দেশ বণ্যায় ভাসে সরকার যেই ক্ষমতায় থাকুক সবসময় আমজনতার চোখ ঘুরায়া রাখে অন্যদিকে। ৮৮ সালে বারোদিনে ঢাকা শহর ফক্কা, তখনই উচিত ছিল দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা বণ্যা নিয়ন্ত্রণের। কি করা হৈসে সবাই দেক্সে।
৯৯ সালের বণ্যা ছিল ন্যাক্কারজনক। আগস্ট মাসে সারা দেশের অবস্হা শোচনীয়, অনেক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা বন্ধ কৈরা আশ্রয়কেন্দ্র খুলতে হৈসিল। আগস্ট মাসের পয়লা ১৬ দিন কোন মিডিয়াতে বণ্যার খবর ঠিক মত আসেই নাই। কেন, বুইঝা লন। দুইটা মাস দেশ ডুইবা আছিল; তাও এগর টনক নড়ে নাই।
ঢাকার নিম্নাঞ্চলে পরের বড় ধাক্কাটা আসে ২০০৪ সালে। তার দুই বছর আগে পলিথিন নিষিদ্ধ কৈরা পরিবেশ বাঁচানির ধুয়া তুলসিল। গাধাগুলা একবারও ভাবে নাই সারা দুনিয়া পলিথিনের ব্যাগের উপ্রেই চলে, ভাবনের কাম আছিল নিয়ম মাইনা ওয়েস্ট ডিসপোজাল সিসটেম চালু করনের। কেউ করে নাই। এত কিছুর পরও ঢাকা শহরে খালগুলা কোন হালার পুতে দখল মুক্ত করে নাই। করব কেমনে, খুঁজলে দেখা যাইব নিজেগরও দখল আছে জায়গায় জায়গায়।
রাজনৈতিক সরকার এরকম অপদার্থ হৈবই তৃতীয় বিশ্বে। আমাগর সুপার মেধাবী বিসিএস আমলারা কোন বালটা ফালাইসে দেশের উন্নয়নে? উপ্রের দিকের সবডি শুয়র কৈতে গেলে সারাদিনই সচিবালয়ের বাইরে থাকে; স্কুল/মাদ্রাসা/হাসপাতালে বিছানা উদ্ভোদন কৈরা বেড়ায়। দেশ রসাতলে গেলেও যেন সরকারের কাছে ভাল চেহারা থাকে, নাইলে প্রমোশন নাই। লোভী শুয়রগুলা সব।
সারা দেশে কঠিন বণ্যার সতর্ক সংকেত আইতাছে আবার। আর আমাগর পানি উন্নয়ন অধিদপ্তরের লোকজন ঘরে বৈসা বাকরখানি খিলে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮