বাংলাদেশীরা সাধারণত বর্ডার ক্রস করে দুপুর ১২্টার আগ্ পর্যন্ত। আর ইন্ডিয়া থেকে আগতরা বর্ডার ক্রস করে ১২টার পর। যদিও সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫-৬টা পর্যন্ত বর্ডার ক্রস করা যায়। গাড়ীতেই সুপারভাইজার যাত্রীদের সমস্থ পাসপোর্ট সংগ্রহ করে ফেলে। এক্ষেত্রে আপনাকে পাসপোর্টের সাথে ভ্রমন কর বাবদ ৫০০/-টাকা সোনালী ব্যংকে জমা দেওয়ার জন্য দিতে হবে। আর আপনি যদি চাকরীজীবি হোন তো অবশ্যই ছুটির দরখাস্থের ফটোকপি সাথে রাখবেন। নাহলে বাংলাদেশ কাষ্টমস্ বেহুদা টাকা দাবী করে বসে। বেনাপোল পৌঁছানোর পর আপনাকে ঘন্টাখানেক বাস কাউন্টারগুলোতে অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশ সাইডে। এই ফাকে ১২/১৪ঘন্টার জার্নির পর ফ্রেশ হওয়া, প্রাকৃতিক কর্ম সারা, ব্র্যকফাস্ট, হাটাহাটি করে পায়ের জড়তা দুর করা, মোবাইল, লেপটপ চার্জ করে নেওয়া, আর বোনাস হিসাবে সকালের বিশুদ্ধ হাওয়া একেবারেই ফ্রি পাবেন। গাড়ীর সুপারভাইজার আপনাকে বলতে পারে যে বাংলা টাকা আপনার সাথে রাখা যাবেনা, ওপারে নেওয়া যাবেনা ইত্যাদি। তবে আমার জানামতে বাই রোডে যাওয়ার সময় পাসপোর্ট প্রতি ৫০০০ টাকা রাখা যায় আপনার ফেরত আসার গাড়ী ভাড়া হিসাবে। আর একটা কথা হলো আপনাকে কোন বিষয়ে কোথাও আটকালে তাদের সত্যি ব্যপার যুক্তিসহকারে বুঝিয়ে বলবেন। এতে আপনার অবশ্যই সুবিধা হবে যেহেতু আপনি বৈধভাবেই বর্ডার ক্রস করছেন এবং আপনার সাথেও অবৈধ কিছু নেই। বাসকাউন্টারে অবশ্যই আপনার পোশাকের সামনের অংশে ঐ বাস কোম্পানির একটি ষ্টিকার লাগিয়ে নিবেন। কারন বর্ডার ক্রস করার সময় এটার কারিশমাই আলাদা। এটা দ্বারা আপনার গাড়ীর লোকেরা আপনাকে এপারে এবং ওপারে চিনে নিবে এবং আপনাকে প্রয়োজনীয় সব হেল্প এবং টিপস্ দিবে। আপনার পাসপোর্ট, ডলার এনডোর্সমেন্ট কপি ও ছুটির কাগজ সহ আপনার হাতে রাখুন এবং একটি কলমও রাখবেন। লাগেজ-ব্যগেজ আপনার আগে আগেই বাসের পোর্টাররা নিয়ে যাবে, তাই ওগুলো নিয়ে ভাববার কোন কারন থাকেনা। তবে আপনার চোখের সামনে থাকতে হবে।কারন পাসর্পোট এবং তার হোল্ডার ছাড়া বাংলাদেশ বা ভারত কর্তৃপক্ষ একটি সুতাও পার হতে দেইনা। সো নো টেনশন। তারপর বাংলাদেশ কাষ্টমস এ গেলে গাড়ীর লোকেরা আপনার থেকে পাসপোর্ট টাকা নিয়ে আপনার ভ্রমন কর জমা করিয়ে দিয়ে আপনাকে পাসিং লাইনে দাড় করিয়ে দিবে। এরপর কাষ্টমস্ এর লোক আপনাকে এপ্রোভ করে দিল । তারপর ইমিগ্রেশন পুলিশ আপনার ছবি তুলে ডিপারচার সিল দিয়ে দিল। পাসপোর্ট হাতে নিয়ে আপনার ব্যগ যেই কুলির হাতে থাকবে তার পিছন পিছন বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে যাবেন। যাওয়ার সময় কুলিদের যোগসাজশে বাংলাদেশ কাষ্টমস আপনার কাছে টাকা চাইলেও ১টাকা ও দিতে হবেনা। ওদের বলুন আপনার ব্যাগ চেক করার জন্য। তাহলে ওরা ব্যাগ চেক না করে চলে যেতে বলে। এবার গেট পেরোলে পাবেন নো-ম্যন্স ল্যান্ড। এখানে বাংলাদেশ কুলি আপনাদের ভারতীয় কুলিদের নিকট হ্যন্ডওভার করে দিবে। কুলিকে কিছু বকশিশ দিন। এরপর আপনার দায়িত্ব থাকবে ভারতীয় কুলিদের হাতে। তার পিছু পিছু যেতে থাকেন। সে আপনাকে ১০০% হেল্প করবে। এবার প্রথমে ইন্ডিয়ান ইমিগ্রেশন পুলিশ তার কাস্টমস্। এখানেও একই। আপনার লাগেজ এ কি আছে, সাথে কে আছে, বি.সি.আই.সি. আছে কিনা ইত্যাদি। আপনি যেহেতু বৈধ তাই আপনার সাথে অবৈধ কিছু থাকার প্রশ্নই আসেনা। এবার আপনার ডিটেইলস্ একটি ফরম এ লিখতে হয়। সেটাও আপনার গাড়ীর লোকেরা করে দিবে এবং কোন টাকা দিতে হবেনা। এবার ঐ ফরম আপনার পাসপোর্টের ভিতর ডুকিয়ে ইন্ডিয়ান কাষ্টমস্ এর সামনে দাড়াবেন। তারা আপনার নাম জিজ্ঞেস করবে এবং ছবি তুলবে। আপনার পাসপোর্টে এরাইভাল সিল দিয়ে দিবে। ব্যাস, আপনার অফিসিয়াল কাজ শেষ। আপনার পোর্টার আপনাকে ভারতের সাইডে গাড়ীর কাউন্টার পর্যন্ত পৌঁছে দিবে। দেখবেন আপনার জন্য আপনার গাড়ী অপেক্ষায় আছে।
আরো আছে অনেক অনেক গল্প......
তবে আপনারা চাইলে শুধু লিখব..
পর্ব ১
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪