ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন জ্বিহাদী হিজাব নিকাবের নিশ্চয়তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এদের নেতৃত্ব আরবি বিভাগ বা উর্দু বিভাগ বা ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ বা বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের কেউ দেন নি বরং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মাস্টার্সের একজন, আইন বিভাগের মাস্টার্সের একজন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দুজন দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি তোলার কথা- অনলাইনে গ্রন্থাগারের সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত করা, গ্রন্থাগারে নতুন বই যুক্ত করা, বই ও রিপোর্ট এবং জার্নাল ডাউনলোডের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদান করা, সৃজনশীল-বুদ্ধিভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা, প্রতিটি বিভাগে ও ছাত্রাবাসে ওয়াই ফাইয়ের ব্যবস্থা করা, ল্যাবে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্ক্যানারের সংখ্যা বৃদ্ধি করা, বিনামূল্যে ফটোকপির সুযোগ দেওয়া প্রভৃতি, কিন্তু, এই মহান শিক্ষার্থীরা দাবি তোলে পর্যাপ্ত পরিমাণে নামাজের জায়গার ব্যবস্থা করার!
মূলত, এই ধরণের মস্তিষ্কের শিক্ষার্থীদের কাছে জ্ঞানের কোনো মূল্য নেই, আদতে পুরুষের সেবাদাসী হওয়াই এদের জীবনের লক্ষ্য। আর এই সকল নারীরা শুধুমাত্র ধর্মান্ধ ও ধার্মিকদের কাছেই আদর্শ নারী নয়, বরং সমাজের অধিকাংশ পুরুষের মধ্যমণি। কারণ এইসকল নারীদের দিয়ে ওঠবস করানো যায়।
এবং এদের জীবনের উদ্দেশ্যেই হল পুরুষের মধ্যমণি হওয়া; বাচ্চা প্রসব করা, ঘরবাড়িতে অবস্থান করা, চাকুরী ছেড়ে দেওয়া, শ্বশুর শাশুড়ির গোলামী করা, স্বামীর মস্তিষ্ককে নিজের মস্তিষ্কে ধারণ করা, স্বামীর প্রহার সহ্য করা, কুটনামি করা, অন্য নারীর দোষারোপ করা অর্থাৎ এমন চিন্তাধারার নারীরা ভিন্ন চিন্তাধারা ও মতাদর্শের নারীদের জন্যই বেশি ক্ষতিকর।
ধর্মীয় বিশ্বাস এবং অনুশীলনগুলি উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা ও বোধ আচ্ছন্ন করে রাখার মতো ব্যাধিগুলির বিকাশে অবদান রাখে। নামাজ পড়লেই যদি ডিপ্রেশনসহ সকল সমস্যা গায়েব হয়ে যেতো তাহলে আর মুসলিমদের বিজ্ঞানের কাছে শরণাপন্ন হতে হত না। এদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করে যে তাদের হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে, অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে, ভিন্ন বিশ্বাসী-মতাদর্শের দ্বারা নির্যাতন করা হচ্ছে, তাদের তিরস্কার করা হচ্ছে এবং এক্ষেত্রে পুরুষেরা পরিচয় লাভ করে ধূর্তের আর নারীরা হয় অসহায়ত্বকে স্বীকার করে নেওয়া দুর্বল চিত্তের একজন পুরুষের সেবাদাসী বা সেবিকা।