আহা #ওয়াল!!!
মজার #ওয়াল!!!
ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি ওয়াল পেইন্টিং।স্কুলের ওয়ালে বিখ্যাত মনীষীদের উক্তি, মীনা কার্টুন,জাতীয় সংগীত লেখা থাকত।একটু বড় হয়ে যখন হাইস্কুলে আসলাম,শহুরে স্কুলের ওয়াল আরও বড় হইল।এবার উক্তি, কার্টুন, সংগিতের পাশাপাশি নানান গ্রুপের নামে পেইন্ট দেখতাম।ক্লাসের ওয়ালেও থাকত নানান উক্তি।স্কুলে ছেলে এবং মেয়েদের আলাদা ক্যাম্পাস।তাও স্কুলের ওয়ালে...... +......ছিল চোখে পরার মত।স্কুল টয়লেটের ওয়াল গুলী ছিল আরও সমৃদ্ধ।প্রতিটা টয়লেটেই একটা কমন লেখা চোখে পড়ত,"হে জ্ঞ্যানি,হাগিয়া ঢালিয় পানি"।এতো গেল স্কুলের কথা।
আর কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়!এই দেশে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়ালের কোন সীমা নাই।দেশের সমস্ত ওয়ালেই তাহাদের এখতিয়ার থাকে!এমনকি আপনার বাসার ওয়াল সহ।নানান দাবি দাওয়া,রাজনৈতিক প্রচারণা চলে ওয়ালেই।
এইত কিছু দিন আগেই আমাদের একটি ভয়ানক বদঅভ্যাস(যেখানে সেখানে প্রস্রাব করা)বন্ধে কার্যকরী ভুমিকা রাখছে আরবি বর্ণের লিখা ওয়াল।
এবার আসি জুকারবার্গের বিখ্যাত ডিজিটালওয়াল ফেসবুক ওয়ালে।
এই ডিজিটাল ওয়াল আসার পর ধুমায়ে আমরা লেখা শুরু করলাম...দিন দিন আমাদের লেখনি প্রতিভা তর তর করে শানিত হচ্ছে।প্রত্যেকে হয়ে গেলাম কবি,সাহিত্যিক, সমালোচক!!!
মজার বিষয় হচ্ছে,সমাজের অসঙ্গতিগুলো তুলে আসা শুরু হল এই ওয়ালে।হেশ,ট্যাগ আর শেয়ারের মাধ্যমে সে গুলো আবার ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বময়।
কারো রক্ত লাগবে?ট্যাগ, শেয়ারের মাধ্যমে মুহুর্তেই ম্যানেজড হয়ে যাচ্ছে ফেসবুকেই।শুধু দরকার ওয়ালে লিখা।
অমুকের বাবা হারিয়ে গেছে,কারো জন্য ফান্ড-রেইজ করা লাগবে?সব সম্ভব! দরকার শুধু ওয়ালে লিখা.....
আমরা যতটা সফলভাবে ব্যবহার করে আসছি এই ফেসবুক #ওয়াল,তা সত্যিই ভাববার বিষয়।
আমি শিওর অন্য কোন জাতি এতো সুন্দরভাবে ব্যবহার করতে পারছে না,পারবেও না.......
কারণ ওই যে বললাম, ছোটবেলা থেকেই ওয়ালে লেখার অভ্যাস আমাদের।ফেসবুক ওয়াল তো এসেছে আজ থেকে মাত্র ১২ বছর আগে।তারও বহুকাল আগে থেকেই ওয়ালে লিখাটা আমাদের রক্তের সাথে মিশে ছিল.......
কনসেপ্ট: আসিফ ভাই
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৪