১. রাস্তায় একা একা হাটছেন, সন্দেহভাজন কিছু লোক আপনার পিছু নিয়েছে। এক্ষুনি পুলিশের সহযোগিতা পেলে ভালো হত।
কিন্তু আপনার কাছে নিকটস্থ থানার কারো নম্বর নেই। পুলিশের অ্যান্ডয়েট অ্যাপস থেকে যে নম্বরটা বের করবেন তার উপায় নেই কারণ আপনার কাছে সাধারণ ফোন!
ডায়াল করুন 999 এ
শুধু আপনার অবস্থান বলে সহযোগিতা চান, বাকি কাজটা তারাই করবে।
দেখতে দেখতে পুলিশ এসে হাজির হয়ে যাবে।
২. মধ্যরাত। পরিবারের একজন হুট করে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। জরুরী অ্যাম্বুলেন্স লাগবে। পরিচিত কেউ ফোন ধরছে না। খুব বিপদ!
নিশ্চিন্তে ডায়াল করুন 999 এ
অ্যাম্বুলেন্স বাসার গেট এ হাজির হয়ে যাবে।
৩. পাশের বাসায় আগুন লেগেছে? ফায়ার সার্ভিস এর ফোন নম্বর নাই? দ্রুত আগুন নেভানো দরকার। কি করবেন বুঝতে পারছেন না? নম্বর একটা জুটলো কিন্তু মোবাইলে ব্যালান্স শেষ!
ডায়াল করুন টোল ফ্রি 999 এ
পৌছেঁ যাবে ফায়ার সার্ভিস এর দল।
কি বিশ্বাস হচ্ছে না? ইউরোপ আমেরিকার গল্প মনে হচ্ছে?
না ইউরোপ আমেরিকার গল্প নয়।
আমাদের বাংলাদেশের গল্প।
নতুন এক বাংলাদেশ।
আমরা প্রবেশ করতে যাচ্ছি নতুন এক বাংলাদেশে।
যেখানে আপনার জরুরী প্রয়োজনে দিন রাত কান পেতে রয়েছে ন্যাশনাল হেল্প ডেস্কের সেচ্ছাসেবকরা।
শুধু আপনার বিপদে পাশে দাঁড়াতে, যে কোন সময়।
আসুন যাত্রা শুরু নতুন বাংলাদেশ এর পথে।
প্রবেশ করি ট্রিপল নাইন এর বাংলাদেশে।
বিপদে ডায়াল করুন 999
সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা।
#FAQ
# কিভাবে ব্যবহার করবেন?
জরুরী সেবা নিতে যেমন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ইত্যাদি যে কোন #মোবাইল থেকে ৯৯৯ ডায়াল করুন।
# এইটাতে ফোন করলে কি ব্যালেন্স থেকে টাকা কাটবে?
না। এই নম্বরটি টোল ফ্রি। বিনামূল্যে এই সেবা পাবেন।
# ল্যান্ডফোন থেকে করা যাবে?
না। শুধুমাত্র মোবাইল থেকে।
# রাতে কল করা যাবে?
দিন রাত যে কোন সময় কল করা যাবে।
# অ্যাম্বুলেন্স এর কি টাকা দিতে হবে?
হ্যা। দেশের কোন সংস্থা বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেয়না।
তাই এখানে কল করলে যে অ্যাম্বুলেন্স আসবে তাকে তার নির্ধারিত ফি দিতে হবে।
# এটা কি সারা দেশের জন্য?
হ্যা।
# কেউ ভুল তথ্য দিলে?
সব কিছুর রেকর্ড থাকবে। যে ফোন থেকে কল আসবে সেটির বিরুদ্ধ প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
# তথ্য দেয়া যাবে কিনা?
যেকোন প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়া যাবে। রাস্তার পাশে জুয়ার আসর বসেছে? বস্তিতে আগুন লেগেছে? রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটেছে? এমন অনেক জনহিতকর ঘটনার যেকোন তথ্য জানাতে পারবেন।
# সাবধানতা
১.ভুলেও অপ্রয়োজনে কল দিবেন না। আপনার যাবতীয় তথ্য থাকবে ডাটাবেজে। একবার "প্রাংক কলার" হিসেবে এনলিস্টেড হলে আসল বিপদে আর সাহায্য পাবেন না!!
২. তুচ্ছ তথ্যের জন্য ফোন দিয়ে লাইনে ব্যস্ত না রাখাই ভালো। কে জানে আপনার চেয়ে বিপদাপন্ন একজন হয়ত ওয়েটিং এ আছেন।
৩. শিশুরা যাতে ভুলে কল না করতে পারে এই জন্য ফোন লক করে রাখুন।
৪. কল সেন্টারের কর্মী কে প্রয়োজনীয় তথ্য চাহিদা মাফিক প্রদান করুন। আপনার সকল তথ্য খুবই " কনফিডেনসিয়াল" হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে। মনে রাখবেন, সে আপনাকে সাহায্য করার জন্যই কাজ করছে।
[এই পোষ্টটি পুলিশের এএসপি সাখাওয়াত হোসেন থেকে নেওয়া]
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২০