালির শপথ ,
বালির গভীরে অবহেলায় লুকানো মৃত পথিকের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কি 'কিংস পার্টি' গঠনের চেষ্টা করছেন ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১০


শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামক সংগঠন টি রাজনৈতিক দল গঠন করবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্থান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্থান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×