somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তাহরীর স্কয়ারে ড. ইউসুফ আল কারজাভির ভাষন

০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
তাহরীর স্কয়ারে ড. ইউসুফ আল কারজাভির ভাষন



বর্তমান বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও প্রভাবশালী সুন্নি আলেম হচ্ছেন মিসরের আল্লামা ড. ইউসুফ আল কারজাভি। ইসলাম ও সমকালীন বিভিন্ন বিষয়ে তার অগাধ জ্ঞান ও পাণ্ডিত্য তাকে খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে গেছে। ড. কারজাভি ১৯২৬ সালে নীল নদের তীরবর্তী সাফাত তুরাব গ্রামের এক দরিদ্র ধর্মপ্রাণ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র দুই বছর বয়সেই তিনি পিতাকে হারান। তার চাচারা তাকে লালনপালন করেন। মাত্র ৯ বছর বয়সে তিনি কুরআনে হাফেজ হন।
এরপর তিনি তান্তা এলাকায় একটি মাদরাসায় ভর্তি হন এবং ৯ বছর অধ্যয়নের পর সেখান থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি ধর্মতত্ত্বের ওপর পড়াশোনার জন্য মিসরের বিশ্ববিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৫৩ সালে তিনি এখান থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর অ্যাডভান্সড অ্যারাবিক স্টাডিজ ইনস্টিটিউট থেকে তিনি আরবি ভাষা ও সাহিত্যে ১৯৫৮ সালে ডিপ্লোমা অর্জন করেন। পরে একই প্রতিষ্ঠানের ফ্যাকাল্টি অব রিলিজিয়নস ফান্ডামেন্টাল (উসুল আল দ্বীন) থেকে কুরআন ও সুন্নাহ সায়েন্সে স্নাতক এবং ১৯৬০ সালে কুরআনিক স্টাডিজে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬২ সালে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে কাতারের সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউট অব রিলিজিয়াস স্টাডিজের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য পাঠানো হয়। ১৯৭৩ সালে জাকাত ও সামাজিক সমস্যা সমাধানে এর প্রভাব বিষয়ে আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে পিএইচডি অর্জন করেন কারজাভি।
১৯৭৭ সালে ড. কারজাভি কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম শরিয়াহ ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই ফ্যাকাল্টির ডিন হন। একই বছর তিনি সিরাত ও সুন্নাহ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি আলজেরিয়ার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে সায়েন্টিফিক কাউন্সিল বিভাগে চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেন। দুই বছর এই দায়িত্ব পালনের পর আবার তিনি কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাত ও সুন্নাহ সেন্টারের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ফিরে আসেন। এখন পর্যন্ত তিনি এই পদেই দায়িত্ব পালন করছেন।
ড. কারজাভি আয়ারল্যান্ডের ইসলামি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর ফতোয়া অ্যান্ড রিসার্চের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি ইন্টারনাল ইউনিয়ন ফর মুসলিম স্কলার্সের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। কাতারে দীর্ঘ দিন অবস্থানকালে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অনেক বই লিখেছেন, যা বিশ্বব্যাপী বহুল আলোচিত ও পঠিত হয়েছে। এ ছাড়া তিনি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইসলাম অনলাইন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। কাতারভিত্তিক আলোচিত টিভি চ্যানেল আলজাজিরায় তার সাপ্তাহিক প্রোগ্রাম শরিয়াহ ও জীবন সারা বিশ্বের প্রায় চার কোটি মানুষ দেখে থাকেন।
ড. কারজাভি রাজনীতিতেও জড়িত হয়েছিলেন। ইখওয়ান আল মুসলেমিন বা মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে যুক্ত থাকার জন্য মিসরের তৎকালীন বাদশাহ ফারুকের শাসনামলে ১৯৪৯ সালে ও পরবর্তী সময়ে প্রেসিডেন্ট জামাল আবদুন নাসেরের আমলে তিনবার গ্রেফতার হয়ে জেল খাটেন। ১৯৬১ সালে তিনি মিসর ছেড়ে কাতারে চলে যান। দীর্ঘ দিন তিনি সেখানেই কাটিয়েছেন, দেশে ফেরেননি। এ বছর প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন শুরুর পর তিনি প্রথমবারের মতো মিসরে ফেরেন। মোবারকের পতনের এক সপ্তাহ পর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কায়রোর তাহরির স্কোয়ারে সমবেত প্রায় ২০ লাখ মুসল্লির সমাবেশে তিনি জুমার খুতবা দেন। তার সেই ঐতিহাসিক খুতবা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। খুতবাটির গুরুত্ব অনুধাবন করে এখানে তার অনুবাদ প্রকাশ করা হলো। অনুবাদ করেছেন মোতালেব জামালী

সব প্রশংসা আল্লাহর। ‘প্রশংসা আল্লাহরই, যিনি আমাদের এই পথ প্রদর্শন করেছেন। আল্লাহ আমাদের পথ না দেখালে আমরা কখনোই এ পথ খুঁজে পেতাম না’ (সূরা আরাফ, আয়াত ৪৩)।
হে আমাদের প্রভু, সব প্রশংসা তোমারই প্রাপ্য, সব কিছুতে তোমারই ক্ষমতা ও মাহাত্ম্য প্রকাশিত হয়। সব প্রশংসা তোমারই যে প্রশংসা সীমাহীন, চমৎকার ও মহিমান্বিত। যে প্রশংসায় পরিপূর্ণ হয়েছে বেহেশতগুলো আর এই বিশ্ব ও এই বিশ্বের মাঝখানের সব কিছু। সব প্রশংসাই আল্লাহর, যিনি বিশ্বাসীদের বিজয়ী হতে সাহায্য করেন এবং অবিশ্বাসীদের পর্যুদস্ত ও নিগৃহীত করেন। সব প্রশংসাই আল্লাহর। আমরা তারই প্রশংসা করি এবং তারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি; আমরা তারই নির্দেশনা প্রার্থনা করি এবং তারই কাছে ক্ষমা চাই। আমরা তারই কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি। আমরা আমাদের খারাপ কাজ ও মন্দ মনোবাসনাগুলো থেকে বাঁচার জন্য তারই কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি। তিনিই উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন। হে মহান আল্লাহ, আমরা তোমারই প্রশংসা করি এবং তোমাকেই ধন্যবাদ দিই। যারা তোমাকে প্রত্যাখ্যান করে তাদের দিক থেকে আমরা মুখ ফিরিয়ে নিই, তাদের আমরা পরিত্যাগ করি। তুমি ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই। আল্লাহ ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। তিনি তার প্রতিশ্রুতিকে সত্যে পরিণত করেছেন। তিনি তার বান্দাদের বিজয়ী হতে সাহায্য করেছেন। তিনি তার সৈনিকদের শক্তিশালী করেছেন। অন্যায় ও অসত্যকে তিনি একাই পরাজিত করেছেন। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই, তাঁর কোনো শরিক নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই। ‘হে সারা জাহানের বাদশাহ, তুমি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব দান করো এবং যার থেকে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নাও, তুমি যাকে ইচ্ছা শক্তিশালী করো আবার যাকে ইচ্ছা হীন করো। সবই তোমার সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে। তুমিই সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।’ (সূরা আল ইমরানঃ আয়াত ২৬)।
আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমাদের নেতা, আমাদের আদর্শ ও আমাদের সবচেয়ে প্রিয়জন মোহাম্মদ (সাঃ) হচ্ছেন আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসুল। তাঁর ওপর, তাঁর ভাইদের ওপর, নবী ও রাসূলদের ওপর বিশেষ করে হজরত নূহ আঃ, ইব্রাহিম আঃ, মুসা আঃ ও ঈসা আঃ এবং তাদের অনুসারীদের ওপর শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত আল্লাহর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।
এখন আমরা আমাদের মূল আলোচনায় আসতে চাই। হে আমার ভাইয়েরা, হে আমার ছেলে ও মেয়েরা, হে আমার নাতি-নাতনিরা, হে মিসরের সন্তানেরা! খুতবায় ইমাম বা আলেমরা সাধারণত বলে থাকেন, ‘হে মুসলমানেরা’, কিন্তু আজ তাহরির স্কোয়ারের এই জনসমুদ্রে আমি বলতে চাই, ‘হে মুসলিম ও কপটিক খ্রিষ্টান ভাইয়েরা, হে মিসরের সন্তানেরা’। আজকের এই দিনটি মিসরের সব মানুষের জন্য। আজকের এই দিনটি কেবল মুসলমানদের জন্য নয়। আজ আমি তাহরির স্কোয়ারে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখছি, কিন্তু আমি মনে করি এই স্কোয়ারের নাম হওয়া উচিত ‘২৫ জানুয়ারি বিপ্লবের শহীদদের চত্বর’। কেননা এই বিপ্লব সারা বিশ্বের মানুষকে শিখিয়ে দিয়েছে বিপ্লব কেমন হওয়া উচিত। এটি কোনো সাধারণ বিপ্লব নয়, ‘এটি এমন একটি বিপ্লব, যা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এই বিপ্লবে যে যুবকরা বিজয় অর্জন করেছে তারা কেবল মোবারকের বিরুদ্ধেই বিজয়ী হয়নি। বরং তারা বিজয়ী হয়েছে অবিচারের বিরুদ্ধে, তারা বিজয়ী হয়েছে মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে। তারা বিজয় অর্জন করেছে ডাকাতি ও লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে। অহংবোধের বিরুদ্ধে লড়াই করে তারা বিজয়ী হয়েছে এবং বিপ্লবে একটি নতুন প্রাণ ও প্রেরণার সঞ্চার করেছে।
এই বিপ্লব সফল করার জন্য প্রথমেই আমি যাদের অভিনন্দন জানাতে চাই তারা হচ্ছে যুব সম্প্রদায়। এই যুবকদের কেউ কেউ হয়তো ভেবেছিল যে, লড়াইয়ে তারা বিজয়ী হতে পারবে না। কিন্তু আমি আমার আগের এক বক্তব্যে আল্লাহর নামে শপথ করে বলেছিলাম যে, এই বিপ্লব অবশ্যই সফল হবে এবং এই যুবকরা কখনোই পরাজিত হতে পারে না। কারণ আমি আল্লাহর ওয়াদায় বিশ্বাস করি, যিনি কখনোই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন না বা ওয়াদা করেন না। আল্লাহ বিশ্বাসী বা ঈমানদারদের বিজয়ী হতে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আল্লাহ মিথ্যার ওপর সত্যকে বিজয়ী হতে সাহায্য করার ওয়াদা করেছেন। ‘এবং বলো, সত্য এসেছে, মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, মিথ্যা বিলুপ্ত হবেই’ (সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত ৮১)। সত্যের ওপর মিথ্যা বিজয়ী হবে এমনটি কখনোই সম্ভব নয়। মিথ্যা হয়তো সাময়িকভাবে টিকে থাকতে পারে কিন্তু সত্যের জয় চিরকালের, শেষ দিন পর্যন্ত সত্য বিজয়ী হয়ে থাকবে। ‘যা ময়লা তা মূল্যহীন জিনিস হিসেবে চলে যায়, আর যা মানবজাতির জন্য কল্যাণকর তা এই পৃথিবীতে টিকে থাকে’ (সূরা আর রাদ, আয়াত ১৭)। এই বিপ্লবের বিজয় ছিল অনিবার্য। এই ফেরাউন ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে মিসরের এই সন্তানদের বিজয় অর্জিত না হয়ে পারে না। সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাসীরা সব হুমকি ও ভয়ভীতি উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয়েছে। ফেরাউনকে মিসরবাসী চূড়ান্ত জবাব দিয়ে দিয়েছে।
ফেরাউন মিসরের জনগণকে বলেছিল, ‘আমি তোমাদের অনুমতি দেয়ার আগেই তোমরা মুসাকে বিশ্বাস করলে?’ (সূরা ত্বা-হা, আয়াত ৭১)। ঠিক একইভাবে এই ফেরাউনও বলেছে, ‘আমি তোমাদের বিপ্লব করার অনুমতি দেয়ার আগে তোমরা কি বিপ্লব করতে পারবে? ফেরাউনের অনুমতি লাভের আগে হৃদয়ের কোনো কিছু বিশ্বাস করা, মনের কোনো কিছুতে প্রভাবিত হওয়া বা অঙ্গুলির সামান্যতম নড়াচড়া করা যাবে না! আমি তোমাদের অনুমতি দেয়ার আগেই তোমরা তাকে বিশ্বাস করেছ? আমি তোমাদের বিপ্লব করার অনুমতি দেয়ার আগেই তোমরা বিপ্লব করতে চাও? মিসরের সন্তানেরা, যারা একদা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, তারা দৃঢ়তার সাথে বলল‘কখনোই তোমাকে গুরুত্ব দেবো না, আমাদের কাছে যে স্পষ্ট আয়াত এনেছে তার ওপর এবং যিনি সৃষ্টি করেছেন তার ওপর; সুতরাং তোমার যা করার তুমি করতে পারো’ (সুরা ত্বা-হা আয়াত ৭২)। দেখুন, মানুষ সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস স্থাপনের আগে কেমন থাকে আর বিশ্বাস স্থাপনের পরে কেমন হয়। ফেরাউন যেসব জাদুকরকে মিসরের বিভিন্ন এলাকা থেকে এনে জড়ো করেছিল তারা তাদের দড়ি ও লাঠি ছুড়ে দিয়ে বলল, ‘ফেরাউনের ইজ্জতের কসম, আমরাই বিজয়ী হবো।’ (সূরা শু’আরা, আয়াত ৪৪)। এবং ‘জাদুকররা এসে ফেরাউনকে বলল, আমরা বিজয়ী হলে আমাদের জন্য পুরস্কার থাকবে তো? ফেরাউন বলল, অবশ্যই, তোমরা এখন নৈকট্যদের শামিল হবে (সূরা শু’আরা, আয়াত ৪১ ও ৪২)। সেখানে অর্থ, পদ-পদবি ও নানা রকম সুযোগ-সুবিধা লাভের প্রলোভন ছিল। কিন্তু একবার বিশ্বাস স্থাপনের পর, মিসরের সেই সত্যানুসন্ধানী লোকদের সামনে সত্যের দরজা উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ার পর তারা কী করেছিল? ‘জাদুকররা বলল, কখনোই তোমাকে গুরুত্ব দেবো না, আমাদের কাছে যে স্পষ্ট আয়াত এনেছে তার ওপর এবং যিনি সৃষ্টি করেছেন তার ওপর; সুতরাং যা করার করতে পারো, তুমি হুকুম চালাতে পারো কেবল এ পার্থিব জীবনের ওপর। আমরা তো আমাদের রবের ওপর ঈমান এনেছি, যাতে আমাদের সব গুনাহ ক্ষমা করেন, তুমি আমাদের যে জাদুতে বাধ্য করেছ তার চেয়ে আল্লাহ উত্তম ও স্থায়ী’ (সূরা ত্বা-হা, আয়াত ৭২ ও ৭৩)।
মিসরীয়রা যখন বিশ্বাসী হয় তখন পরিস্থিতি এ রকমই হয়ে ওঠে। এর কারণ হচ্ছে বিশেষ করে মিসরীয় যুবকদের মধ্যে স্বার্থপরতার পরিবর্তে পরহিত বা পরোপকারের ইচ্ছা দিন দিন বাড়ছে। তারা ধনী-দরিদ্র, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, শ্রমিক বা সংস্কৃতিমনা-সমাজের যে শ্রেণী পেশার মানুষই হোন না কেন তাতে কিছু যায় আসে না। সমাজের সব শ্রেণীর যুবকদের মধ্যেই মানসিকতায় পরিবর্তন আসছে। এই সমাজের মুসলিম ও কপটিক খ্রিষ্টান, রক্ষণশীল ও উদারপন্থী, ডানপন্থী ও বামপন্থী, নারী ও পুরুষ, বৃদ্ধ ও তরুণ সবাই এক সূত্রে নিজেদের গেঁথে নিয়েছে। মিসরকে অবিচার (জুলুম) ও স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত করতে সবাই একসাথে কাজ করেছে। মিসরের মুক্তি অনিবার্য হয়ে উঠেছিল, কেননা যুবকরা এটা চেয়েছিল। আর যখন যুবকরা কোনো কিছু করতে ইচ্ছা করে তখন আল্লাহর ইচ্ছার ছায়াতলে তা আশ্রয় পায় ( চলবে)

সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৫৫
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সেকালের গ্রামের বিয়ের বর দেখা

লিখেছেন প্রামানিক, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৩


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

একদিন পরেই শুক্রবার। সকালেই বাবাকে ঐ বাড়ির ঘরবর (অর্থাৎ বর দেখা অনুষ্ঠানকে আঞ্চলিক ভাষায় ঘরবর বলে) উপলক্ষে ডাকা হয়েছে। বাবা সকালে গিয়ে বর দেখা উপলক্ষ্যে কি কি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওবায়েদুল কাদের কি মির্জা ফখরুলের বাসায় আছেন?

লিখেছেন রাজীব, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮

"পালাবো না, পালিয়ে কোথায় যাবো? দরকার হলে মির্জা ফখরুলের বাসায় আশ্রয় নেবো। কি ফখরুল সাহেব, আশ্রয় দেবেন না?" ওবায়েদুল কাদের একটি জনসভায় এই কথাগুলো বলেছিলেন। ৫ই আগষ্টের পরে উনি মির্জা... ...বাকিটুকু পড়ুন

যোগ্য কে???

লিখেছেন জটিল ভাই, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪১

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)




(সকল... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতান্ত্রিকভাবে লীগকে ক্ষমতার বাহিরে রাখা যাবে আজীবন।

লিখেছেন শাহিন-৯৯, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৩



লীগ সদ্য বিতাড়িত কিন্তু তাদের সাংগঠিক কাঠামো এখনো পূর্বের মতই শক্তিশালী শুধু ছোবল দিতে পারছে না, স্থানীয় নেতারা বিএনপির নেতাদের বড় অংকের টাকার বিনিময়ে ইতিমধ্যে এলাকায় প্রবেশ করছে তবে মুখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেললেন মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৪১


মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী লম্বা রেইসের ঘোড়া মনে হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া হতে বেডরুমে যার নিয়োগ নিয়ে অস্বস্তি আছে তিনি খুব দ্রুত শিখে গেলেন কিভাবে মানুষের মাথা ঠান্ডা করতে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×