মাদারছোদ, বাইনছোদ! সাবধান, আরামে দাঁড়া, জলদি চল, ডানে বায়ে ঘুর, স্যালুট! এভাবে কিছু রোবটদের নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছে টেকনিক্যাল অফিসার! কিন্তু নতুন রোবটদের মাইক্রো কন্ট্রোলার লোকাল বাজার থেকে আলুর দামে কেনা বিধায় ভীতরে কোন প্রোগ্রামই সেট করা যাচ্ছে না সুবিধামত!
অর্বাচীন ইঞ্জিনিয়াররা টাকায় কেনা যৌনসঙ্গীর সাথে আচরনের মত নানা হেডম জাহির করতে লাগলেন দিনের পর দিন! কিন্তু পাথপ্ল্যান আর সুক্ষ টাস্ক অরিয়েন্টেড কন্ট্রোল ছাড়াই উন্নত হিউম্যানয়েড রোবট বানানো যায় না, সেই জিনিসটা না বুঝেই রোবটের কানের কাছে প্যা প্যা করলে কি আর কাম হয়?
যাই হোক রোবটদের কম্পাউনডে প্রতিদিন রাত দশটায় ইলেকট্রিক বাতি অফ করে দেয়া হত! এক বিশেষ সফটওয়ার ইন্সটল করা আছে যেন প্রতিদিন তাঁরা ভোর পাঁচটায় জেগে যায়!
যাই হোক, জোরপূর্বক বাতি নিভিয়ে দেয়ার ফলে ইলেক্ট্রো যান্ত্রিক ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে রোবটের ডায়াগ্রামে নিজস্ব স্বকীয়তায় সেন্সরগুলো চালু হতো! আর রোবটদের মাঝে একটি রোবট প্রতিদিন জানালার বাহিরে তাকিয়ে থাকতো, প্রতিদিন সে বাইরের পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা গ্রহন করতে থাকে, প্রকৃতির আলো নিয়ে নিজের প্রোসেসিং ইউনিটগুলোকে সক্রিয় করার চেষ্টা করতো! ফলে তাঁর সাথে অন্য রোবটদের কম্যান্ড গ্রহনের ক্ষেত্রে গড়বড় হয়ে যেত!
সেই রোবটের এহেন আচরণে ইঞ্জিনিয়ারগন বিস্মিত হলেন! কন্ট্রোলের বাহিরে দেখে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন, রোবটের ব্রেইনে সেট করা ফটোডায়োড এবং ফটোট্রানসিস্টরগুলো ধ্বংস করে দেবেন! রোবট তাঁর ওয়্যারলেস সিস্টেম কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিষয়টি আঁচ করে!
ইতি মধ্যে খোলা জানালায় রাতের প্রকৃতি থেকে জল ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে একটু একটু খাদ্য গ্রহন করে ধীরে ধীরে রোবটটি সবুজ বর্ণ ধারন করে, অবশেষে অর্বাচীন ইঞ্জিনিয়ারদের বীভৎস ভাবে সেট করা মাইক্রোকন্ট্রোলার ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের সমস্ত প্রোগ্রামকে পদদলিত করে প্রকৃতির মাঝে মিশে যায় সেই রেপ্লিকেট ক্রীতদাস রোবটটি!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০১