আজীবন সংগ্রামীরা নাস্তিক হয়ে থাকে। এবারও নাস্তিকতার খেতাব সরাতে পারেনি। নাস্তিকতা লালন করা অপরাধ কিনা ওই বিতর্কে যেতে চাই না। তবে যে কেউ ব্যক্তিগত বিশ্বাস থেকে নাস্কিকতা চর্চা করতে পারে বলে মনে করি। গণজাগরণ মঞ্চের কেউ নাস্তিক হতেও পারে। কিন্তু নাস্তিক হলে কি কোন দাবি দাওয়া পেশ করা যাবে না? আস্তি হলে দাবি করা যাবে কেবল? গণজাগরণ মঞ্চের কেউ ধর্মের বিষয়ে কোন বক্তব্য প্রদান করেছে এমন তথ্য এখনও কোন মিডিয়ায় চোখে পড়েনি। এমনকি যারা গণজাগরণ মঞ্চের বিরোধী মিডিয়া হিসাবে সংবাদ প্রকাশ করেছেন তারাও কি এমন তথ্য দিতে পারবেন? সবচেয়ে বড় কথা নাস্তিকরা কোন যুদ্ধ ঘোসণা করেনি, কিংবা নাস্তিকতা নিয়ে কোন বিতর্কও তৈরি করেনি, তাহলে নাস্তিক মুরতাদের ফর্মুলা হঠাৎ আমদানি হলো কেন?
বেশ কিছুদিন যাবত কিছু ব্লগ বন্ধ করার দাবি উঠেছে। ওই দাবি যে কেউ করতেই পারে বলে মনে করি। কিন্তু ব্লগ কি স্বাধীন, পরাধীন? ধরে নিলাম, আমাদের রাষ্ট্রনায়কেরা সংবিধানকে ১৯৭২ এ ফিরিয়ে নেওয়ার যে সুযোগ আদালত থেকে পেয়েছিল, তা কায়দা করে বাদ দিয়েছে। কিন্তু যাদের জন্য বাদ দিয়েছে তারা তাদেরকে রেহাই দিচ্ছে না। এহেন ঝামেলা শেখ হাসিনা পোহাতে থাকুক।
এবার কথা হচ্ছে যারা ব্লগে ১৯৭১ কে গন্ডগোল বলে, মুক্তিযুদ্ধকে তাচ্ছিল্য করে, যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল করার জন্য নানান রকম মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করে, গোলাম আজমদের নির্দোষ দাবি করে অহরহ অপপ্রচার চালায়, সাঈদীকে চাদে পাঠায়, সাঈদীকে নাবালক বানায়, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, গৃহযুদ্ধের হুমকি দেয় এমন অসংখ্য বিষয়ে সারাক্ষণ ব্লগ লিখে প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে ওইসব মুর্খ ব্লগ কেন বন্ধ করা হচ্ছে না? এই দাবি কেন উঠছে না? কি সমস্যা চলছে এখানে? ধর্মের নামে যারা প্রতিনিয়ত অধর্ম করে বেড়াচ্ছে তাদের রাজত্ব আর কত দিন? যারা ঘুমিয়ে আছেন, সজাগ হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।