চলমান পরিস্থিতিতে জামাত শিবিরকে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করা জরুরি। শাহবাগ আন্দোলন নতুন করে মানুষকে সজাগ করতে পেরেছে জামাতি তান্ডব ও তাদের প্রকৃত চেহারা। কেন হিন্দুসহ সংখ্যাঘুদের বাড়িঘরে হামলা ও হত্যা? কেন পুলিশের উপর হামলা ও হত্যা? পুলিশ কি রায় দিয়েছে? হিন্দুরা কি রায় দিয়েছে? ট্রাইবুনাল যে রায় দিয়েছে তা কি মিথ্যা ঘটনার উপর ভিত্তি করে? তাহলে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘড়ে আগুন, মন্দিরে আগুন, নির্যাতন কেন?
হেফাজতে ইসলামের নামে জামাত পিছন থেকে কলকাঠি নেড়ে প্রগতির আন্দোলনকে কাবু করতে চেয়েছে। আর তাতে ঘি ঢালছে খালেদা জিয়া। কি চমৎকার মিল। ১৯৭১ আর ২০১৩ এর মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নাই কিন্তু। যদিও একটি ঘটনার সাথে আরেকটি ঘটনার কোন মিল থাকে না এমনকি প্রেক্ষিতও এক থাকে না। তবু যাদের আন্দোলন, যেজন্য আন্দোলন সবই এক, বিরোধিতাও এক।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি অনেক শক্তি ক্ষয় করেছে। প্রকৃত শক্তি বিনষ্ট হয়েছে। কিন্তু লাভবান হয়েছে পরাজিতরা, বিরোধীরা। যদি এখনই জামাত শিবির নিষিদ্ধসহ সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বন্ধ করা না যায় তার ঢালপালা যতটুকু গড়িয়েছে তাতে মূল শক্তি আবারও নষ্ট হবে। আওয়ামীলীগ হচ্ছে বড় সমস্যা। নমনীয়তা আর ভোটের কৌশল কাজে লাগাতে গিয়ে বন্যার পানি যেমন বাড়ে, ধানও তেমন বাড়ে, জামাতও তেমনি বেড়েছে। এই সময়ে চাপে যতটুকু পড়ার আওয়ামীলীগই পড়েছে। তারপরও টালবাহানা করলে কি হতে পারে নেতাদের চেহারা দেখলেই মনে হয়। আওয়ামীলীগের অসহযোগিতায়ই প্রগতিশীল অনেক শক্তি পেছনে চলে গেছে তাদের পিরিয়ে আনা সম্ভব কেবল সুনির্দিষ্ট কিছু কাজ করে। নিশ্চয়ই তারা তা জানে। মুক্তিযুদ্ধ করা আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করা এক নয় বলেই আওয়ামীলীগ বিভ্রান্ত। ফিরে আসুন মূল ধারায়। সেটি ১৯৭১।