রাসুল সাঃ মেরাজ থেকে ফেরার পর মক্কার কুরায়েশরা একে অবাস্তব ব্যাপার বলে আখ্যায়িত করে আবু বকর রাঃ কে এ ব্যাপারে কিছু বলতে বললে তিনি বললেন এই ঘটনা সম্বন্ধে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। এ ঘটনা বাস্তব সত্য। এই সত্যায়ন আল্লাহ তা’লার নিকট অত্যন্ত পছন্দনীয় হয় এবং এই সত্যায়নের জন্যই আবু বকর রাঃ সিদ্দীক (সত্যায়নকারী) উপাধী পান। এর আগেও পুরুষদের মধ্য থেকে আবু বকর রাঃ আল্লাহ ও তার রাসুলের উপর সর্বপ্রথম ঈমান আনেন এবং তিনি ছিলেন পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইসলামের সত্যায়নকারী। কিন্তু কাফের মুশরিকরা মেরাজ নিয়ে ঠাট্টা মস্করা এবং হাসাহসিতে মেতে ওঠে এবং নিজেরা বলাবলি করতে থাকে যে মুহাম্মাদকে মিথ্যাবাদী প্রমাণ করার এর চেয়ে বড় সুযোগ আর আসবে না। সে মোতাবেক তারা রাসুল সাঃ এর নিকট এসে বলে মুহাম্মাদ তোমাকে আমরা কিছু প্রশ্ন করব। তুমি যদি সত্য উত্তর দিতে পার আমরা মেরাজ এর ব্যাপারে বুঝতে পারব। রাসুল সাঃ প্রশ্নের উত্তর দিতে সম্মত হলেন। তখন মুশরেকরা রাসুল সাঃ কে বায়তুল মোকাদ্দাস কেমন তা বর্ণনা করতে বললেন। রাসুল সাঃ রাতে বায়তুল মোকাদ্দাসে গিয়েছিলেন তাই তার সবকিছু ভাল করে বোঝার অবকাশ ছিল না। মুশরেকরা মুহাম্মদ সাঃ কে বায়তুল মোকাদ্দাসের ব্যাপারে খুঁটিনাটি জিজ্ঞাসা শুরু করলে আল্লাহ তা’আলা মুহাম্মাদের সামনে বায়তুল মোকাদ্দাসের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেন এবং মুহাম্মাদ সাঃ সে অনুযায়ী সব প্রশ্নের উত্তর দেন। এতে কাফের রা হতভম্ব হয়ে পড়ে এবং তাদের মধ্যে থেকে অনেকে কালেমা পড়ে ইসলাম কবুল করে নেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:৪৪