তুমি ফিরে এসো, বারবার,
দূর্বা ঘাসের শিশির হয়ে, ষড়ঋতুতে,
ঘাস-পাতা হয়ে, ফুলে ফুলে, পরাগে!
তুমি ভেসে বেড়িও
বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ে ঢেউয়ে,
পদ্মা মেঘনা যমুনার স্রোত হয়ে
লাখো শহীদের কবরে, অনুরাগে!
তুমি হুমায়ূন আজাদের
রক্তের স্রোতে ভেসে যেও,
ছেঁড়াদ্বীপ থেকে বাংলাবান্ধার অলি গলিতে
স্বাধীন রমণীর লাল লিপস্টিকের আঙিনায়
তুমি চুম্বন দিও!
তুমি ফিরে এসো প্রিয়,
না হয় বিরাগে!
পরমাণুর নিউক্লিয়াসের শিকল বিক্রিয়া হয়ে
ছড়িয়ে যেও,
তোমার জন্মের পরে মুক্ত আকাশ দেখা
শিশুদের নিউরনে!
ওরা তোমাকে ভালবাসবে
কারনে অকারনে,
তুমি এসে দেখে যেও,
রাষ্ট্রীয় সামাজিক ঔদাসিন্যে
ধুলোয় ডুবে যাচ্ছে
জয়নুল, কফিল, নভেরা, র’নবী’র রঙ তুলি;
ছাপ্পান্ন হাজার নয়শ আশি বর্গমাইলের ক্যানভাস!
এখনো মুক্তি সংগ্রামের সৈনিকের
চিন্তার অগোচরের হাসি
বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখায়
তুমি আসবে বলে,
আরও চেয়ে আছে
পুষ্টিহীন ১৬ কোটি অভাগী, অভাগে!
বসতের শান্তি, পরনের কাপড়, দুবেলা ভাত,
অপেক্ষায় আছে তোমার পথ চেয়ে!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮