somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভূমিকম্পের সময় বাড়িতে থাকবেন না বেরিয়ে আসবেন?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার এই লেখাটি দিন তিনেক পুরোনো। বাংলাদেশে ১৯শে নভেম্বরের ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের পটভূমিতে লেখা এই রচনাটি বাংলাদেশ সময় ১৯শে সেপ্টেম্বর বিকেলে সচলায়তনে প্রথম প্রকাশিত হয়। নাগরিক জীবনে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে আত্মরক্ষার উপায় সম্পর্কে সচেতনতা তৈরীর ক্ষেত্রে কারো কাজে লাগতে পারে...এই আশায় এই বাংলা ব্লগেও তুলে দিলাম।


আজ সকালে (আমেরিকার সময় ১৯শে সেপ্টেম্বর সকাল) বাংলাদেশে তীব্রমাত্রার ভূমিকম্পের খবর পেয়েই বাংলাদেশের টিভি চালিয়ে দেখলাম ভূমিকম্পে আতঙ্কিত মানুষের বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তার নেমে আশ্রয় নেয়ার খবর। ফোনে দেশে বিভিন্ন জায়গায় পরিচিতজনের খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম বাসা-রাস্তা-বাসা রাউন্ড ট্রিপ দৌড়াদৌড়ি শেষে সবাই এখন নিরাপদে নিজ গৃহকোণে ফিরে এসেছে। দেশে ছোটবেলায় আমারও এমন বেশ কয়েকবার ভূকম্পনজনিত দৌড়াদৌড়ির অভিজ্ঞতা হয়েছিল। ভুমিকম্প মানেই ছিল রাতবিরাতে লম্ফঝম্ফ দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসা। তবে সময়ের সাথে মানুষ অনেক “সচেতন” হয়েছে আর তার স্বাক্ষর হিসেবে এবার কিছু ব্যতিক্রমও এবার দেখলাম। যেমন একবন্ধু ভুমিকম্প চলাকালে দৌড়াদৌড়ি বাদ দিয়ে ছিল ফেসবুকে লাইভ আপডেট দেয়ার কাজে ব্যস্ত । আবার অন্য এক “বুদ্ধিমতী” তরুণী ভূমিকম্প শুরু হবার সাথে সাথেই শুরু করেছিল বাসার ছাদ অভিমুখে বিপরীতমুখী যাত্রা। চারিদিকে বহুতল ভবন ঘেরা নাগরিক জঙ্গলে নিচে নেমে আসার চাইতে তার উপরে উঠে যাওয়াই নিরাপদ মনে হয়েছিল! তবে এই রকম প্রতিভা এখনো দেশে বিরল। প্রায় সবাই এখনো ঘর ছেড়ে বাহিরে নিরাপদ আশ্রয় নেয়ার কৌশলই আঁকড়ে রেখেছে। কিন্তু ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসা কি আসলেই নিরাপদ?

এ বিষয়ে একটু খোঁজ খবর করে যা জানা যাচ্ছেঃ ভূমিকম্পের সময় আমাদের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসাটাই স্বাভাবিক প্রবণতা হলেও বিশেষজ্ঞদের মতামত কিন্তু এর উলটো। গবেষনায় দেখা গেছেঃ ঘর থেকে বেরিয়ে আসার সময়েই মানুষ দেয়ালে চাপা পড়ে বা উপর থকে পড়ন্ত বস্তুর আঘাতে সবচেয়ে বেশী হতাহত হয়। তাই রেডক্রস ও উন্নত বিশ্বের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা সহ সরকারী-বেসরকারী নানা সংগঠন এখন ভুমিকম্পের সময় আত্মরক্ষার জন্য “ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন” নামের একটি উপায়কেই সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে মনে করে। “ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন” পদ্ধতি অনুযায়ী ভূমিকম্প অনুভূত হবার সাথে সাথেই বসে পড়ে (ড্রপ) টেবিল, বিছানা বা আসবাবপত্রের মতো মজবুত জিনিসের নিচে আশ্রয় নিয়ে (কাভার) সেই জিনিসটিকে অর্থাৎ টেবিল বা আসবাবপত্রের কোন অংশ শক্ত করে আঁকড়ে ধরতে হবে (হোল্ড অন)। এসময় ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করাটা বিপদজনক। অতীতে ঘটে যাওয়া নানা ভূমিকম্পে জীবনহানির কারন বিশ্লেষনে দেখা যায় ঘরের দরজা আর বহির্মূখী দেয়াল ভেঙ্গেই বেশীর ভাগ সময় হতাহতের ঘটনা ঘটে। এছাড়া উপর থেকে পড়ন্ত ভারী বস্তু কিংবা ধারালো জিনিসের আঘাতে আহত বা জীবন হারানো আশঙ্কা থেকে থাকে। যেমন ১৯৩৩ সালে দক্ষিন ক্যালিফোর্নিয়ার লং বিচে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত ১২০ জনের অধিকাংশই মারা গিয়েছিল ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ঘরের বহির্মূখী দেয়ালের ধ্বসে চাপা পড়ে।

আমেরিকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা ফেমার ওয়েবসাইটে ভূমিকম্পের সময় করণীয় বিষয়ের একটি সুন্দর তালিকা দেয়া আছে। ভূমিকম্পের সময় আত্মরক্ষার উপায় সম্পর্কে খোঁজ-খবর করলে বিভিন্ন সংগঠনের ওয়েব সাইটেও মূলত এই একই রকম পরামর্শ পাওয়া যাবে। এই পরমর্শগুলোর বেশীর ভাগই ক্যালিফোর্নিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত গবেষনার ফলাফলের ভিত্তিতে তৈরী করা হয়েছেঃ ভূমিকম্পের সময় যদি আপনি নিজ বাসার বা অন্য কোন ভবনের ভিতরে থাকেন তাহলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করবেন না। ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন পদ্ধতিতে মজবুত কোন কিছুর নিচে সাথে সাথে আশ্রয় নিন। যদি মজবুত কোন কিছুর নিচে আশ্রয় নেয়ার উপায় না থাকে, তবে মাথা ও মুখ হাত দিয়ে ঢেকে ফেলে ঘরের অভ্যন্তরের কোন দেয়ালের কোণে (যেমন দুই রুমের মাঝের দেয়ালের কোণ) কুঁকড়ে বসে পড়তে হবে। কোন অবস্থাতেই জানালা, কাঁচের জিনিসপত্র ও বহির্মুখী দেয়ালের কাছে থাকা যাবে না। এছাড়া উঁচু ভারী জিনিস যেমন আলমারী, বইয়ের তাক ইত্যাদি থেকে দূরে থাকতে হবে। ভূমিকম্পের সময় যদি আপনি বিছানায় শোয়া অবস্থায় থাকেন এবং মূহুর্তের মধ্যে ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন অবস্থানে যাওয়া না যায়, তাহলে বালিশ জাতীয় কিছু দিয়ে মাথা ঢেকে বিছানা আঁকড়ে শুয়ে থাকতে হবে। তবে বিছানার উপরে যদি সিলিং ফ্যানের মতো ভারী কিছু থাকে, তাহলে বিছানা থেকে অবশ্যই নেমে পড়তে হবে। ভূকম্পন পুরোপুরি থেমে না যাওয়া পর্যন্ত ঘরের ভিতর নিরাপদ অবস্থানে বসে থাকতে হবে। ভুমিকম্পের সময় ঘরের ভেতরে হাঁটাচলা ফেরা করাও বিপদজ্জনক। ঘরের ভেতরে নিরাপদ অবস্থান বেছে নিয়ে সেখানেই বসে থাকুন। ভূকম্পনের সময় কেবল ১০ফুট দুরত্ব অতিক্রম করলেও হতাহত হবার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। তাই যত কম দুরত্বের মধ্যে নিরাপদ অবস্থান নিতে হবে। ভূমিকম্পের সময় যদি আপনি ঘরের বাহিরে অবস্থান করেন তাহলে ঘরের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করবেন না। ভূমিকম্পের সময় ঘরের বাহিরের দেয়াল বা প্রবেশ পথ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা। যথাসম্ভব খোলা জায়গায় বাহিরেই দাঁড়িয়ে থাকুন। অন্য বিল্ডিং, দেয়াল, রাস্তার বৈদ্যুতিক তার বা বাতির কাছ থাকে দূরে থাকুন।



ইদানিং “ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন” পদ্ধতির বিপরীতে “ট্রায়াঙ্গাল অব লাইফ” নামের একটি বিতর্কিত আত্মরক্ষার পদ্ধতি ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এই মতানুসারে টেবিল, বা আসবাবপত্রের মতো মজবুত জিনিসের নিচে আশ্রয় না নিয়ে বরং সেটার পাশে অবস্থান নিতে হবে। দেয়াল বা ভবন ভেঙ্গে পড়ে টেবিল বা আসবাবপত্র ভেঙ্গে গেলেও সেটার পাশে একটা ত্রিভূজাকৃতির ফাঁকা স্থান তৈরী হয়। এই ত্রিভূজাকৃতির ফাঁকা স্থানটার নামই হলো “ট্রায়াঙ্গাল অব লাইফ” যা ভূমিকম্পের সময় দেয়াল বা ভবন ধ্বসের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে পারে। তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোতে যথাযথহ নির্মাণ নীতিমালা মেনে ঘর বাড়ি তৈরী হয় যেখানে না আর তাই দেয়াল বা ভবন ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা থাকে বেশী। দাবী করা হয় এসব ক্ষেত্রে “ট্রায়াঙ্গাল অব লাইফ” পদ্ধতি নাকি বেশী কার্যকর। তবে রেডক্রস এবং সরকারী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলো “ট্রায়াঙ্গাল অব লাইফ” পদ্ধতিকে স্রেফ ভাওতাবাজী ও চরম ঝুঁকিপূর্ণ কাজ বলে গন্য করে।

উন্নত বিশ্বে আধুনিক নির্মান প্রযুক্তি ও ভবন নির্মান নীতিমালার যথাযথ প্রয়োগ ভূমিকম্পের সময় ভবন সম্পুর্ন ধ্বসে পড়ার ঝুঁকি একেবারেই কমিয়ে ফেলেছে। এসব দেশের সুঠাম ভবন কাঠামোর ভিতরে অবস্থান করে “ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন” পদ্ধতি অনুসরন করা ভুমিকম্পের সময় আত্মরক্ষার সবচেয়ে কার্যকর পথ হতে পারে কিন্তু ঘরের ভিতর থেকে বের না হওয়া এবং বাহিরের থেকে থাকলে ঘর বা কোন ভবনে ঢোকার চেষ্টা না করার এই পাশ্চত্য পরামর্শ কি আমাদের মতো দেশে প্রযোজ্য? তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে বাড়ি নির্মাণের যথাযথ নীতিমালা অনেকক্ষেত্রেই মানা হয় না। বাংলাদেশে ১৯৫২ সালের ভবন নির্মান নীতিমালা আধুনিকায়ন ও সংশোধন করা হয় ১৯৯৩ সালে। তবে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে এর যথাযথ প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ভবন নির্মান নীতিমালা প্রনয়নের আগে তৈরী অসংখ্য পুরোনো বা ঘরবাড়ী। ২০০৮-৯ সালে খাদ্য ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ের জরীপে দেখা গেছে শুধু ঢাকা শহরেই প্রায় ৭৯ হাজার ভবন রয়েছে যা ৬-মাত্রার মাঝারী মানের ভুমিকম্পে সামাল দিতে অক্ষম। এই অবস্থায় আমরা ঘরের বাইরে আসবো না ভিতরে থাকবো?

ভারত সরকার ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে ভারতের শহরগুলোতে ভূমিকম্পজনিত ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের জন্য গৃহিত কর্মসূচীর আওতায় ভুমিকম্পের সময় করণীয় হিসেবে “ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন” পদ্ধতি অনুসরণ করতে পরামর্শ দেয়া হয়। বাংলাদেশের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরোর ভূমিকম্প বিষয়ে গণসচেতনতা বুকলেটও ঘরের ভেতরে মজবুত জিনিসের নিচে আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়। ১৯শে সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত দৈনিক কালের কন্ঠের প্রতিবেদনে নগর ঝুঁকি হ্রাস বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামালও ভূমিকম্পের সময় ঘরের ভেতরে থাকার পরামর্শ দেন। তার মতে আমাদের উচিত “ভূমিকম্প চলাকালে ঘর থেকে বের না হয়ে কলাম ও বিমের সংযোগস্থলের কাছাকাছি অবস্থান নেওয়া। অথবা দরজার চৌকাঠের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা। ঘরে শক্ত টেবিল থাকলে তার পায়া ধরে নিচে গিয়ে বসে থাকা। কম্পন শেষ হওয়ার পরে ঘর থেকে বের হয়ে খোলা মাঠে কিংবা নিরাপদ জায়গায় যাওয়া।” তিনি আরও বলেন, “ঢাকা শহরের অধিকাংশ অফিস-আদালত ও বাসাবাড়ি থেকে আতঙ্কগ্রস্ত মানুষ সিঁড়ি দিয়ে বাইরে নেমে এসেছে। মাঝারি বা তীব্রতর ভূমিকম্পই হোক না কেন, সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নেমে আসা ঠিক নয়। এভাবে মাঝারিমাত্রার ভূমিকম্পে ভবন ভেঙে পড়ে না। কিন্তু এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে আহত বা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। ২০০১ সালে ঢাকার অদূরে ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের দোতলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নামার সময় প্রায় ১০০ জনের মতো কয়েদি আহত হয়েছিল। আবার ২০০৮ সালে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকায় ৪.৫ মাত্রায় ভূমিকম্পের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ছাত্রছাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে নামতে গিয়ে অনেকে আহত হয়েছিলেন।”

দেখা যাচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশের সরকারী প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের মতামত ভূমিকম্পের সময় ঘরে অবস্থানের পক্ষে। এর যৌক্তিকতা গতকালের টিভি রিপোর্টে সাধারন মানুষের মতামতের মধ্যেই ফুটে উঠতে দেখেছি। এক মহিলাকে বলতে শুনলাম বাসা থেকে বেরিয়ে অনেক দৌড়াদৌড়ি করাও উনি ভবন-দূরবর্তী কোন খোলা জায়গা খুজে পাননি। ইটকাঠের জঙ্গলে ঢাকা শহরে এমন খোলা জায়গা আসলেই দুর্লভ। এছাড়াও আছে মাথার উপরে খোলা বৈদ্যুতিক তারের মরণ ফাঁদ। স্বাভাবিক সময়েই নির্মানাধীন ভবন থেকে ইট খুলে পড়ে যেখানে রাস্তায় পথচারীর মৃত্যু হয়ে, সেখানে ভূমিকম্পের প্রলয়লীলা ঘটলে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নামে আসা মানুষের ভাগ্যে যে কি ঘটতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। ভুমিকম্পে বাড়ির দেয়াল ধ্বসে পড়লেও ঘরের ভেতরই হতাহত হবার ঝুঁকি থাকবে তুলনামূলক ভাবে কম।

ঝড়, বৃষ্টির, সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দূর্যোগে আমরা ঘরে ফিরে আসি নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য। সামাজিক-রাজনৈতিক বিশৃংখলার মাঝেও নিজ গৃহকোণ হয়ে উঠে অনেকের নিরাপত্তার প্রতীক। কিন্তু আমাদের পায়ের নিচের মাটিও যখন আক্ষরিক অর্থে কেঁপে উঠে ভূমিকম্পের আঘাতে, সেই চিরচেনা আশ্রয়ের জায়গাটিকে ভূলে যাবেন না। নাগরিক জীবনের এই ইট-কাঠের জঙ্গলে ভূমিকম্পের সময় ঘরে থাকুন।

তথ্যসুত্রঃ
১) আমেরিকান ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি
২) টাইম ম্যাগাজিন রিপোর্ট (ফেব্রুয়ারী ১, ২০১০)
৩) আর্থকোয়েক কান্ট্রি ওয়েব সাইট
৪) "ট্রায়াঙ্গাল অব লাইফ” সম্পর্কে আমেরিকান রেডক্রসের মন্তব্য
৫) “ট্রায়াঙ্গাল অব লাইফ” সম্পর্কে আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টেরিয়রের বক্তব্য
৬) দ্যা ডেইলি স্টার (জানুয়ারী ২৪, ২০১০)
৭) ভুমিকম্প বিষয়ক বাংলাদেশের খাদ্য ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ের প্রকাশনা
৮) ভুমিকম্প বিষয়ক ভুমিকম্প বিষয়ক ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের প্রকাশনা
৯) দৈনিক কালের কন্ঠ (সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১১)
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখানে সেরা ইগো কার?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪






ব্লগারদের মাঝে কাদের ইগো জনিত সমস্যা আছে? ইগোককে আঘাত লাগলে কেউ কেউ আদিম রোমান শিল্ড ব্যবহার করে,নাহয় পুতিনের মত প্রটেকটেড বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করে।ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, টের পেয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবং আপনারা যারা কবিতা শুনতে জানেন না।

লিখেছেন চারাগাছ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

‘August is the cruelest month’ বিশ্বখ্যাত কবি টিএস এলিয়টের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘The Westland’-র এ অমোঘ বাণী যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন করে এক অনিবার্য নিয়তির মতো সত্য হয়ে উঠবে, তা বাঙালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×