হিটলার এই সভ্য বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি হলেও তার দুইটা কাজ আমি খুবই পছন্দ করি। তিনি মানবতার কল্যানে এই অসাধারণ কাজ দুটো করে গেছেন।
প্রথমতঃ হিটলার চমৎকার কিছু ছবি এঁকে গেছেন। তিনি ভালো ছবি আঁকতে পারতেন। হিটলার কোটি মানুষকে হত্যা করেছেন, আধুনিক ইয়োরোপেকে একবার ধ্বংস করেছেন, এটা জানার পরও জার্মানির মিউজিয়ামগুলোতে হিটলারের পেইন্টিং দেখতে আসেন অসংখ্য দর্শকেরা। নিলাম হলে এখনো মিলিয়ন ইউরোতে বিক্রি হয় হিটলারের এক একটা পেইন্টিং।
হিটলারের দ্বিতীয় মহৎ কাজটি হচ্ছে, নিজের ভুল এবং মানসিক ভারসাম্যহীনতার বিষয়টি বুঝতে পারার পর তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। তার আত্মহত্যা এই বিশ্ব সভ্যতা এবং মানবতার জন্য আরো অনেক বেশি মহৎ হতে পারতো, যদি তিনি আর মাত্র বছর ছয়েক আগে তার ভারসাম্যহীনতার বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারতেন।
বিশ্বের দ্বিতীয় হিটলার পুতিনেরও দুইটা কাজের আমি প্রশংসা করি। প্রথমতঃ পুতিন জুডো চর্চা করেন। জুডো এক চমৎকার আত্মরক্ষার মূলক খেলা বা শিল্প। জুডো খেলার প্রথম শর্তই হচ্ছে- জুডো প্রয়োগ করতে হবে শত্রুর আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে, প্রতিপক্ষকে আক্রমণের উদ্দেশ্যে নয়। জুডো শিল্প চর্চার মাধ্যমে পুতিন এই বৃদ্ধ বয়সেও শারীরিকভাবে এক চমৎকার সুঠাম, সুস্থ এবং তারুণ্যের ব্যক্তিত্ব অর্জন করেছেন, তা ঈর্ষনীয়।
এই আধুনিক গণতান্ত্রিক বিশ্বের মূল্যবান সভ্যতা এবং কোটি কোটি মানুষের জীবন রক্ষার্থে পুতিন তার জীবনের দ্বিতীয় মহৎ কাজটি করতে শীঘ্রই তার গুরু প্রথম হিটলারের পথ বেছে নেবেন, আমি সেই প্রত্যাশায় আছি। নিজের মানসিক ভারসাম্যহীনতা সম্পর্কে পুতিনের দ্রুত আত্মোপলব্ধি কামনা করছি।