সাধারণ মানুষের সামনে অসাম্প্রদায়িকতার মুলা না ঝুলিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মজবুত করার লক্ষ্যেই সরকারের কাজ করা উচিত।পৃথিবীতে মানুষ যত দিন থাকবে,ধর্ম তত দিন থাকবে এবং সম্প্রদায়ও তত দিন টিকে থাকবে।আর এটাই বাস্তবতা।
ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।এই সব ভোগাস ডায়ালগ বাধ দেয়ার সময় এসেছে। সামান্য মতের মিল না হওয়াতেই দেশের বড় রাজনৈতিক দল গুলোর এক দল আরেক দলের উৎসবে যায় না,সেখানে ভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে কি ভাবে এক ধর্মের লোক অন্য ধর্মের উৎসবে যাবে?! আর এটা আশা করাও চরম বোকামি।
যার যার ধর্ম সে সে যেন নির্ভয়ে পালন করতে পারে তার আয়োজন করাই হবে রাষ্ট্রের কাজ।প্রত্যেকেই যেন তার নিজ নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করতে পারে সে পরিবেশ সৃষ্টিতে দেশের প্রতিটি নাগরিককেই ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
ডিজিটাল হরলিক্সে সভ্যতা তর তর করে বেড়ে উঠলেও পুষ্টি হীনতায় ভুগছে দেশের সংস্কৃতি।মানবিক মূল্যবোধ গুলো হারিয়ে যাচ্ছে খুব দ্রুত।
যারা দাড়ি টুপি দেখলেই জংগির গন্ধ পায়,নামের মধ্যেই যারা মালাউন খোজা শুরু করে তারা আর যাই হোক,বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তারা চায় না।
তাই এখনি সময় অসভ্য আর অমানুষদের টুটি চেপে ধরার,যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশটাকে খাবলে খেতে চায়।সাধারণ মানুষকে #জংগী আর #মালাউনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আর সম্প্রীতির সেতুবন্ধন হিসেবে রাজনৈতিক দল গুলোকেই অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে।বাংলা শব্দ ভান্ডার থেকে চিরতরে মুছে যাক #জংগী আর #মালাউনের মত শব্দ গুলো।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৭