সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেল কীভাবে জানলেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকই পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হবেন? বর্তমান প্রধান বিচারপতি অবসরে যাবেন আগামী মে মাসে। তার পরের অবস্থানে রয়েছেন বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান। তিনি অবসরে যাবেন আগামী ডিসেম্বর মাসে। নিয়ম অনুযায়ী বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান প্রধান বিচারপতি হলে তিনিই হবেন পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান। অথচ অ্যাটর্নি জেনারেল আগে থেকেই বলে দিলেন পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
গতকাল সুপ্রিমকোর্টে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে প্রথিতযশা এ আইনজীবী আরও বলেন, অতীতে অ্যাটর্নি জেনারেল এসেছেন এবং গেছেন; কিন্তু বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেলের ভূমিকা বিচার বিভাগের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। তার কথা ও আচরণে মনে হচ্ছে তিনিই প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করে থাকেন। কে প্রধান বিচারপতি হবেন আর কে হবেন না এটা ঠিক করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। বিচার বিভাগের জন্য এটা অশনি সংকেত ছাড়া আর কিছুই নয়। অ্যাটর্নি জেনারেলের এ ধরনের ন্যক্কারজনক ভূমিকা আমার দীর্ঘ ওকালতি জীবনে আর দেখিনি।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক যাতে আগামী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা না হতে পারেন, সেজন্যই জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা তাকে নিয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করছেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের এ বক্তব্যে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি উক্ত মন্তব্য করেন। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বেগম খালেদা জিয়া তার সেনানিবাসের বাড়ি ফিরে পাওয়ার সুযোগ আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেন, সরকার পরিবর্তন হলে অনেক কিছুই সম্ভব। এখনও তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমান সরকার আদালত ও বিচার বিভাগকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তাদের নেতাদের নামে দায়ের করা হাজার হাজার মামলা বাতিল করছে। এটা বিচার বিভাগ ও দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। বর্তমানে আদালতের ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য চাওয়া হলে তিনি বলেন, আদালত সম্পর্কে আর কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আদালতের অবস্থান এমনিতেই অনেক নিচে নেমে গেছে। এটাকে আর নিচে নামাতে চাই না।