ছবির লোকটির নাম নূর হোসেন আমরা সবাই কম বেশি সবাই উনার নাম শুনেছি। নামটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সবচেয়ে স্মরণীয় নাম। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগঠিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ১৯৯১ সালের নির্বাচনের বিএনপি এর জয় লাভের মাধমে স্বাধীনতার দীর্ঘ ১৯ বছর পর দেশে সুচিত হয়েছিল নতুন যুগ গনত্রন্ত্র। গণতন্ত্র মানে জনগণের শাসন, জনগণের আশা-আকাঙ্খার বাস্তব প্রতিফলন, সাধারণ জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ। এরশাদ সরকারের পতনের পর দেশের জনগণ দেখতে দেখতে ৪টি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, বিএনপির ২টি সরকার, আওয়ামী লীগের পূর্ববর্তী ২টি সরকারের সময়কাল পার করে এসে এখন আওয়ামী লীগের আরেকটি সরকারের শাসনামলের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। এতগুলো সরকার গেল, রাজনৈতিক অঙ্গনে কত ঘাত-প্রতিঘাত, চড়াই-উতরাই হয়ে গেল, তারপরও বাংলাদেশের জনগণের বহু আরাধ্য সেই কাঙ্খিত গণতন্ত্রের দেখা আজও মিললোনা আর মিলবে বলে আশা ও করা যায় না।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল গুলোর মতাদর্শের দিকে তাকালে দেখা মিলে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, সমাজতন্ত্র তথা শোষণমুক্ত সমাজ ও সামাজিক ন্যায়বিচার, সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র উপর বিশ্বাস, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ইত্যাদির। কিন্তু আদৌ কি রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতাদর্শ মেনে চলছে?? আমি জানি উত্তর আসবে "না"। তারা যদি তাদের মতাদর্শ মেনে চলত বাংলাদেশ কখনই দুর্নীতিতে বিশ্ব রেকর্ড করতে পারত না। সরকারী-বেসরকারী নানা ক্ষেত্রে দুর্নীতি, লুটপাট, খুন, রাহাজানি ইত্যাদি নানারকমের কার্যকলাপ দিয়ে প্রায়সময়ই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খবরের শিরোনাম হয়ে আসছে। ৯১ এর সেই বিএনপি সরকার থেকে শুরু করে বর্তমানের আওয়ামী লীগ সরকারের কেউই বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেনা যে, তারা একটি দিনের জন্য হলেও জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের জন্য কাজ করেছে। তারা সবসময়েই ব্যস্ত থেকেছে জনগণের সম্পদ লুন্ঠন করে, তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে নিজেদের পকেট ভারী করতে, নিজেদের ক্ষমতাকে আরো কুক্ষিগত করতে। আর এই সব ক্ষেত্রে সরকারকে সহায়তা করছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। বাংলাদেশর জনগন এখনও স্বৈরাচার থেক মুক্তি পায়নি তাই আজ আমি আবার বলব "স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক"।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:৩৬