" বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম "
আমি ইসলামের কোন স্কলার নই ।
নিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতাকেও স্বীকার করছি ।
যা কিছু করছি শুধুমাত্র এই ভয়কেই সামনে রেখে যে, আমি আল্লাহর রসুলের(সঃ) ঘোষনাকৃত ৭৩ দলের মধ্যের নাজাত প্রাপ্ত দলের
উপর প্রতিষ্ঠিত আছি কী , অহরহ মনের মধ্যে জাগরিত এই প্রশ্নের তাড়নাকে সান্ত করার জন্য । কাউকে ছোট করার জন্য নয় । এত দল এত মতের মধ্যে কোনটি সেই সঠিক দল ? ভিন্ন মাযহাব ভিন্ন উত্তর । সাধারন মানুষ হিসাবে আমাদেরই বা করনীয় কী ?
মহান আল্লাহ সর্বপ্রথম যে পবিত্র শব্দটি নাযিল করলেন "পড়"তা কী আমাদের মত সাধারনদের জন্য নয়? কারন পড়তে গেলেই নানা প্রশ্ন এবং অতি অবশ্যই নানা ধরনের উত্তর । কবরে কী আমাদেরকে ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে ?
কোন মুসলিমের জন্য কী চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব মানা বাধ্যতামূলক ?
জাপানের দূরপ্রাচ্যে অবস্থিত টোকিও ও ওসাকার নগরীর কিছু মানুষের ইসলাম ধর্ম গ্রহনের ক্ষেত্রে এরকম সমস্যায় তারাও প্রথম দিকে ইসলাম সর্ম্পকে হতাশ হয়ে পড়েন ।যখন জাপানের কতিপয় স্বচ্ছ চিন্তাশীল লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে ঈমানী মর্যাদায় মর্যাদাবান হবার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন, তখন এক বিরাট মতানৈক্য ও অবান্ছিত দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় । তারা যখন টোকিওতে মুসলিম সংস্থার নিকট তাদের ইসলাম ধর্ম গ্রহনের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন, তখন হিন্দুস্থানী একদল মুসলিম বললেন, তাদের উচিত হবে ইমাম আবু হানীফা(রঃ)'র মাযহাব গ্রহন করা ; ইন্দোনেশিয়ার জাভা শহরের মুসলিমদের একদল বললেন, তাদের শাফিঈ মাযহাব গ্রহন করা আবশ্যক । জাপানীরা তাদের মুখ থেকে এসব কথা শুনে খুবই আশ্চার্য হন এবং ইসলাম গ্রহনে দিশেহারা হয়ে পড়েন । এভাবে মাযহাবী সমস্যা তাদের ইসলাম গ্রহনে বিরাট বাধা হয়ে দাড়ায় ।
বাধ্য হয়ে তারা মুহাম্মদ সুলতান আল -মাসুমী আল -খুজান্দী আল - মাক্কী , শিক্ষক, আল - মাসজিদুল হারাম এর কাছে নিম্মলিখিত প্রশ্নগুলো করেন । ইসলাম ধর্মের হাক্বীকাত কী ? মাযহাব শব্দের অর্থ কী ? যারা ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন , তাদেরকে কী চার মাযহাবের যে কোন একটি মাযহাব নির্দিষ্টভাবে অবশ্যই গ্রহন করেত হবে?
এসকল প্রশ্নের উত্তরে তিনি একটি জবাব লিখে তাদের কাছে প্রেরন করেন যার অনুবাদ তাওহীদ পাবলিকেশন্স প্রকাশ করেছেন " মুসলিম কী চার মাযহাবের কোন একটির অনুসরনে বাধ্য" নামে । তিনি তার পত্রে বিভিন্ন রেফারেন্সসহ এটাই তাদের জানিয়েছেন যে ,প্রচলিত চার মাযহাবের যে কোন একটি মানা একজন মুসলিমের জন্য বাধ্যতামূলক না ।
এ প্রসংগে বাংলাদেশের মরহুম দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কথা আমার সব থেকে বেশী মনে পড়ে তাদের অনুসারীদের মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি দেখে ।
এটা আমার সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত উপলব্দি , এটা কারো সাথে মিলবে এ আশা আিম করছি না । তবে আমার মনে হয় এই দুই মরহুম রাষ্ট্রপ্রধানকে যদি আল্লাহ পাক তাদেরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতেন তাহলে তাদের একজন বলতেন যে আমি জাতির জনক নই ,
তোমরা একি বলছ ? তোমরা কী জাননা আমি একজন মুসলিম ? আর মুসলিমদের জাতির পিতা তো একজনই , আর সে হলো আল্লাহর নাবী ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ । আর অন্যজন মনে হয় বলতেন, আমারা স্বাধীন বাংলাদেশে একসাথে অনেকবছর রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করেছি, কই আমি তো কখনও বলিনি আমিই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক ? তোমরা একি শুরু করেছ ?
এত সময় আমি আমার মনের কল্পনার কথা বলেছি । আমার সকলেই নিশ্চত এটা কখোনই সশ্ভব নয় ।
কিন্তু আল্লাহ রব্বুল আ'লামিন এমন দুইজন প্রতিনিধিকে আমাদের কাছে পাঠাবেন , যাদের ব্যপারে আমরা নিশ্চিত ।
একজন ইমাম মাহদী এবং অন্যজন অতি অবশ্যই হযরত ঈসা (আঃ) ।
দুনিয়াতে আসার পর তাদের অবস্থা কেমন হবে , খুব জানতে ইচ্ছা করে । তারা কী প্রচলিত চার মাযহাবকে মিলিয়ে এক মাযহাব তৈরী করে খিলাফাত প্রতিষ্ঠিত করবেন নাকি যে কোন এক মাযহাবের অনুসারী হয়েই খিলাফাত প্রতিষ্ঠিত করবেন? সেক্ষেত্রে সলাত আদায়ে চার মুসল্লার নীতিটাই কী বজায় রাখবেন? দয়া করে কারো জানা থাকলে থাকলে জানাবেন কী ?