সবাই ভয় পায়, আমিও পাই চামচিকার;
ভয় পাওয়া দোষের কিছু না;
সুঁই বিঁধানোর এক পশলা গুরু রটনা,
এক মুঠো সংবাদ পত্রিকা,
আর এক চিমটি বিদ্বেষ,
সাথে সাথেই মন বিভ্রাটের অস্তিত্ব সংকট।
ডাণ্ডা গুলি খেলার নিরুৎসাহী ডাণ্ডাটা
তিড়িং বিড়িং করে হৃদয়ে ঢোকে এফোঁড় ওফোড়
ঐযে ছাপানো স্টিকারে লাল হার্টের পাশে তিরের মত;
না প্রেমটা কোন কৈশরিক বেদনা নয় সমাধিমন্দিরে,
প্রেমটা শিক্ষক আর শিষ্যর আইডেন্টিটি ক্রাইসিসের,
পরাজিত নৈতিকতার সংকেতে খুচরো বিমর্ষতা।
হঠাৎ করিয়া দগে দগে ছুড়ি গেঁথে যায় বুকের ভেতর
পোষ্টারে ছাপানো বাস্তবতার সাথেে একাকার,
আন্দোলন করুন
খুনের ভেতরে খুন
হাত মাইকে ভাষণ দিন
ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই।
তারপর তদন্ত কমিটি গঠিত হল
একে একে ফিরে এলো লিখিত নীপাতা
ওপাশ থেকে কাগজে কলমের একাকার
হুকুম এলো
লাশের বিপরীতে লাশ
পুত্রের বিপরীতে পিতা
এদিকে এক আদর্শ গুরুর অশহুরে অভিমান যন্ত্রণা দেয় মগজে ,
মৃত্যুটাও একসময় বুঁদ হয়ে থাকে কামারশালার প্রশ্ন পত্রে,
শিক্ষক ছাত্রের অদৃশ্য মনন তামাটে উপযুক্ত নীরবতায়
নির্লিপ্ত জাতীর স্পাইনাল শব্দহীন ঘুমে, অভ্যাসটাও মিথ্যে হয়।
১লা শ্রাবণ ১৪২৯ বাংলা
হাতিরঝিল,তপ্ত সন্ধ্যা