আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, দৈনিক মৃত্যুহারের দিক দিয়ে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে চার নম্বরে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই তালিকায় প্রথমে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। আর দ্বিতীয় ও তৃতীয়তে রয়েছে যথাক্রমে রাশিয়া ও ভারত।
ঠিক এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ঈদুল আজহা উদ্যাপন উপলক্ষে ১৫ই জুলাই থেকে ২২শে জুলাই পর্যন্ত লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল থাকার সরকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মজার বিষয় হচ্ছে, লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্তের দিনেই সর্বোচ্চ করোনা শনাক্তের তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৩,৭৬৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২২০ জনের। মহামারী মোকাবেলার চেয়েও এ জাতির কাছে ঈদ পালন করা এত বড় হয়ে গেল কি করে?
করোনা মহামারীতে ভারতের সর্বনাশ করেছিল কুম্ভমেলা এবং বাংলাদেশে করবে গরু-ছাগল ও মানুষের হাট। এমন আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত গ্রহনের দুঃসাহস দেখানো চরম বোকামী ছাড়া ভিন্ন কিছু না। সরকার জনস্বাস্থ্যকে পরিকল্পিতভাবে করোনা সংক্রমণের মুখোমুখি করে দিয়েছে এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। এরপর থেকে মহামারীতে প্রতিটা মৃত্যুর দায় শেখ হাসিনার।