'বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম'
আমি ইতিহাসের ছাত্র নই,বিজ্ঞানের একজন নগন্য ছাত্র,তাই প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি অনিচ্ছাকৃত ভুলের।ইতিহাসের মাত্র একটি প্রসঙ্গই মাত্র বলতে চাচ্ছি । বলতে চাচ্ছি মুহান্মাদ বিন কাসিমের কথা । এক আরব রমনীর লিখিত একটি মাত্র চিঠি বদলে দিল ভারতেবর্ষের ইতিহাস,কাপিয়ে দিল দেবল রাজের রাজপ্রসাদ ,ধ্বংস হয়ে গেল অত্যাচারী দেবল রাজা । কিন্তু যে অত্যাচার দেবল রাজা করেছিল দেবলের সাধারণ মানুষের উপর তারই ধারাবাহিকতায় সেই অত্যাচারে অত্যাচারিত হলো আরবের সাধারণ বনিক ও সাধারণ আরব রমনীরা । এই অত্যাচারের বর্ননার চিঠিই আরব অশ্বের ঘোড়ার গতিমুখ পাল্টে দিল। আরব সেনাদের অশ্ব পৌছে গেল সিন্ধু পর্যন্ত। এর পরের কাহিনী অনেকের জানা তাই এ প্রসঙ্গ এ পর্যন্ত ।
রোহিঙ্গা মুসলিমরা প্রায় ছয়শত বছর পূর্ব থেকে আরাকানে বসবাস করে আসছে, তারপারও রোহিঙ্গারা স্টেটলেস, মায়ানমারের নাগরিক নয় । নাগরিকত্ব পাওয়ার আর কী শর্ত বাকী আছে জানিনা!
বলতে চাইছি মুহাম্মাদ বিন কাসিমের সময়ের মুসলমানদের
মত মুসলমান এ দুনিয়ায় নেই একথা ঠিক, কিন্তু মানবতাও কী নেই বর্তমান মুসলমান সমাজে? খবরে প্রকাশ,অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে এলাকাবাসী,এলাকাবাসীর বক্তব্য ওরা তো মানুষ ,ওরা আগে বাচুক!
জানিনা ওই এলাকাবাসীরা কোন ধর্মের,জানার প্রয়োজনও নেই
ওই এলাকাবাসী যে আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল
রাষ্ট্রের সীমানা দেখার,ধর্ম দেখার সময় এখন না , এখন দেখার দেখার সময় শুধুই মানবতার । যেমনটা দেখিয়েছিল ১৯৭১ সালে
মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত ।
ধন্যবাদ অত্র এলাকাবাসী ।
অন্তরের অন্তস্থল থেকে ছালাম রইলো তোমাদের প্রতি ।
সহানুভূতি রইলো অত্যাচারিত মানবগোষ্ঠির প্রতি ।
অপরিসীম স্নেহ রইলো আমার কলিজার টুকরা সন্তানের মত রোহিঙ্গা সন্তানদের প্রতি ।আর যারা আমাদের মানবতা জাগার আগেই সাগরে সমাহিত হয়েছে, তাদের যাযাকল্লাহু খইরন ।
আমারব্যাক্তিগত ব্লগে সকলকে স্বাগতম ।
আচ্ছালামুআলাইকুম ।