শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে নানান কথা বলে শেষ পর্যন্ত বিএনপি নেত্রী জামাতের পক্ষ নিয়ে যে ব্রিফিং করেছে তাতে যারা হতাশ হয়েছে তাদের অতি উৎসাহী মনে হয়েছে। বিএনপি কেন শাহবাগের পক্ষ নিল না এমন আফসোস থেকে ওই উৎসাৎ। কিন্তু চরিত্রের বাইরে তো যাওয়া যায় না। কত পুরাতন প্রেম। জামাতকে বাদদিলে বিএনপি টিকি থাকতে পারবে কিনা এই প্রশ্নে বিভোর। এমনকি বাদের ঘোষণা দিলে সংখ্যালঘু ও পুলিশের টার্গেট বাদ দিয়ে বিএনপিকে হামলা করবে কিনা ওই আতংকে আতংকিত বিএনপি। সেই সাকা চৌদূরীর বক্তব্য বিএনপি আবার প্রমাণ করে দেখাতে চায় কুকুর লেজ নাড়ায় না, লেজেই কুকুর নাড়ায়।
শিবগঞ্জে যে ৫৮ হাজার কৃষক বিদুৎ সংকটে পড়েছে জামাতি হামলায়, রাজশাহীতে যে ৪৮ পরিবারকে ঘড়ে রেখে আগুন দিয়েছে, মানুষ লাফিয়ে পড়ে মৃত্যু থেকে রক্ষা পেয়েছে, শিশুসহ সংখ্যালঘুদের হামলা করে বাড়িঘর ভাঙচুর করা হচ্ছে এই বিষয়ে খালেদা জিয়া কোন উক্তি না করায় তার দলীয় চামচা এই যাবতকালে খালেদা জিয়া শ্রেষ্ঠ বক্তব্য দিয়েছেন বলে নিজের ঢোল নিজে পিটিয়ে বিএনপি জামাতের চেয়ে বেশী রাজাকারের দল এটি প্রমাণ করেছেন।
পুলিশ কি বাংলাদেশের লোক বলে মনে করেন খালেদা জিয়া? তাহলে তাদেরকে খুন করার বিষয়ে কিছুই বললেন না কেন? ১০ দিনের ভারত সফরের হৈ চৈ জামাত ভালভাবে নেয়নি বলে কি এবার দেশে প্রণব বাবুর সাথে দেখা করেননি খালেদা জিয়া? ওই সফরের ইতিবৃত্ত এখন কোথায় গিয়ে ঠেকল?
জামাতী লোকেরা দেশবাসীকে বোকা বানাতে সাঈদীকে চাঁদে পাঠিয়েছে। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী ওইসব ব্যক্তিদেরকে কি ইসলাম ধর্মীয় ঈমান আকিদা আছে বলে বিশ্বাস করা যায়? খালেদা জিয়া ও তার দল কি সাঈদীর অনুসারীদের কথা বিশ্বাস করেছেন, না করেন নাই এই বিষয়ে জাতি আরেকটি ব্রিফিং আশা করে। মনে হচ্ছে বিএনপি দিশেহারা? না হয়ে থাকলে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন।