জানেন-তো..
নীল শিখা আঁকড়ে, মানুষটি হাঁটছে ছায়া পথ ধরে
সাথে পারায় অন্যের শিলা, অন্যের প্রকৃতি, অন্য মানুষ
মানুষটার ছাপোষা চেহারা, পরনে হাওয়াই মিঠাই শার্ট;
ববলিন বেরনো বোতাম ,নাছোড়বান্দা আরাম চোখ, মন্দ নয়।
আমি হাঁকি..
আনত আশীর্বাদ সূর্য দিঘল বাড়ী বিসর্জিত, যাচ্ছ কোথায় হে মানুষ?
উত্তরের আবহে ,
ইচ্ছে কুসুম সুন্দর, প্রতীক্ষা শূন্য থেকে শুরু,
অবিশ্বাস আয়াসে মন অন্দরে যত দূর ঘুরে আসি;
একটি প্রদীপ নিভো জ্বলছে, আচ্ছা নি:শ্বাস কি করে চলছে?
বিটের পরে বিট, তালের পরে তাল, দাদরা,ত্রিতাল কিংবা তেওরা...
আমি বললাম -
জলের পরে শরীর, শরীর ভর্তি দম আবার প্রবহমান নদী,
নদের আর নদীর পার্থক্য কোথায়; ওহে অর্বাচীন প্রান্ত থেকে শুরু কর আবার।
সেই শূন্য অথচ বাস্তবতা হলুদ ভাসে, থাকে মৃণ্ময়ী তপস্যা, শিহরনের পর গায়ে কাটা
অবাক ব্যর্থতা আবার জেগে ওঠা, সমুদ্র থেকে তেপান্তর অথবা স্নায়ুবিক যোদ্ধা ,
পত্রিকা আজকাল আর পড়া হয়না।
মানুষটির অবাক উত্তর:
পথ থেকে পথে, রাতের পর রাত, দিন ,দুপুর, গোধূলি ছায়া বিলীন
শব্দ হারায়, অর্থ হারায় ,বাক্য কোথায়, যেথায় হেথায় এখানে ওখানে ধুলাময়।
আচ্ছা গল্প কোথা পাই, শহর,রাস্তা, ল্যাম্প পোষ্ট, নর্দমা, গুলশান থেকে যাত্রাবাড়ী
জানেন, খুঁজছি,তাই চললাম সীমান্ত থেকে সীমান্তে,গ্রাম থেকে দিগন্তে,
অতঃপর:
টেলিফোনটা বাজে অন্যরকম বাজে খুঁজতে খুঁজতে অসহায়
আসল আবার বাঁচার সন্তরণ মাথা ওঠে পা ওঠে বুকও চেতিয়ে ওঠে
চোখ চোয়াল নাক কণ্ঠস্বর সব সবই আবার আসে, হাসে, হাসায়
মানুষটা বাতাস ছাড়ে, কার্বনডাইঅক্সাইড খাবলে খায় পথ রাজ পথ।
বৃষ্টি ভেজা মধ্যরাত: ২:৫ ,৪/১০/১৬, কবর স্থানের গলি।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:২৫