প্রাত্যহিক ব্যস্ততায় আর মনে রাখা হয়না একসময়ের চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া একান্ত আপন দিবসগুলোকে। যেমন আজ...সায়ন্তন কিংবা দেবলীনার এস.এম.এস. না দেখলে হয়তো জানাই হত না আজ ২৫ শে বৈশাখ। প্রতিবছরের মতো এবারও সেই পরিচিত এস.এম.এস.-গুলো পড়ে মনের ভেতর একটা উৎফুল্ল ভাব তো এসেই গেল...পরক্ষনেই কেমন একটা বিষণ্ণতা বোধ আচ্ছাদিত করে ফেলল। কী হবে আর এসব ভেবে? আমি এখন নামীদামী কর্পোরেট হাউজের মোটা মাইনের চাকুরীজীবী। মনের ভেতর শুধু যান্ত্রব হিসেব নিকেশ। সেখানে এইসব বাউন্ডুলেপনার কোনও স্থান নেই।
অতঃপর সেই জানালাটিকে খোলার চেষ্টা না করে আমার কর্মক্ষেত্রের দিকে যাত্রা। পথে যেতে যেতে কোথাও একটা জরাজীর্ণ পলাশ গাছ দেখতে পেলাম। সেখানে এখনও ছিটেফোঁটা লালের ছোঁয়া। হঠাৎ মনে হল আমিও কি একেবারে মেরে ফেলেছি সব ইচ্ছেগুলোকে। সব পাগলপনা কে? আমাতেও কি এখনও অবশিষ্ট নেই কোনও লাল কিংবা সবুজের চিহ্ন? ফোন করলাম সায়ন্তনকে। বললাম, ৫টায় ঢুকে যাব ঠাকুরবাড়ির চাতালে। দেখা হচ্ছে।
অফিসের যাবতীয় কাজ সেরে বস এর কাছ থেকে ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম। ৫টায় মিশে গেলাম একদল চিরনূতনের মাঝে।
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির চাতালে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে।
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সদরকোঠা। এখানেই কবিগুরু এসে দাঁড়াতেন অবসরে।
ঠাকুরবাড়ি। এখানে থাকতেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
ট্রামে করে আমাদের বাগবাজার ঘাটের দিকে যাত্রা। কবিগুরু(!)ও কি আমাদের সহযাত্রী? হয়তোবা!
গঙ্গার ওপারে ঢলে পড়ছে সূর্য।
গঙ্গার ঘাটে একসাথে অনেকদিন পর আবার সেই ঘরছাড়া বাউন্ডুলেদের দল।
সন্ধ্যা নামিল ভুবনে।
স্মৃতির খাতায় আরেকটা দিনের স্বাক্ষর রেখে এবারের মতো বিদায় নিল ২৫শে বৈশাখ।
চির নূতনদের বার বার ডাক দিয়ে যায় ২৫ শে বৈশাখ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৩০