মন্দিরের অন্দরে বেঁধে রাখা দাসীদের
উচ্ছল যৌবন মেখে মেখে,
প্রতি রাতে উষ্ণ পানিতে স্নান করে কবি,
কবির ক্যাবখানা!
বিবিদের হিসেবের সময় নেই কবির,
প্রতি রাতে কবিতার আশায় খাড়া হয়ে থাকে কলম,
কাগজের বিছানা!
কি বার্তা লিখবে কবি জগতের জন্য,
মাথায় তো আসে না?
কবির লালসা জ্বলে যৌনতলায়, বর্বরতায়,
বিবেক আমলে মিশে না!
কবি চিন্তায় অস্থির হয়ে পড়ে
লঙ্কা থেকে নজরানা পাওয়া উলঙ্গ দাসীর ঘরে,
কি বলবে রাত পোহালে, জানে না!
কোথায় কুণ্ডের তীর্থ যাত্রী? কোথায় ধর্মশালা?
বন্ধ কর এবেলা, অপমান আর সহ্য হয় না!
দিনে দিনে সতী নারীর দেহ আঁকে কবিতায়,
জমিনে বৃদ্ধ কবির প্রলয় নৃত্য, তবু শুক্রাণু জাগে না!
চরম বিরক্ত হয়ে কবির মাথায় খেলে যায় খুনের নেশা,
রক্তের বন্যা!
মহাকবির ভালবাসায় বিভীষিকা ছড়িয়েছে,
চারিদিকে মানুষের কান্না!
কবি শব্দ খুঁজে নতুন কবিতার,
নির্জন দুর পাহাড়ে বসায় মিথ্যার ধর্না!
কবি লিখে যায়,
ডানায় ভর করে এসেছে কামনার দেবী আফ্রোদিতি
একান্তে কাম সাধনায়!
কিন্তু কবির পড়শী বলছে ভিন্ন কথা!
যৌবনে অশান্ত আফ্রোদিতিরা
কবির মিথ্যে শান্তির কবিতা শুনতে চায় না,
তাঁরা রাতের হিস্যা চায়!
অশান্ত শরীরকে শান্ত করার কবিতা শুনতে চায়!
অবশেষে মহাকবি অপারগ হয়ে সীতাদের সুধায়,
‘কসম লঙ্কাদ্বীপতির, রাম বলেছে শান্ত থাকো!
কবির বদনাম করোনা, তোমরা নরকে জ্বলবে!
নেমে এলো চারিদিকে শোকের স্তব্ধ নীরবতা,
কবি নতুন কবিতা লিখবে
দেবরাজ জিউসের, দেবী হেরা, এথেনার ঘরে,
সীতাকুণ্ড পাহাড়ে, জগতের মূর্খ পাঠকের আমন্ত্রণে!
//......//
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০