জেটল্যাগ এখনও কাটে নাই। সকালে বউ চিল্লাচিল্লি কৈরা ঘুম ভাঙাইছে, নাইলে আজকেও ঘুমায়া পার কর্তাম। দিন শেষে অফিস থিকা বাসায় ফিরুম, অনলাইনে দেখি ফকফকা তামশা। এশিয়া আর আফ্রিকার যেই কয়ডা বড় এয়ারলাইন্স আম্রিকায় যায়, এইডির সবডির কেবিনে ল্যাপটপ/ট্যাবলেট নেওয়ার উপ্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হৈসে। এয়ারলাইনগুলারে সময় দেয়া হৈসে চাইরদিন। না মানলে আম্রিকায় ঢুকা খতম।
কাতার এয়ারওয়েজের গোল্ড মেম্বার আমি, বছরে বেশ কয়েকবার ঐ পথে লম্বা জার্নি কর্তে হয় বৈলা। এমনে বাংলাদেশ থিক্যা আটলান্টিক পার হওনের জন্য সুবিধার মধ্যে পড়ে, কাতার, এমিরেটস, টার্কিশ, ইতিহাদ। সবডি ধরা খাইছে এয়ারপোর্টের তালিকায়। আম্রিকায় আমার যে কাজে যাওয়া পড়ে, আইচ্ছা আমারে নাইলে গুণাগুণতিতে ধর্লাম না, এই জমানায় প্লেনের অর্ধেক যাত্রীরই ব্যাগে একটা ল্যাপটপ থাকবই। মেইন লাগেজে ল্যাপটপ দেওয়া সম্ভব না, ভাঙার সম্ভাবনা ব্যাপক।
আটলান্টিক পার হওনের জন্য জেটপ্যাক বা বড় পাঙখা কিনা ছাড়া তো আর গতি নাই বাংলাদেশি আমজনতার। কেউ ঠিকানা জানলে এই অধমরে জানায়েন।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩