শেষ পর্ব
এখন আমি মিসরের সেনাবাহিনীর সদস্য ভাইদের উদ্দেশে কিছু কথা বলতে চাই। আমি এই সেনাবাহিনীকে স্যালুট জানাই। কারণ এই সেনাবাহিনী জনগণের হাতিয়ার, জনগণের সমর্থক ও তাদের গর্ব। কোনো কোনো ভাই আমাকে বলেছেন, আমি যেন সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত প্রশংসা না করি। কারণ তারা আমাকেও হেনস্তা করতে পারে এবং বিপ্লব সফল হওয়ার পথে বাধার সৃষ্টি করতে পারে। আমি তাদেরকে বলেছি, আল্লাহর রহমতে তারা আমাকে গ্রেফতার বা হেনস্থা করবে না। সেনাবাহিনীর প্রথম বিবৃতির পর যখন অনেকেই হতাশ হয়েছিল, তখন আমি আমার সর্বশেষ খুতবায় বলেছিলাম, ‘আমি বিশ্বাস করি, মিসরের সেনাবাহিনী কোনোভাবেই তিউনিসিয়ার সেনাবাহিনীর চেয়ে কম দেশপ্রেমিক হবে না। তিউনিসিয়ার সেনাবাহিনী সে দেশে বিপ্লব সফল হতে সহায়তা করেছে। মিসরের সেনাবাহিনী দেশের এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য চারটি যুদ্ধে অংশ নিয়েছে, দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা এই সেনাবাহিনীর পক্ষে সম্ভব নয়। কোনো এক ব্যক্তির স্বার্থের জন্য দেশের তরুণদের আত্মত্যাগকে তারা অবশ্যই ব্যর্থ হতে দেবে না। মিসরের সেনাবাহিনী মহৎ এবং তারা যুক্তিসঙ্গত আচরণই করবে। আমি শপথ করে বলতে পারি, এই সেনাবাহিনী জনগণের সাথেই থাকবে। গণ-আন্দোলনের শুরু থেকেই তারা এর প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে, যার প্রমাণ আমরা দেখেছি। জনগণের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বিরুদ্ধে তারা কখনো অবস্থান নেয়নি। সেনাবাহিনী তাদের দেয়া বিবৃতিতে বলেছে, তারা জনগণের দাবির বিষয়টি অনুধাবন করত পেরেছে এবং এর বিরুদ্ধে তারা কোনো পদক্ষেপ বা অবস্থান নেবে না। সেনাসদস্যরা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো শক্তি প্রয়োগ করবে না এবং করেনি। সেনাবাহিনী জানিয়ে দিয়েছে, তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে কোনো অবস্থান নেবে না এবং বিকল্প শক্তি হয়েও দাঁড়াবে না। সেনাবাহিনী তাদের বিবৃতিতে এ কথাও জানিয়ে দিয়েছে, তারা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সাথেই যুক্ত থাকতে চায়। ১০ দিনের মধ্যে দেশের সংবিধান সংশোধন করার জন্য সেনাবাহিনী যে কমিশন গঠন করেছে, তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের দায়িত্ব শেষ করবে বলে আমরা আশা করি (চলবে)
গত সংখ্যার পর
সেনাবাহিনীর কাছে আমাদের দাবি, তারা মোবারকের সময়ে গঠিত সরকারের হাত থেকে আমাদেরকে মুক্ত করবে। কারণ ওই সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে। কারণ জনগণ তাদেরকে ছুড়ে ফেলেছে, প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা এখন একটি নতুন সরকার চাই, যে সরকারে পতিত স্বৈরাচার সরকারের কোনো সদস্য থাকবে না। কেননা জনগণ আর তাদের ভার বহন করতে চায় না। ওই লোকদেরকে দেখলেই জনগণের স্মরণ হয়, অন্যায়, অবিচার, হত্যা, মিথ্যাচার, গুপ্তঘাতক এবং অশ্বারোহী ও হস্তীবাহিনীর অভিযানের কথা। ওই লোকদেরকে দেখলেই জনগণের চোখের সামনে ভেসে ওঠে নিপীড়ক বাহিনীর গাড়িগুলোর কথা, যেগুলো অনেক সময় লোকজনের ওপর উঠিয়ে দেয়া হতো। এভাবে গাড়িচাপা দিয়ে অন্তত ২০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। কাজেই মিসরের মানুষ এখন আর ওই হত্যাকারী ও ঘাতকদের সরকারে দেখতে চায় না। আমরা সেনাবাহিনী ও এর কমান্ডের কাছে দাবি জানাই, ওই দুষ্টচক্রের হাত থেকে আমাদেরকে মুক্ত করে একটি নতুন সরকার গঠনের জন্য। আমরা এমন একটি বেসামরিক সরকার গঠনের দাবি জানাই, যে সরকারে থাকবে মিসরের জনগণ, মিসরের সন্তানরা, যারা কোনো অন্যায় ও অপরাধ করেনি। অবিলম্বে সব রাজবন্দী ও রাজনৈতিক কারণে আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দেয়ার জন্য আমরা সেনাবাহিনীর কাছে দাবি জানাচ্ছি। কারণ কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই সামরিক ট্রাইবুøনালে বিচার করে এদেরকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এভাবে বিচারের নামে অনেককে দীর্ঘ দিন ধরে কারা প্রকোষ্ঠে আটকে রাখা হয়েছে। এসব ট্রাইবুøনাল বিলুপ্ত করতে হবে। আমি চাই না আমাদের সাহসী ও মহান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো পাপের বা অন্যায়ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উত্থাপিত হোক। বিচারের নামে যাদেরকে কারাগারে রাখা হয়েছে, তাদের প্রতিটি ঘণ্টা ও প্রতিটি দিন অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে তাদেরকে যারা কারাগারে রেখেছে তাদের পাপের মাত্রাও দিন দিন বেড়ে চলেছে। যত দ্রুত তারা ওই বন্দীদেরকে মুক্তি দিয়ে নিজেদের অন্যায় কাজকে সংশোধন না করবে, তত দিন তাদের পাপের বোঝাও বেড়েই চলবে। এ ছাড়া আমাদেরকে দ্রুত অন্যায়-অবিচার সঙ্ঘটনের পথ রুদ্ধ করতে হবে।
আমি আমার বক্তব্য শেষ করার আগে মিসরের জনগণের উদ্দেশে কিছু কথা বলতে চাই। আমি জানি তারা অনেক অন্যায়-অবিচারের শিকার হয়েছেন। শ্রমিক, কৃষক, কর্মচারীসহ সবাই দীর্ঘ দিন ধরে অবিচার সয়ে আসছেন। আল্লাহ এই পৃথিবী এক দিনে বা কয়েক ঘণ্টায় সৃষ্টি করেননি। তিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে, যদিও ‘হও’ এবং সাথে সাথে ‘হয়ে যেত’ এভাবে পৃথিবীটা সৃষ্টি করার ক্ষমতা তার ছিল। কিন্তু আমাদেরকে ধৈর্য শিক্ষা দেয়ার জন্য তিনি তা করেননি। আমাদেরকে অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে। যারা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন, ধর্মঘট করছেন, অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন, তাদের সবার প্রতি আমি আহ্বান জানাব, কাজের মাধ্যমে তাদের এই বিপ্লবে অবদান রাখার জন্য। মিসর আপনাদের কাজ চায়। মিসরের অর্থনীতি খুবই অনুন্নত। আমরা যারা এই বিপ্লবকে সমর্থন করেছি তাদের উচিত নয় দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে ও মিসরকে গড়ার পথে বাধার সৃষ্টি করা। যারা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন, যারা ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছেন তাদেরকে ধৈর্য ধারণ করার জন্য আমি আহ্বান জানাই। তাদেরকে বোঝানোর জন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ধর্মঘট পালনকারীদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য আমি সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাাচ্ছি। আপনারা তাদেরকে আশ্বস্ত করুন যে, তারা যা চাচ্ছেন, আপনারা সে পথেই অগ্রসর হচ্ছেন। মিসর যাতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে সে চেষ্টাই যে সেনাবাহিনী করে যাচ্ছে সেটা আপনারা তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। মিসরের সব মানুষই এখন দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগে আগ্রহী। সবাই এখন দেশকে কিছু দিতে চায়। আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাব নতুন মিসর গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য। আমরা এখন একটি নতুন পর্যায়ে উপনীত হয়েছি, যে পর্যায়ে সত্যের বিজয় এবং মিথ্যার অবসান ঘটেছে। অবশ্যই এখন মিসরবাসীর সামনে সময় এসেছে প্রত্যেকের ন্যায্য অধিকার লাভের, প্রত্যেকেরই ন্যায্য পাওনা পাওয়ার। প্রতিটি নাগরিককেই সমান মর্যাদা দিতে হবে। অন্য দিকে সেনাবাহিনীতে আমাদের যে ভাইয়েরা রয়েছেন তাদের ব্যাপারেও আমাদেরকে সহনশীল হতে হবে, যাতে আমাদের সব আশা-আকাঙ্ক্ষা একের পর এক পূরণ হতে পারে। ‘বল, তোমরা কাজ কর, আল্লাহ তোমাদের কাজ দেখেন এবং তাঁর রাসূল ও মুমিনরা এবং তোমরা সে সত্তার দিকে ফিরবে, যিনি পরিজ্ঞাত দৃশ্য-অদৃশ্য সব কিছু, অতঃপর যা করেছে তা তিনি অবহিত করবেন তোমাদের’ (সূরা তাওবাহ, আয়াত ১০৫)। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন এবং তিনি আপনার প্রার্থনা শুনবেন।
সকল প্রশংসাই আল্লাহর, যিনি পাপ ক্ষমা করে থাকেন। যার কোনো অংশীদার নেই। বেহেশত ও এই পৃথিবীর সব কিছুই তাঁরই মহিমার প্রতীক। সব প্রশংসা এবং সার্বভৌমত্ব কেবল তাঁরই এবং সব কিছুর ওপর তিনি ক্ষমতাবান। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আমাদের নেতা, আমাদের আদর্শ ও আমাদের সবচেয়ে প্রিয় মোহাম্মদ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। তিনি আল্লাহর আলোকবর্তিকা বহনকারী, তিনি সতর্ককারী, তাঁর ও তাঁর পরিবার এবং সঙ্গীদের ওপর আল্লাহর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।
পরম করুণাময় দয়াময়, আল্লাহর নামে। ‘বল, এটা আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত, তাই তারা উৎফুল্ল হোক, ওরা যা পঁুজি করে এটা তদপেক্ষা উত্তম’ (সূরা ইউনুস, আয়াত-৫৮)। আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন এই উম্মাহর আজকের দিনটি গতকালের চেয়ে উত্তম করে দেন এবং আগামীকালের দিনটি যেন আজকের চেয়ে ভালো করে দেন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের প্রতি সদয় হোন এবং আমাদেরকে অপরাধী বানাবেন না। আপনি আমাদেরকে দান করুন এবং বঞ্চিত করবেন না। আপনি আমাদেরকে কম নয়, অধিক দান করুন। আমাদেরকে অগ্রাধিকার দিন এবং আমাদের চেয়ে অন্যদেরকে অগ্রাধিকার দিয়েন না। আপনি আমাদের ওপর সন্তুষ্ট থাকুন এবং আমাদেরকেও সন্তুষ্ট রাখুন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের ক্ষমা করুন। এই পৃথিবীতে আমাদেরকে সঠিকভাবে ধর্ম পালনের তওফিক দান করুন। হে আল্লাহ আপনি আমাদের ঘাটতিগুলো পূরণ করে দিন এবং ভয়ভীতি দূর করুন। আমাদের সামনে-পিছনে, ডানে-বায়ে, উপরে-নিচে যা কিছু আছে তা থেকে আমাদেরকে হেফাজত করুন। আমরা আপনারই শক্তির কাছে আশ্রয়প্রার্থী। আপনি আমাদেরকে ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা করুন। হে আল্লাহ এই দেশের জন্য আপনি আপনার রহমতের দরজা উন্মুক্ত করে দিন। এ দেশের মানুষকে সঠিক পথে চলার তওফিক দান করুন। হে আল্লাহ তাদেরকে বিশাল বিজয় অর্জনে সাহায্য করুন। আপনি তাদের ওপর আপনার পরিপূর্ণ দয়া ও রহমত দান করুন। তাদের হৃদয় প্রশান্তিতে ভরে দিন। আপনার দয়া ও ভালোবাসা তাদের ওপর ছড়িয়ে দিন। হে আল্লাহ আমাদের প্রার্থনাগুলোকে পরিশুদ্ধ করুন। আমাদের কাজগুলোকে বোকামি থেকে, আমাদের আত্মাগুলোকে দুর্বলতা থেকে, আমাদের হৃদয়গুলোকে আনুগত্যহীনতা থেকে, আমাদের জিহবাগুলোকে মিথ্যা বলা থেকে, আমাদের চোখগুলোকে বিশ্বাসঘাতকতা থেকে, আমাদের প্রার্থনার কাজগুলোকে ধোঁকাবাজি থেকে ও আমাদের জীবনকে স্ববিরোধিতা থেকে রক্ষা করুন। হে আল্লাহ আমাদেরকে এই দুনিয়ার সব কলঙ্ক ও অসম্মান এবং পরকালের কঠিন আজাব থেকে রক্ষা করুন। ভুলভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদেরকে সঠিক পথে চলার তওফিক দান করুন। হে আল্লাহ আমরা আপনার দয়ার আশাতেই বসে আছি, আপনি আমাদেরকে নিরাশ করবেন না। আপনি ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই। আমরা আপনারই সাহায্য ও করুণা প্রার্থী।
আমি আমার বক্তব্য ও খুতবা শেষ করার আগে আরব দেশগুলোর শাসকদের উদ্দেশে কয়েকটি কথা বলতে চাই। আমি তাদের উদ্দেশে বলতে চাই ‘আপনারা উদ্ধত হবেন না। নিজেদেরকে প্রতারিত করবেন না। ইতিহাসকে থামিয়ে দেবেন না। সৃষ্টিকর্তার নির্দেশের বিরুদ্ধে লড়াই করে কেউ বিজয়ী হতে পারবেন না, নতুন দিনের সূর্যোদয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে বা বিলম্ব ঘটাতে পারবেন না। এই বিশ্ব বদলে গেছে, বিকশিত হয়েছে। আরববিশ্বও বদলে গেছে ভেতর থেকে। কাজেই জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না। তাদের সাথে সমঝোতায় আসুন। তাদের সাথে প্রতারণার চেষ্টা করবেন না। ফাঁকা বুলি দিয়ে তাদেরকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করবেন না। জনগণ নীরব হয়ে বসে থাকবে এমনটি এখন আর সম্ভব নয়। তাদের সাথে অর্থবহ সংলাপে বসুন ও গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাদের সাথে সমঝোতা করুন। জনগণের মানসিকতা ও মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখান। আরব শাসকদের প্রতি এটাই আমার বার্তা।
এখন আমি ফিলিস্তিনি ভাইদের উদ্দেশে একটি বার্তা দিতে চাই। আল্লাহপাক মিসরে বিজয় দান করার মাধ্যমে আমার চোখের পাতায় শান্তির পরশ বুলিয়ে দিয়েছেন। আল আকসা মসজিদ খুলে দিয়েও সেখানে আমাকে নামাজ আদায় করার সুযোগ দিয়ে আল্লাহ আমার চোখে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেবেন। হে আল্লাহ নিরাপদে ও ভয়ভীতিমুক্ত হয়ে আল আকসা মসজিদে প্রবেশ করার ও সেখানে নামাজ আদায় করার সুযোগ করে দিন। আপনি আমাদের জন্য এটি বাস্তবে পরিণত করুন।
হে ফিলিস্তিনি ভাইয়েরা, এই বিশ্বাস রাখুন যে, বিজয়ী হওয়ার জন্য আপনারা সাহায্য পাবেন। রাফাহ ক্রসিং আপনাদের জন্য খুলে যাবে। মিসরের সেনাবাহিনী, সশস্ত্র বাহিনীর সুপ্রিম কাউন্সিলের কাছে এটাই আমার দাবি। আপনারা রাফাহ ক্রসিং খুলে দিন। আমাদের ও আমাদের ভাইদের মধ্যে যে দেয়াল রয়েছে সেটা উন্মুক্ত করে দিন। গাজা মিসরের অংশ, মিসরও গাজার অংশ। মিসরকে অবশ্যই গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য সমর্থন দিতে হবে। মিসর হবে গাজাবাসীর জন্য একটি শক্তি, একটি দুর্গ। মিসর ফিলিস্তিনিদের জন্য চারটি যুদ্ধ করেছে। কাজেই তাদের রাস্তা বন্ধ করে রাখা যথাযথ কাজ নয়। যে ক্রসিংগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে, বিশেষ করে রাফাহ ক্রসিং অবশ্যই খুলে দিতে হবে। আমাদের ভাইদের জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় রসদ সামগ্রী নিয়ে গাড়িগুলো যে পথ দিয়ে চলাচল করবে সেগুলো বন্ধ রাখা উচিত নয়। আমাদের প্রিয়, মহৎ ও সাহসী সেনাবাহিনীর কাছে এটাই আমার দাবি।
মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে আমার প্রার্থনা, তিনি যেন আমাদেরকে সঠিক পথে চলার ও সঠিক কাজগুলো করার তওফিক দান করেন। হে আল্লাহ আপনি আমাদেরকে ও যারা আমাদের আপনার পথে নিয়ে এসেছে তাদেরকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ আপনি দয়ালু, আপনি করুণাময়। হে আল্লাহ আপনি আপনার প্রেরিত রাসূল মোহাম্মদ, তাঁর পরিবার, সাহাবিরা এবং কিয়ামত পর্যন্ত যারা তাদেরকে অনুসরণ করবেন তাদের ওপর আপনার রহমত বর্ষণ করুন। আমিন। এখন আপনারা নামাজের জন্য দাঁড়িয়ে যান। নামাজ অবশ্যই মানুষকে মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে এবং মন্দ কাজ তিরস্কারযোগ্য। (সমাপ্ত)।