নারী ও পুরুষের দৈহিক গঠন ও স্বভাবে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য । একই রক্ত, মাংস ও উপাদানে বেড়ে ওঠা সত্ত্বেও তাদের পারস্পারিক বৈপরিত্য অসংখ্য।
স্বাভাবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে তাদের যে বৈশিষ্ট্যগুলি আমাদের নজরে আসে সেগুলি হল-পুরুষ বলবান, চঞ্চল,দুঃসাহসী,নির্ভীক, চিন্তাশীল, বিপ্লবী......ইত্যাদি। অপরদিকে নারী শান্ত, নমনীয়া, মায়াবিণী, বিদ্বেষিণী,বিলাসী, সংকীর্ণমনা, সংসারী, আবেগী, কলহিনী,ত ভীরু, প্রেম-স্নেহ-মমতায় অতুলনীয়া ইত্যাদি।
উল্লিখিত সাধারন পার্থক্য সমূহ ছাড়াও নারী-পুরুষের দৈহিক গঠন ও স্বভাবে নানা প্রকার তারতম্য বিদ্যমান। শরীর বিজ্ঞানীরা নারী-পুরুষের দেহ নিয়ে বিশ্লেষন করে যে সমস্ত পার্থক্য দেখতে পেয়েছেন তা নিম্নে উপস্হাপন করা হলঃ
১) মেয়েদের শরীর অম্লধর্মী আর পুরুষদের শরীর ক্ষারধর্মী ।
২)মেয়েদের শরীর চুম্বকধর্মী আর পুরুষদের শরীর বিদ্যুৎধর্মী ।
৩)মেয়েদের শরীর স্হিতিশীল ও রক্ষনশীল, পুরুষদের শরীর গতিশীল ও সৃজনশীল ।
৪)সাধারণত পুরুষের দৈহিক ওজন ১৪০ পাউন্ড আর নারীর ১২৮ পাউন্ড ।
৫) নারীদের মগজের বক্রতা ও প্যাচ পুরুষের চেয়ে অনেক কম।মগজের স্নায়ুমণিতেও বিরাট পার্থক্য বিদ্যমান ।
৬)নারীদের হৃদপিন্ড পুরুষের হৃদপিন্ড তেকে ওজনে ৬০ গ্রাম কম ।
৭)নাড়ীর স্পন্দন পুরুষের চেয়ে নারীর পাচটি বেশী ।
৮)শ্বাস-প্রশ্বাসে পুরুষ ঘন্টায় ১১ গ্রাম কার্বন জ্বালাতে পারে আর নারী মাত্র ৬ গ্রাম । এখান থেকে প্রমানিত হয় নারীদেহে অক্সিজেনের ভাগ কম।
৯)পুরুষের শরীর সম্মুখদিকে ভারি আর নারীর শরীর পিছন দিকে ভারি। এ জন্য নারীর মৃতদেহ পানিতে ভাসে চিৎ হয়ে আর পুরুষের মৃতদেহ ভাসে উপুড় হয়ে। একই কারনে নারীরা হাইহিল জুতা পরে স্বাচ্ছন্দ্যে হাটতে পারে ।
১০)পুরুষ দেহের হাড়ের ওজন সাধারণত ৭ সের আর নারীর সোয়া ৫ সের ।
উল্লিখিত পার্থক্য ছাড়াও নারী-পুরুষের দৈহিক গঠন ও রহস্যে পরিপূর্ণ সামন্জস্য যেমন বিদ্যমান, তেমনি পরিপূর্ণ অসামন্জস্যও বিদ্যমান । সামন্জ্স্যের দিক থেকে বিচার করলে দেখা যায় যে, এরা এক দেহ, এক প্রাণ ও একই উপাদানে গড়া । আবার অসামন্জস্যের দিক থেকে চিন্তা করলে মনে হয় এরা স্বতন্ত্র ভিন্ন দেহের সৃষ্টি ।