ধর্মীয় অনুভূতি বড় বেশী অনুভূতিপ্রবন ও স্পর্ষকাতর, একটুখানি ষ্পর্ষে তা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তারমানে ধর্মীয় অনুভূতি সদা-সর্বদা আগলে রাখার মতোন একটি বিষয় এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত পাইলে তার প্রতিক্রিয়ায় অন্য ধর্মের মানুষ হত্যা, তার উপাসনালয় ভেঙ্গে দেওয়া, পুড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে, যদিও অদৃশ্য ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাতের চেয়ে এর উপরের আঘাতের প্রতিক্রিয়া অনেক বেশী দৃশ্যমান হয়। বাংলাদেশের মুসলিমের ধর্মীয় অনুভূতি কচুর পাতার উপ্রের পানির মতোন সর্বদা টলোমলো, একটুখানি মৃদু মলয়ে তা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে পড়ে যায়। এতো বেশী ছিঁচকাঁদুনে ধর্মীয় অনুভূতি তবুও বাঙাল মুসলিম যত্নে রাখেনা। যে অনুভূতি এতো বেশী ঠুনকো, তাকে শক্ত আবরনী দিয়ে ঢেকে ঢুকে রাখা উচিৎ, স্পর্শকাতর ও ছিঁচকাঁদুনে এই ধর্মীয় অনুভূতি কথায় কথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়, আহত হয় কিন্তু এইটা অমর, এর মৃত্যু নেই তাই কখনো তা নিহত হয়না। বাঙাল মুসলিমের ধর্মে অন্যান্য সকল অনুষঙ্গের চেয়ে বাঙাল মুসলমান তার ধর্মীয় অনুভূতির চর্চা সর্বাধিক গুরুত্ব সহকারে করে থাকে। তাইতো ইসলাম পছন্দ জনগনের এই রাষ্ট্রে অনৈসলামিক দূর্নীতি ও অন্যান্য অসঙ্গতি ব্যাপকভাবে গ্রহনীয়। বাঙাল মুসলিমের ধর্ম তাই ওহাবী-হানাফী-শিয়া-সুন্নী-মওদুদী কোন বিশেষ ইসলাম নয়, বাঙাল মুসলিমের ইসলাম ধর্ম হইতেছে অনুভূতির ধর্ম, তাই তারা অনুভূতির ধর্ম পালন করে, এই অনুভূতি রাজনৈতিক কারনেও ক্ষেত্র বিশেষে চ্যাগান দেয় ও ক্ষেত্র বিশেষে ঘুমায়।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩০