আপনি কি জানেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জীবনের সেই অজানা অধ্যায়গুলো যেগুলো তাকে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে? এ দেশের বেশিরভাগ লোকই জানেন না কে এই প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস! তিনি টাইম ম্যাগাজিনের "ষাট বছরের এশিয়ার নায়ক" তালিকায় শীর্ষ ব্যবসায়িক নেতাদের একজন, এবং ওয়ার্টন স্কুল অব বিজনেসের মতে গত পঁচিশ বছরের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। বাংলার ইতিহাসে গত ৯০ বছরে জন্ম নেওয়া গ্লোবাল সেলিব্রেটি হলেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বর্তমানে বিশ্বের লিডিং ইন্টেলেকচুয়ালদের তালিকায় শীর্ষ ১০-এর মধ্যে রয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পৃথিবীতে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার নোবেল, সেটা তো নিশ্চয়ই জানেন। ২য় সম্মানসূচক পুরস্কার মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যাওয়ার্ড এবং ৩য় সম্মানসূচক পুরস্কারের নাম মার্কিন কংগ্রেশনাল অ্যাওয়ার্ড।
পৃথিবীর ইতিহাসে উপরের ৩টি পুরস্কারই জিতেছেন এমন মানুষ আছেন বা ছিলেন মাত্র ১২ জন!
আর সেই ১২ জনের একজন হলেন চট্টগ্রামের ছেলে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বিশ্বখ্যাত ফুটবলার লিওনেল মেসির সাথে একবার দেখা করার জন্য উঠেপড়ে লাগে পৃথিবীর তাবৎ ধনী রাষ্ট্রনেতা। অথচ সেই লিওনেল মেসি একবার লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় ছিলেন প্রফেসর ড. ইউনূসের সাথে ছবি তোলার জন্য, বিশ্বাস হয়? মাইক্রোসফটের বিল গেটস নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সাথে নিয়ে পুরো সিলিকন ভ্যালি ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন।
বিশ্বাস না হলেও কথা কিন্তু সত্য!
অলিম্পিক গেমস পৃথিবীর সম্মানজনক প্রতিযোগিতার একটি। আর অলিম্পিকে সবচেয়ে সম্মানিত অতিথি হলেন মশাল বাহক! ব্রাজিল অলিম্পিকের মশাল বাহকের সম্মান লাভ করেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তবুও, তার সাফল্যের পেছনের ব্যক্তিগত গল্প অনেকেরই অজানা রয়ে গেছে।
তিনি কিন্তু চট্টগ্রামের ছেলে। তার মা ছিলেন মানসিকভাবে অসুস্থ। তিনি একজন স্কাউট।
মেট্রিকে বোর্ড স্ট্যান্ড করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কিন্তু দুইবার বিয়ে করেন। ড. ইউনূসের শ্বশুরবাড়ি কিন্তু ভারতের পশ্চিমবঙ্গে।
আজকের ভিডিওতে আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জীবনের সেই অজানা দিকগুলোতে নজর দেব। চলুন শুরু করি।
শৈশব: বড় স্বপ্ন নিয়ে এক গ্রামের ছেলে
১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া নামের ছোট্ট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার বাবা হাজী দুলা মিয়া শওদাগর ছিলেন একজন সাধারণ জুয়েলারি ব্যবসায়ী। জুয়েলারি ব্যবসার সাথে এ উপমহাদেশের মানুষের অনেক সম্পর্ক জড়িয়ে আছে। বিশেষ করে স্বর্ণ বন্ধক রেখে অর্থ নেওয়া থেকে শুরু করে অতি কষ্টে থাকা মানুষদের শেষ আশ্রয়স্থল হয় এই জুয়েলারি দোকান। কিন্তু ছোটবেলাটা যে তিনি খুব বেশি সচ্ছল ছিলেন না, সেটা তার শৈশবের সংগ্রাম থেকে বোঝা যায়। দুই ভাই ও নয় বোনের মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছিলেন তৃতীয়। মুহাম্মদ ইউনূসের ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং ছোট ভাই মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর একজন জনপ্রিয় টিভি ব্যক্তিত্ব।
জীবনের প্রথম চার বছর তিনি বাথুয়াতেই কাটান। ভালো জীবিকার সন্ধানে পরিবারটি পরে চট্টগ্রামে স্থানান্তরিত হয়। এই সময় তার মা গুরুতর মানসিক অসুস্থতায় ভুগতে শুরু করেন, ফলে পরিবারের আর্থিক অবস্থা ও মানসিক শান্তি বেশ নাড়া দেয়। তার মায়ের চিকিৎসার ব্যয়ভার আর ৯ সন্তানকে বড় করতে গিয়ে দুলা মিয়া শওদাগরকে প্রচণ্ড মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়। পরিবারের অর্থনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয় ব্যাপকভাবে। তাই তরুণ ইউনূসকে পরিবারের বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পড়াশোনার সাথে সাথে বিভিন্ন কাজ সামলাতে হতো।
শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিকূলতার মাঝেও শ্রেষ্ঠত্ব
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রথম স্কুল ছিল লামাবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়, পরে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে পড়তে যান। বলে রাখা ভালো, পূর্ব পাকিস্তানের ৩৯,০০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় তিনি ১৬তম স্থান অর্জন করেন।
মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে যোগ দেন। সেখানে তিনি ১৯৬০ সালে স্নাতক ও ১৯৬১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবনের শুরুতেই মুহাম্মদ ইউনূস ব্যুরো অব ইকোনমিক্স-এ গবেষণা সহকারী হিসাবে যোগদান করেন।
এরপর ১৯৬২ সালে প্রফেসর ইউনূসকে তার অসাধারণ ফলাফলের জন্য তৎকালীন চট্টগ্রাম কলেজ কর্তৃপক্ষ অর্থনীতির প্রভাষক পদে নিয়োগ দেয়।
১৯৬৫ সালে তিনি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে তিনি অর্থনীতিতে পিএইচডি সম্পন্ন করেন ১৯৬৯ সালে। পিএইচডি সম্পন্ন করার পর, ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন।
১৯৭২ সালে দেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এই পদে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭৬ সালে মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। এই ব্যাংকিং মডেলটি বিশ্বদরবারে অনেক প্রশংসা অর্জন করে এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক ও তিনি যৌথভাবে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।
অভিনয়শিল্পী ড. ইউনূস
নাটক ও থিয়েটারে তিনি বেশ সুনাম অর্জন করেন, বিভিন্ন প্রযোজনায় অংশগ্রহণ করেন। সেই সময় তিনি থিয়েটারের একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে তার বহুমুখীতাও তুলে ধরেন। হয়তো তারই ধারাবাহিকতায় তার মেয়ে মনিকা একজন সুনামধন্য অপেরা শিল্পী। তার কথা পরে বলছি।
নাটকের বাইরে, ইউনূস কবিতা আবৃত্তি, বিতর্ক এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন।
এক সাহসী আত্মা: স্কাউট অভিযাত্রা
সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি বয়েজ স্কাউটসে যোগদান করেন এবং বয়েজ স্কাউটসের পক্ষ থেকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। তিনি ১৯৫২ সালে পশ্চিম পাকিস্তান ও ভারত এবং ১৯৫৫ সালে কানাডায় জাম্বোরিতে অংশগ্রহণ করেন।
তার যাত্রা শুরু হয় চট্টগ্রাম থেকে, বাসে করে বাংলার দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে কলকাতায় পৌঁছান। সেখান থেকে তিনি স্কাউটদের একটি কাফেলার সাথে যুক্ত হন এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহাসিক পথ গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড ধরে যাত্রা করেন।
স্কাউটরা বাস ও ট্রেনে ভ্রমণ করতেন, যেমন বিখ্যাত দার্জিলিং মেইল, যা কলকাতাকে উত্তরাঞ্চলের সাথে সংযুক্ত করত। যাত্রাপথ লাহোর হয়ে খাইবার পাসের মনোরম পথে এগিয়ে যায়, যা পাকিস্তানকে আফগানিস্তানের সাথে যুক্ত করে—যেটি সে সময় একটি ঐতিহাসিক বাণিজ্য পথ। এরপর তারা মধ্যপ্রাচ্যে প্রবেশ করেন, তেহরান ও বাগদাদের মতো শহরে বিরতি নিয়ে, যা ইউনূসকে মধ্যপ্রাচ্যের স্থাপত্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়।
ইউরোপ অতিক্রম করার সময়, ইউনূস ও তার সহযাত্রী স্কাউটরা আল্পসের পর্বতশৃঙ্গ থেকে শুরু করে ফ্রান্সের ব্যস্ত নগরীগুলোর পরিবর্তিত দৃশ্যাবলী দেখে মুগ্ধ হন। এই স্থলপথের যাত্রা ছিল চোখ খুলে দেওয়া এক অভিজ্ঞতা, যা তাকে বিভিন্ন জীবনধারা ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করায় এবং তার বিশ্বদৃষ্টিকে সমৃদ্ধ করে। কানাডায় পৌঁছানোর সময়, ইউনূস শুধু হাজার মাইল ভ্রমণই করেননি, বরং বৈশ্বিক বৈচিত্র্য ও ঐক্যের প্রতি গভীর প্রশংসা অর্জন করেন। এই অভিজ্ঞতা তার মধ্যে বৈশ্বিক প্রভাব ফেলার আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তোলে, যা তাকে ভবিষ্যতে একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতা ও সামাজিক উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখে।
প্রেম ও বিয়ে
১৯৬৫ সালে মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় পরিচয় হয় রুশ মেয়ে ভেরা ফোরস্টেনকোর সাথে। তিনি ছিলেন রুশ বংশোদ্ভূত একজন আমেরিকান শিল্পকলার অধ্যাপক। তাদের অভিন্ন আগ্রহ ও বুদ্ধিবৃত্তিক সংযোগ এক সময় ভালোবাসা, তারপর গভীর প্রেমে রূপ নেয়।
৭০-এর দশকের শুরুর দিকে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রামে তাদের কন্যা মনিকা ইউনূসের জন্ম হয়। মনিকার আগমন ইউনূসের জীবনে অপরিসীম আনন্দ নিয়ে আসে।
তবে সে সময় বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ তাদের জীবনে কঠিন সময় নিয়ে আসে। সন্তানের উপযুক্ত পরিবেশে বেড়ে ওঠা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ভেরা ফোরস্টেনকো মেয়েকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই বিচ্ছেদ ইউনূসের জীবনে এক বেদনাদায়ক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয় এবং শেষ পর্যন্ত তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
মনিকা ইউনূস
নিউ জার্সির একটি সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ পরিবেশে মা ও নানাবাড়ির সাথে বড় হয়েছেন মনিকা ইউনূস। সেখানেই তিনি সঙ্গীতের প্রতি গভীর অনুরাগ গড়ে তোলেন। রুশ, ইতালীয়, স্প্যানিশ, জার্মান ও ফরাসি সহ একাধিক ভাষায় দক্ষ মনিকা একজন অপেরা গায়িকা হিসেবে বিশ্বখ্যাত মঞ্চগুলোতে পারফর্ম করেছেন।
২০০৪ সালে দীর্ঘদিন পর তিনি তার বাবার সাথে দেখা করেন। পরের বছর তারা একসাথে বাংলাদেশে আসেন।
২০০৯ সালে মনিকা বিয়ে করেন ব্র্যান্ডন ম্যাকরেনল্ডসকে। পরে তিনি তার স্বামী ব্র্যান্ডন ম্যাকরেনল্ডসের সাথে "সিং ফর হোপ" নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে, মনিকা ও ব্র্যান্ডন সুখী দাম্পত্য জীবন যাপন করছেন এবং তাদের সন্তানদের নিয়ে তারা নিউ ইয়র্কে বসবাস করছেন।
সাল ১৯৭১
১৯৭১ সালে নয় মাসের যুদ্ধের ফলে পূর্ব পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
সেই সময় মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রে মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছিলেন। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে সহায়তা করার ইচ্ছায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ তথ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন। অন্যান্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে মিলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তিনি সচেতনতা বাড়াতে ও সমর্থন সংগ্রহে নিরলস প্রচেষ্টা চালান।
আবার ভালোবাসার সন্ধান: আফরোজী ইউনূসের সাথে বিবাহ
ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ড. ইউনূসের স্ত্রী আফরোজী ইউনূস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান শহরের রানীগঞ্জ বাজারের কাছে লস্কর দিঘি এলাকায় বড় হয়েছেন তিনি। এই এলাকায় তার অনেক আত্মীয়-স্বজনই বসবাস করেন। তাদের বিবাহ ও সম্পর্ক সম্পর্কে তারা সবসময়ই ব্যক্তিগত থাকতে পছন্দ করেন, গণমাধ্যমের আলো থেকে দূরে। আফরোজী ইউনূস তার স্বামীর দারিদ্র্য বিমোচন ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টায় নিরন্তর সমর্থন দিয়ে আসছেন। তবে যতটুকু জানা যায়, আফরোজী এবং ইউনূস দম্পতির সন্তান দিনা আফরোজ ইউনূস।
সংগ্রাম থেকে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিগত মিশন
২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি নাগরিক শক্তি নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠনের কথা বিবেচনা করেছিলেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং সুশাসন প্রচারের ইচ্ছা থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে রাজনৈতিক বাধা ও সমালোচনার মুখে তিনি আনুষ্ঠানিক রাজনীতি থেকে সরে এসে সামাজিক ব্যবসা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে মনোনিবেশ করার সিদ্ধান্ত নেন।
নাগরিকত্ব
ব্রিটিশ ভারত (১৯৪০–১৯৪৭)
পাকিস্তানি (১৯৪৭–১৯৭১)
বাংলাদেশি (১৯৭১–বর্তমান)
মুসলিম বিশ্বে নোবেল বিজয়ী ইউনূসের বিকল্প খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন, আর এই সম্মানিত মানুষটি হলেন আমাদের বাংলাদেশের সন্তান!
বন্ধুরা, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগত দিকগুলো—ভালোবাসা, সংগ্রাম এবং অটল প্রতিশ্রুতির একটি অনুপ্রেরণামূলক গল্প। তাঁর জীবন আমাদের শেখায় যে ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলোকে বৈশ্বিক মঙ্গলের শক্তিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব।
যদি এই গবেষণা আপনাকে অনুপ্রাণিত করে থাকে, তাহলে ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত যাত্রার কোন কোন দিকগুলো আপনাকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে? নিচের মন্তব্যে আপনার মতামত শেয়ার করুন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩২