মেয়ে; তোমার সব কিছুই বাঁকা লাগে, কেন বলতো?
বাঁকা কলা, চলা, বলা, বাঁকা গলা, বাঁকা চোখ, দন্ত!
তোমাকে ডাইনি, পাপের উৎস বলে পুড়ে মারে অপবাদে?
খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, হিন্দু, মুসলিম, ঈশ্বরে-অনীশ্বরে পূজা হয় তুমি বাদে!
তুমি গন্ধমের গালি, আঠকপালী, পুরুষের জিবের চটচটে রস!
পুরুষ বলে ভাত দে, দেহ দে, যৌতুক দে; মাগীর কত্ত সাহস!
মেয়ে; তোমার চলার পথ আটাকাঠি, তোমার পায়ে আঠুলে মাটি,
তুমি সকল অপবাদের কাই; লেই; গাঁদ; তুমিই অশান্তির আগুনের পাটকাঠি!
মেয়ে; তোমার চিন্তার ঘরের চারিদিকে দুর্গম কারাকোরাম!
প্রমদবিহারে তুমি বাঈজী, যৌনদাসী, সতীদাহ, তুমি ঈশ্বরের দুর্ভোগ, ব্যারাম!
তুমি স্বৈরাচারের ফার্নিচার, পর্দা, ফুলের টব, সন্তানের কারখানা, জঞ্জালের সর্বাগ্রে বসার আসন!
মেয়ে; তুমি তনু, পূর্ণিমা, ইয়াসমিনদের পাড়াতো ভাইয়ের ধর্ষণ!
এই নিষ্ঠুর, নৃশংস, খুনি সমাজের সকল ধর্মে সকল বর্ণে ধর্ষকেরা ভাই ভাই,
ওরা পুরুষ কারবারি, ওদের জাত পাত নাই, শুধু যৌনী চাই!
হতভাগী জেগে উঠ! আর কত কেঁদে ভিজাবে বুকের আঁচোর?
চিৎকার করে গালি দে, রাজপথে নেমে আয়, মুছে দেয় ধর্ষণের আঁচড়!
একবার সাহস করে ঘুরে দাঁড়া!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮