জয় শ্রী রাম’ যেমন মৌলবাদীদের শ্লোগান, তেমনই ‘আল্লাহ আকবর’ উগ্রবাদীদের শ্লোগান। জয় শ্রী রামের বিপরীতে আল্লাহু আকবর বা আল্লাহু আকবরের বিপরীতে জয় শ্রী রাম ধ্বনি তোলা কোনো সমাধান না। এটা মূলত আবারও প্রমাণ করে যে, ধর্ম মানুষকে বিভাজন করে। অথচ ধর্মপ্রাণ বিশ্বাসীরা ধর্মকে মহানরূপে উপস্থানের জন্য মিথ্যে বলে থাকেন যে, ধর্ম সম্প্রীতির গপ্পো শোনায়। বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ��
গতকাল ভারতে মুসলিম কলেজছাত্রীর সাথে হিন্দু মৌলবাদীরা জঘন্য যেই ঘটনাটি ঘটিয়েছে, এ থেকে মুসলমানদের শুভবুদ্ধির উদয় হওয়া জরুরি। মুসলমানদের এবার বোঝা উচিত যে, পোশাকের স্বাধীনতা থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মুসলমানেরা নারীর পোশাকের ক্ষেত্রে কট্টর, তারা যা নির্ধারন করে দেবে তাই শ্লীল, বাদবাকি সব অশ্লীল- এমন নিকৃষ্ট আদিম চিন্তাধারা থেকে মুক্ত হওয়া আবশ্যিক।
যদি বোরখা হিজাব নিকাব ব্যক্তি স্বাধীনতা হয়ে থাকে, তাহলে বোরখা হিজাব নিকাব অস্বীকার করাও স্বাধীনতা তা মুসলমানদের মেনে নিতে হবে। যদি না মেনে নিতে পারে তাহলে মুসলমান নারীদের ক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বাধীনতা বা ইচ্ছা বা চয়েজ শব্দটি বেমানান হবে।
কেউ ছোট পোশাক পরলে তা তার স্বাধীনতা তা বুঝতে হবে, কারো শরীর দেখা গেলে তা নারীর ব্যক্তি স্বাধীনতা তা স্বীকার করে নিতে হবে। কিন্তু মুসলমানেরা তা মেনে নেবে না। নারীকে নিয়ন্ত্রণ, দমন করা, ভীতি প্রদর্শন, স্বাধীনতার খর্ব করা মুসলমান পুরুষের ধর্ম।
এতদিন ধর্ম নিয়ে জুয়াখেলা চলতো স্কুল কলেজ বাদ দিয়ে সর্বত্রে, এখন গেরুয়া বাহিনী রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য অবুঝ কিশোর কিশোরীদের মস্তিষ্কেও ধর্মের বিষাক্ত ভাইরাস ছুঁড়ে দিয়েছে, যা উপমহাদেশের নানা প্রান্তে থাকা অথর্বেরা স্বাচ্ছন্দ্যে গ্রহণ করে নেবে এবং ভুক্তভোগী হতে হবে সংখ্যালঘুদের।
মানুষ রাজনৈতিক, তবে পুরুষের থেকেও নারী লিঙ্গটি ব্যাপক আকারে রাজনৈতিক। তবে নারী দুর্বল; মূলত দুর্বল করে রাখা হয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীরা তা আবার মাথানত করে মেনেও নিয়েছে- বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছে পুরুষতান্ত্রিকতা, যা নষ্টামিতে শক্তিশালী। একক পুরুষ কোনো প্রতিষ্ঠান নয়, কিন্তু একেকজন নারী একেকটি প্রতিষ্ঠান, আর এখানেই পুরুষের দুশ্চিন্তা ও আতংক।