অনেক পাঠকই বলেছেন যে, আমরা যারা ভ্রমনে যাই তারা ভ্রমন গল্প বললেও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বলি না। এই পোষ্টটা শুধু তাদের জন্য যারা ভ্রমনে আগ্রহী তাদের যাতে সুবিধা হয়।
প্রথমত আপনি যদি ভারতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন এবং আপনার যদি পাসপোর্ট রেডি থাকে তবে অবশ্যই আপনি একটি নিদ্ধিষ্ট মাস বা তারিখ ফিক্সড করেছেন কবে রওনা হবেন তার জন্য । এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই নুন্যতম ৩ মাস পূর্বে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। কেননা এখন ভারতীয় ই-টোকেন পাওয়ার চেয়ে সোনার হরিণ পাওয়া অনেক সহজ। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ৫টি পাসপোর্ট দিয়েছিলাম এপ্লাই করার জন্য। প্রথমত আমি নিজে নেটে বসেছিলাম পাক্কা ১ সপ্তাহ। তার মধ্যে রবি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভিসা ফরম ফিলাপ করার পর শুধু মাত্র তারিখ পেতে অবিরাম ৫দিন ট্রাই করে গেলাম। তারপর এলো শুক্র এবং শনিবার। এই দুদিন বাসাতেই থাকি। তাই বাসাতেই ট্রাই করলাম। কিন্তু ব্যর্থ হলাম। তারপর বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি, মানি এক্সচেজ্ঞ কোম্পানি এমনকি রাস্তার সাধারণ কম্পোজিংএর দোকান পর্যন্ত ঢু মারার পর ৩টি পেলাম নভেম্বর ২০তারিখ, একটি পেলাম ডিসেম্বর ২৮তারিখ এবং অপরটি পেলাম জানুয়ারি ১৮তারিখ। এবং তা আলাদা আলাদা ৩টি প্রতিষ্টান থেকে এবং অনেক কাটখড় পুড়িয়ে, প্রায় ২মাস প্রতিদিন ফোন করে করে এবং অশেষ যন্ত্রনার বিনিময়ে আমি ৫টি তারিখ পেয়েছিলাম।
তারউপর অপারেটর ডাটা এন্ট্রি করার সময় ১টি পাসপোর্টে স্থায়ী ঠিকানা - বর্তমান ঠিকানা একই রকম দিয়ে ফেলেছিল। আমার সামান্য পরিচিত একজনের আবেদন এই কারনেই রিফিউজ করে দেয় এম্বেসি। কিন্তু এক্ষেত্রে আমার কপাল টা অনেক ভালো । তারা শুধু ঐঠিকানার ইলেক্ট্রিক বিল চেয়ে এবং তা পেয়ে এপ্রোভ করেছিল।
তাই বলছি আপনার যদি ফিক্সড কোনো ডেইট থাকে তো অবশ্যই হাতে সময় নিয়ে ট্রাই করবেন । কপাল ভালো থাকলেতো ভালো না হয় অনেক হয়রানি হতে হবে। ও হ্যাঁ, ভারত সরকারের এই নিয়মটা শুধুমাত্র টুরিষ্ট ভিসার আবেদনকারীদের জন্য প্রযোজ্য। অর্থাৎ আপনি যদি অন্য কোন ক্যটাগরিতে এপ্লাই করেন তো আপনাকে এই ঝামেলায় পড়তে হবেনা। বিশেষত যদি মেডিকেল ভিসা চান তো ডাইরেক্ট তাদের এমবেসিতে চলে গেলে হবে। তবে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র থাকতে হবে এক্ষেত্রে।
যাই হোক, ভিসা পেলেন তো অর্ধেক বাজি মাত হয়ে গেল। এবার ভাল দিনক্ষন দেখে বেড়িয়ে পড়ুন। আমি যতবার গিয়েছিলাম গাড়ীতেই গিয়েছি। তাই আমার এ/সি এবং নন এ/সি উভয়েরই ভাল অভিজ্ঞতা আছে। বর্তমানে এ/সি. ২৫০০ এবং নন এ/সি. ১০০০ এর ভিতর পাওয়া যায় । ও হ্যাঁ, তা অবশ্যই চিটাগং থেকে কোলকাতা নিউ মার্কেট পর্যন্ত। তাই ঢাকা থেকে কত জানি না। এর ভিতর বাস কোম্পানী বর্ডার ক্রস, ইমিগ্রেশন ইত্যাদি ইত্যাদি হরেক রকম বিষয়ে সাহা্য্য করে। এবং তা অবশ্যই তা বিনামূ্ল্যে নয়। আপনার টিকেটে ওদের ৮৫ টাকা সার্ভিস চার্জ এর নামে যুক্ত থাকে। তবে এর বিপরীতে যে হেল্পটা করে তার বিনিময়ে ৫০০ টাকা দিলেও কম হয়। কেননা আপনি শুধু ওদের পেছন পেছন হাটলেই হলো। আপনাকে বর্ডার, ইমিগ্রেশন, কাষ্টমস্, পাসপোর্ট ইত্যাদি নিয়ে আর কোন চিন্তা না করলেই চলবে। আর বাসা থেকে রওনা হওয়ার সময় সাথে হালকা কিছু স্ন্যকস্ নিয়ে গেলে ভাল হয়। কারন চিটাগাং থেকে রওনা হলে এক চৌদ্দগ্রাম ও ঢাকার পর ফেরী ছাড়া আর কোথাও গাড়ী থামেনা। তাই খাওয়ার সুযোগ ও এই ২জায়গা ছাড়া আর কোথাও নেই।
আরো আছে অ--নে--ক কথা। তবে আরেক দিন বলবো যদি আপনারা চান তবেই...
পর্ব -২
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২২