১.
পলাতক হবো। হবোই। ভিতরে নদী পোষে নোনাধোরা স্রোত বইব। তোমাকে বোঝানো যাবে না ভালোবাসার আলাদা কোন মানে নেই। কেবল দিন যাপন হলে আপনিই জন্মে না। যে নদী পোষে ভালোবাসার, তার ভিতরে কেবল প্রবাহিত হয় ভালোবাসার অবিনাশি স্রোত।
২.
দূরে যাবো। যাবোই। তোমার ভালোবাসা আমাকে কতটা পোড়াবে তার পরীক্ষা দরকার। দেহের উত্তাপে দেহ গলে গেলেই কি জন্মে যায় হৃদয় লেনাদেনার সম্পর্ক। আগে বুঝিনি। এইবার তবে জানা হোক হৃদয়ের গলনাঙ্ক।
৩.
অদ্ভুত অন্ধকার আমার চাই। আমি যদি জন্মান্ধ হতাম তবে তোমাকে কামনা করে হতাম ফুলের জন্ম-বৃত্তান্ত; ভ্রমরের সোহাগী স্পর্শে। তবে আমি জন্মান্ধ নই। তাই এমন অদ্ভুত মুগ্ধতা! অদ্ভুত!! মুগ্ধতা!!!
৪.
শহরের সবকটি জানালা গুণে দেখছি একটিতেও উড়ে না নাক্ষত্রিক বাতাস। কেবল সস্তা স্পর্শের গুঞ্জরন। শীৎকারের ভায়োলেন্স। নির্মল পবিত্র কোন আবহ নেই। অন্ধজনের কাতর নিনাদ। চিৎকার।
৫.
আমাকে যদি নদী দাও তবে দিও সূর্যের গলন্ত দিন। নদী ও সূর্যের মহামিলন আমি হতে চাই। কামনার কোন ভাষা নেই জানি, সকলি নৈব্যর্ক্তিক। আমিও কামনা চাই রৌদ্রের ঝিলিক।
৬.
তুই বলছিলি আমাদের দেবদূত হবি। তারপর অষ্ট্রপ্রহর তোর অপেক্ষা। স্বর্গীয় কোন বার্তা এলো না। মানুষের কাছে স্বর্গীয় বার্তা এলে সে আর মানুষ থাকে না। এটা দর্শন। অথচ আমি দর্শন বুঝিনা। তোকে বুঝেছি অষ্টপ্রহর। নষ্টপ্রহর।
৭.
প্রতিটি দেয়ালের নিজস্ব কিছু নৈঃশব্দ্যতা আছে। যেমন আছে মানুষের ঐকান্তিক কিছু নিজস্ব কথা। বোধ। কেবল পার্থ্ক্য হলো দেয়ালের বোবাকান্না আমাদের কানে পৌছায় না।
৮.
আমি আমার মত। তুমি তোমার মত। সে বা তারা তাদের মত। তারপরও কোথায় বাজে মিলনের সুর। দূরে অচিনপুর। অচিনপুর।
৯.
শৈশবের নোনাধরা স্মৃতি; চোখের জলের সে সামার্থ্য নেই ধরে রাখে। হৃদয়ের ক্ষয়িষ্ণু পলেস্তারা প্রতিদিন ভাঙছে নিয়মমতোই। অথচ কোথায় যেনো জমছে হাহাকারের স্তুপ।