বাচ্চাদের স্কুলে অভিবাবকদের মিটিং ছিল। প্রতি বছরই ছাত্রদের ও স্কুলের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে এই মিটিং হয়। তবে এ বছর মিটিংটা একটু অন্যরকম ছিল আর তার কারণ একটাই যে, স্কুলের হেড মাষ্টার নতুন এসেছেন তাই বলতে গেলে অনেক কিছুই আর আগের মত নেই। কোরান তেলাওয়াতের পর হেড মাষ্টারের সাথে আগত নতুন এ্যাসিস্ট্যানড স্যার সবার প্রথম মঞ্চে হাজির হলেন এবং প্রায় ৪৫-৫০ মিনিট ধরে সন্তানদের লালন পালন ও আমাদের কর্তব্যর উপরে একটা লম্বা বক্তব্য দিলেন। কথা প্রসঙ্গে উদাহরণস্বরূপ তিনি দুটি হাদীস উল্লেখ করেছেন যা আমার খুব ভাল লেগেছে। যার একটি আমাদের সম্মান এবং ব্যক্তিত্বকে মর্যাদা দেয় এবং অপরটি আমাদের মুসলমানদের জন্য লজ্জাকর। কেননা যা আমাদের শেখা উচিৎ তা শত্রুরা করছে।
১। যদি কোন লোক তার ব্যক্তিত্বকে রক্ষা করতে চায় তিনটি কাজে তার খুব খেয়াল রাখা উচিৎ।
ক) একাকিত্বে নিজের চিন্তাভাবনার উপর খেয়াল রাখা; (চিন্তার কন্ট্রোল)
খ) যখন বাইরে থাকবে নিজের কথাবার্তার প্রতি খেয়াল রাখা; (মুখের কন্ট্রোল)
গ) যখন ঘরে থাকবে আচার ব্যবহারের প্রতি খেয়াল রাখা; (করণীয় কাজের কন্ট্রোল)।
২। তিনটি বিষয় যা নবী করিম (সা.) মুসলমানদেরকে সুপারিশ করেছেন যে, নিজেদের সন্তানদের তা শিক্ষা দাও কিন্তু তারা প্রায় ভুলে গেছে আর যায়নবাদী ইসরাইলিরা সেটাকে স্কুলে প্রায় বাধ্যতামূলক করেছে।
ক) সাঁতার কাটা;
খ) তীর বা অস্ত্র চালনা;
গ) ঘোড়া চালানো।