প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি শুভার্থীদের মন্তব্যের জন্য। আর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি শুভ নববর্ষের। একজন পাঠক মন্তব্য করেছেন আজকাল ফেইসবুকের ষ্ট্যটাসও এর চেয়ে বড় হয়, আর আমার ব্লগ এর পার্ট গুলো এত ছোট কেন? প্রকৃতপক্ষে আমার টাইপিং স্পিড খুবই স্লো। তাই এই সমস্যা। এতটুকু লিখতেই অনেক্ষন ধৈর্য্য ধরতে হয়। নিশ্চয় ব্যপারটা ক্ষমা করবেন।
ভেলোরের সি.এম.সি হসপিটাল এর প্রেসকাইব করা ওষুধগুলো অবশ্যই হসপিটাল থেকে সংগ্রহ করা উচিৎ। কারণ এতে বাইরের চেয়ে অনেক কমমূল্যে ওষুধ পাওয়া যায়। আর এমনিতেই ল্যব ট্যষ্ট, মেডিসিন, ডক্টরস্ ফি এমনকি ক্যান্টিনের চা-কফি-স্ন্যকস্ পর্যন্ত বাইরের চেয়ে মানে উন্নত এবং দামে সস্তা এবং অবশ্যই অবশ্যই স্বাস্থ্য সম্মত।
তাই আমার মতে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তের যারা জটিল কোন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন একটু কষ্ট করে হলেও ভেলোরে যেতে পারলে বাকিটা উপরউয়ালার ছেড়ে দেয়া উচিৎ। কারন ওখানের চিকিৎসা অনেক উন্নত এবং ডাক্তাররাও হেলফ ফুল।
আর ভেলোরে গেলে দেখার মতো আছে ঐতিহাসিক ভেলোর ফোর্ট, অপূর্ব কারুকার্যের নিদর্শন-পবিত্র গোল্ডেন টেম্পল ইত্যাদি। আর হাসপাতালের সাথে লাগানো সেই বিশাল উচু পাহাড় তো রয়েছেই যার উচ্চতা কোনক্রমেই ৩০০ ফিট এর কম নয়। এটা নাকি সেই কাটপাডি ষ্টেশন থেকেই দেখা যায়, যদিও আমি দেখার চেষ্টা করিনি।
আর চেন্নাইয়ের বিখ্যাত সাউথ ইন্ডিয়ান সিল্ক এবং জর্জেট নিঃসন্দেহে ৫০% কমে পাওয়া যায় ।
আর মন ভরে ফলার খেতে চাইলে ও ভেলোরের তুলনা হয়না। আপেল, আনার, আঙ্গুর, কলা, কমলা কো্নটারই কেজি ১০০ টাকার উপরে নয়।
তবে সবজির বাজারিদের সাথে সাবধান। তাদের মুখের ভাষা যেমন কর্কশ তেমনি তারা ঠকানোর তালে থাকে।
আর মনে রাখতে হবে বেশিদিনের জন্য গেলে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা নিজেদের সাথে থাকলেই ভালো, কারন বাঙ্গালি অর্থাৎ পশ্চিম বঙ্গের হোটেল না হলে কিন্তু মাদ্রাজীদের চা ও খাওয়া যায়না। কারন তারা সবকিছুতেই বিশেষ একধরনের পাতা ব্যবহার করে যার গন্ধ নাকে লাগলেই বমি এসে যায়। আর তারা এই পাতাটা ব্যবহার করে অনেকটা আমাদের ধনে পাতার মতো সব তরকারিতে সবসময়।