মেডিকেল অফিসার প্রেশার দেখে বলল, লো প্রেশার!
আমার চক্ষুচড়ক! প্রতিদিন ৫ এমজি কেমলোডিন খেয়ে খেয়ে বিরক্ত, যাক বাঁচা গেল!
নাকে পানি ঝরছে কদিন থেকে, চাইনিজ ইউনিভার্সাল অয়েল নিত্যদিন ইউজ করতে আর ভাল্লাগেনা, বলল হাবিজাবি বাদ, এখন থেকে রিনোসেনিল স্পে করতে।
আগের রাতে মুখোমুখি হওয়া ভয়ানক মুখোচ্ছবিটা কিছুতেই চোখ থেকে সরছে না!
মেডিকেল অফিসার নার্সকে বলে গেল একটা রামেলটন ৮এমজি দিতে,
ওয়ার্ডে রোগী কম,
পাশের বেডের জ্বরের রোগীটা সন্ধ্যা থেকেই কাতরাচ্ছে,
নার্সকে বললাম কোনার বেডটা খালি আছে আমি সেখানে ঘুমাতে চাই' নার্স রাজি হল,
যথারীতি রিসিপশনের লাইট বাদে নার্স সব লাইট নিভিয়ে দিল।
শুনশান নিরবতায় ঘুমের অপেক্ষায় আছি!
হঠাত পায়ের সাথে ঠান্ডা কিছু অনুভব করলাম!
তাকিয়ে দেখতে চেষ্টা করলাম, না কিছুই না!
চোখ মেলে কাত হয়ে শুয়ে আছি, আচমকা মৃদুতর কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছিল কানে, খেয়াল করলাম আওয়াজটা আমার বেডের নিচ থেকে আসছে, নিচু হয়ে দেখতে লাগলাম, না, কিছুই না!
আবার সোজা হয়ে শুতেই দেখি সেই জ্বরপীড়িত রোগীটা হাসি মুখে আমার সামনে দাড়িয়ে আছে!
চোখবুজে চিতকার করে নার্সকে ডাকলাম নার্স....নার্স! (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬