বাঙলাদেশের এক মোল্লাকে নারী বিষয়ে উগ্রতা কমানোর জন্য আল্লাহ আমন্ত্রণ জানালেন।
আল্লাহ বললেন, এই মোল্লা, দুনিয়াতে কে হিজাব পরবে, কে বোরখা পরবে, কে জিন্স টপস পরবে এটা তাদের ব্যাপার। আখিরাতে তো আমি বিচার করবো, তাহলে তোমরা মোল্লারা নিজেই আল্লাহ হওয়ার চেষ্টা করো কেনো?
মোল্লা আমতা আমতা করে বললেন, আল্লাহ ক্ষমা করবেন আমাদের। ছোট মুখে একটা বড় কথা না বললেই নয় যে, মেয়েদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আমাদের আপনার নাম ব্যবহার করতে হয়, তাহলে মেয়েদের বোকা বানানো সহজ হয়।
আল্লাহ বললেন, মোল্লা তোমার কি মনে হয় না যে, তোমরা নিজেদের আমার থেকেও বেশি ইসলামবিশেষজ্ঞ মনে করো?
মোল্লা মাথা নিচু করে ক্ষমা চেয়ে আবারও বললেন, জাকির সাহেবের তথ্য মতে, আমাদের মাদ্রাসার আর মসজিদের ইমামের বক্তব্যের মাধ্যমে আমরা একেজন ইসলামবিশেষজ্ঞ।
আল্লাহ বললেন, তুমি বড্ড বাঁচাল।
আল্লাহ বললেন, আজ থেকে আর কোনো নারীকে বা কোনো মানুষকে পোশাক সম্পর্কে জ্ঞান বিতরণ করতে হবে না, বলতে হবে না যে, কোন পোশাক শ্লীল আর কোনটা অশ্লীল। আমার ধর্মের হেফাজত আমি নিজেই করতে পারবো, আমাকে নিয়ে ব্যবসা বন্ধ করো।
আল্লাহর কথা শুনে মোল্লা বিরক্ত কিন্তু প্রকাশের দুঃসাহস তার নেই।
তারপরও মোল্লা বললেন, প্রিয় আল্লাহ, দুনিয়াতে শান্তি বিরাজ রাখার জন্য নারীদের পুরুষের হাতের মুঠোয় রাখা জরুরি। তাদের স্তন, নিতম্ব দেখলে আমাদের পটলটা খুব দ্রুত পিরামিড হয়ে যায়।
আল্লাহ বললেন, আমি তো তোমাদের চোখের নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছি। সেটা ভুলে যাও কেনো? আর সুন্দর স্থাপনা দেখে আকর্ষণ হতেই পারে। কিন্তু তাই বলে জোর করা, ভীতি দেখানো, গালমন্দ করা চলবে না।
মোল্লা বললেন, আল্লাহ আপনি আবারও একটু ভেবে দেখুন।
আল্লাহ এবার বকা দিয়ে বললেন, এই ব্যাটা মোল্লা, তুমি তো বড্ড পাঁজি, আমি তোমাকে ডাকলাম দুনিয়ায় তোমাদের উগ্রতাকে কমানোর জন্য আর তুমি এখন আমাকেই জ্ঞান বিতরণ করে যাচ্ছে; কোনটা আসল ইসলাম, কোনটা নকল ইসলাম, কোনটা উচিত, কোনটা অনুচিত- তা বুঝাচ্ছ।
মোরাল অফ দ্যা স্টোরি, বাঙলাদেশের মোল্লারা নিজেরাই একেকজন আল্লাহ, তারা যা বলবে তাই ঠিক, কাল্পনিক আল্লাহও যদি তাদের সামনে আসে তাহলে তাকেও ভুগিচুগি বুঝানোর চেষ্টা করবে। এমনকি উত্তেজনাবশত তাকেও খারিজ করে দিতে পারে।