বিভিন্ন বিষয়ে দেব-দেবীদের মধ্যে সমঝোতা-সহযোগিতা থাকলেও প্রায় সকল ঘটনায় তাদের নিজেদের মধ্যে বিরোধিতা, কলহ ছিলনিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা। তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতাও ছিল। শ্রেষ্ঠা সুন্দরীর প্রাপ্য স্বর্ণ আপেল প্রতিযোগিতায় এথিনীর প্রতিদ্বন্দী ছিল তারই বৈমাত্রেয় বোন আফ্রোদিতি এবং বিমাতা হেরা। স্বর্ণ আপেলটি প্যারিস এথিনীর হাতে না দেওয়ায় ট্রয়ের যুদ্ধে এথিনী গ্রীক পক্ষ অবলম্বন করেন।
গ্রীক মিথলজি এবং এর দেব-দেবীর প্রতি বিশ্বাষী কেউ জীবিত আছেন কিনা, তা জানিনা। তবে প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ সকল বাঁধা-বিপত্তি অতিক্রমণের উপায় খুঁজে চলেছে-দুটো উপায়ে! একদল প্রগতীর মাধ্যমে, অন্যদল আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে। এরই ধারাবাহিকতায় একদল আবিষ্কার করেছে প্রস্তর থেকে অস্ত্র এবং ব্যাবহার্য জিনিসপত্র, অন্যদল মুক্তির উপায় খুজেছে সুর্য কিংবা অগ্নি পুঁজার মাধ্যমে। প্রাচীন মানুষেরা যেখানেই, যা কিছু দ্বারাই বাঁধাপ্রাপ্ত হয়েছে তাদেরকেই শক্তিমান মনে করে তাদের কাছে মাথা নত করেছে। কালে এটাই বহুঈশ্বরবাদের দিকে মানুষকে ধাবিত করেছে। প্রাচীন সকল ধর্মই ছিল বহুঈশ্বরবাদী। বহুঈশ্বরবাদের ধারণা থেকে একেশ্বরবাদে উত্তরণের অন্যতম কারণ হলো বহুঈশ্বরবাদের দেব-দেবীদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ। স্বাভাবিকভাবেই মানুষ সেই সকল দেব-দেবীদের প্রতি আস্থাহীন হয়ে পড়ে যারা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দী (একেশ্বরবাদের বর্ণনায় বহুঈশ্বরবাদের ধারণা নাকচের ক্ষেত্রে এই উদাহরণটি বিশেষ করে দেওয়া হয়)। যার ফলে একেশ্বরবাদ আস্তে আস্তে প্রাধান্য বিস্তার করতে থাকে। সেই প্রাধান্য আজও বিদ্যমান। তবে আশার কথা মানুষ ধীরে ধীরে প্রগতীর দিকেই ধাবিত হচেছ। মানুষ এখন পৃথিবীর বাইরে অন্য গ্রহে বসতি গড়ার চিন্তা করছে যদিও কিছু মানুষ আজও আমাজন নয়, আমাদের সুন্দরবনে কাঠ কিংবা মধু সংগ্রহে যাওয়ার পূর্বে বাঘমামাকে পূঁজা করে-বাঘের থাবা থেকে বাচার জন্য!!!
মনের ভাব প্রকাশিতে
ভাষার উদয় এ জগতে
মনাতিত অধর চিনতে
ভাষা বাক্য নাহি পাবে ।।
আল্রাহ হরি ভজন পুজন
এ সকল মানুষের সৃজন
অনামক সিনায় বচন
বাগেন্দ্রিয়ে না সম্ভবে ।।
আরবি ভাষায় বলে আল্রাহ
ফারসিতে কয় খোদা তায়ালা
গড বলেছেন যিশুর চেলা
ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভাবে ।।
আপনাতে আপনি ফানা
হলে পরে যাবে জানা
সিরাজ সাঁই কয় লালন কানা
স্বরূপে রূপ দেখ সংক্ষেপে ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২৯