বাংলাদেশ বিমান বোয়িং ৭৮৭ বহরে যোগ করতাছে। বোয়িং ৭৮৭ এয়ারলাইনগুলা নেয় সেইসব রুটে যেখানে প্যাসেন্জার বোয়িং ৭৭৭ নিলে খালি থাকে আর তেলের খরচের বিষয়টা। বাংলাদেশ বিমানে বোয়িং ৭৮৭ যোগ করা নিয়া প্রথম আলোয় যেই গাধাটা রিপোর্টটা লেখছে গাধাটা এগুলা কিছু উল্লেখ না কইরা বিমানে ওয়াইফাই থাকব, ক্রেডিট কার্ডে হের জন্য ভুষি কিনা যাইব এইডি লেইখ্যা ভরায়া রাক্সে। তারপর সব সিটে ইন্টারএকটিভ কম্যুনিকেশনের ব্যবস্হা থাকব, এইডি লেইখ্যা রাক্সে। এগুলা বড় এয়ারলাইনগুলা অন্তত ৫ বছরের উপরে হয় দিতাসে। এমুনই দেক্তাসি; জীবনে প্লেনে চড়ে নাই বাইরে যায় নাই এমন সব লোকজন এরকম গাধার মত লেখা লেখে, ব্লগেও গতবছর একটারে দেক্সি।
বোয়িং ৭৮৭ এর বিশেষত্ব দুইটা প্যাসেন্জারদের জন্য। সিটের চওড়াটা দুই সুতা বেশি আর জানালা। এই জানালাটাই এই মডেলের প্লেনরে সম্পূর্ণ আলাদা কইরা রাক্সে বাদবাকি সব প্লেনের থিক্যা। কমার্শিয়াল প্লেনের মধ্যে সবচেয়ে বড় জানালা আর জানালায় কোন ম্যানুয়েল শাটার নাই, স্মার্টগ্লাস ব্যবহার করা হইছে যেটাতে কতটুকু অন্ধকার করতে চায় প্যাসেন্জার জানালা সেটা ফটোসান চশমার মত গাঢ় হইব সুইচ টিপা। সচরাচর দেখা ট্রেনের জানালার মত ঢাকনা রাখে নাই এই প্লেনে। তয় পুরা অন্ধকার হয় না, গাড় নীলের ভেতর দিয়া কিছুটা হইলেও বাইরে দেখা যায়।
আর যেইটা নতুন সেইটা পুরাই গঠনগত, কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল দিয়া মেইন বডি বানাইছে। কেবিন প্রেশার অন্যরকম রাখার ব্যবস্হা করা হইছে প্যাসেন্জারদের সুবিধার কথা ভাইবা। সহজ ভাষায় লেখলে লম্বা সময় উড়লে কানে ভো ভো কম করবে এই প্লেনে অন্যের প্লেনের তুলনায়।
প্রথম আলোর বিদেশ পাতায় বেশি ভারত প্রেমের ফল এরকম গাধার মত লেখা।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪