" বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম"
হযরত আম্মার (রাঃ) এর পাশ দিয়ে কোন কোন সময় রসুল (সঃ) যাবার সময় তাঁকে সবর করতে উপদেশে দিতেন এবং জান্নাতের সুসংবাদ দিয়ে সান্তনা প্রদান করতেন । তাঁর পিতা হযরত ইয়াসির (রাঃ) কাফিরদের নির্যাতনে জর্জরিত হয়ে অবশেষে প্রানত্যাগ করেন এবং তাঁর মাতা হযরত সুমাইয়া (রাঃ) নৃশংসতম অত্যাচার সহ্য করে মৃত্যুবরন করেন । তাঁকে আবু জাহেল একটা বর্শা দ্বারা করলে সে আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয় ।
এত নির্যাতন সত্ত্বেও তাঁরা তাওহীদের মধুর বানী কখনও ভুলেননি এবং ইসলাম পরিত্যাগ করে নিজের সুখ-শান্তির কথা স্বপ্নেও ভাবেননি । হযরত
সুমাইয়া (রাঃ) ইসলামের প্রথম শহীদ এবং হযরত আম্মার (রাঃ) ইসলামের প্রথম মাসজিদের ভিত্তি স্থাপনকারী । রসুল (সঃ) যখন মদীনায় হিযরত করেন, তখন আম্মার একদিন রসুল (সঃ) কে বলেন, " ইয়া রসুলুল্লাহ (সঃ)
আপনার জন্য একটা ছায়াযুক্ত স্থান তৈরী করা উচিত, যেখানে আপনি রৌদ্রের সময় বিশ্রাম ও সলাত কায়েম করতে পারেন ।"
এ কথার পরই হযরত আম্মার (রাঃ) কতগুলো পাথর সংগ্রহ করে কোবা
পল্লীতে একটি মাসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন ।
হযরত আম্মার (রাঃ) ঐকান্তিক আগ্রহের সাথে জিহাদে যোগ দিতেন । একবার তিনি অতি আনন্দে বলেছিলেন," এখন গিয়ে বন্ধুদের সাথে এবং
রসুল (সঃ) ও তাঁর জামাতের সাথে মিলিত হব"- একথা বলতে বলতে তাঁর
অত্যন্ত পিপাসা হওয়ায় তিনি কারোও কাছে পানি চাইলেন। এক ব্যাক্তি তখন তাঁকে একটু দুধ এনে দিলেন । দুধ পান করে তিনি বলেন, " আমি রসুল (সঃ) এর কাছে শুনেছি, তুমি দুনিয়াতে শেষ বন্ধু হিসাবে দুধ পান করবে ।" একথা বরেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মুত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর ।
সহাবা চরিত ।
মাওলানা যাকারিয়া (রঃ) ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:৩৯