* পৃথিবী যদি গোলাকার হত তবে দক্ষিন আফ্রিকার জোহানেসবার্গ এবং অস্ট্রেলিয়ার পার্থের মধ্য বিমান রুট হত সোজা ইন্ডিয়ান মহাসাগরের উপর দিয়ে এবং রিফুয়েলিং স্টেশন হত মরিশাস বা মাদাগাস্কার। কিন্তু বাস্তবে এই রুটের রিফুয়েলিং স্টেশন হল দুবাই, হংকং বা মালেশিয়া। গোলাকার পৃথিবীর ক্ষেত্রে এরুপ রুট কখনোই হবার কথা নয়।এটি তখনই সম্ভব যখন সমতল পৃথীবীকে যৌক্তিক মনে করা হয়।
* গোলাকার পৃথিবীতে জোহানেসবার্গ থেকে ব্রাজিলের সাওপাওলো যাবার জন্য 25 ডিগ্রি দক্ষিন অক্ষংশে আটলান্ট্রিকের উপর দিয়েই সোজা এবং শর্ট রুট হবার কথা কিন্তু বাস্তবে 50 ডিগ্র উত্তর অক্ষাংশে লন্ডনে রিফুয়েলিং করে যা সর্ম্পর্ন অবাস্তব। কিন্তু সমতল পৃথিবীর ম্যাপের কথা চিন্তা করলেই তা বাস্তব সঙ্গত।
* একইভাবে জোহানেসবা্রগ থেকে চিলির সান্টিয়াগো যাবার জন্য দক্ষিনে মকরক্রান্তি রেখা বরাবর সহজ রুট হতে পারত কিন্তু বাস্তবে তা না হয়ে উত্তরের কর্কটক্রান্তি রেখার নিকটে সেনেগালে এসে রিফুয়েলিং করে।
* 25000 কি.মি. ব্যাসের পৃথিবীটি যদি বাস্তবেই গোলাকার হত তবে বিমান চালকদেরকে নির্দিষ্ট উচ্চতা বজায় রাখা এবং অন্য আউটার স্পেসে যাওয়া রোধ করার জন্য সর্বদাই নিম্নদিকে চালনা করতে হত।নচেৎ কোন প্রকার ব্যাতিক্রম ছাড়াই ঘন্টায় 500 মাইল গতিতে যাত্রা করলে 1 ঘন্টায় 31.5মাইল উচ্চতায় চলে যেত।
* পৃথিবী যদি গোলাকার এবং প্রতি ঘন্টায় 1000 মাইল বেগে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরতে থাকে তবে হেলকপ্টার বা হট বেলুনকে তা গন্তব্য যাবার জন্য গ্রাভিটির বিপরিদে আকাশে নির্দিষ্ট অবস্থানে স্থির থাকলেই নির্দিষ্ট স্থানে যাওয়া সম্ভব।
* পৃথিবী এবং এর সর্ম্পর্ন আবহওয়া মন্ডল যদি 1000 মাইল বেগে ঘুরতে থাকে তবে তাহলে এত দ্রুত গতিসম্পন্ন (আবর্তন গতি) রানওয়েতে উত্বর- দক্ষিন, পূর্ব- পশ্চিম মুখি বিমানের পক্ষে অবতরন করাও সম্ভব হত না।
* পানি সব সময় সমতলে অবস্থান করে এবং নিম্নদিকে গমন করে।natural physics মতে এটাই পনির বৈশিষ্ট।যদি পৃথিবী বিশালাকৃতির গোলাকার বস্তু এবং সর্বদা স্পিনিং বলের ন্যায় আবর্তন করতে থাকে তবে natural physics মতে পানির যে বৈশিষ্ট তা বাস্তবে তা বক্রতলে অবস্থান করা সম্ভব নয়।কিন্তু বাস্তবে যেহেতু পৃথিবী প্রসারীত এবং সমতল ফলে পানির এই বৈশিষ্ট যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত।
* উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব পশ্চিম বা যে দিকেই হোকনো কেন নদী সব সময় নিম্ন দিকে প্রবাহিত হয় এবং শত বা হাজার মাইল যাই সমুদ্র বা কোন হ্রদে পতিত না হওয়া পর্যন্ত তা গতি অব্যাহত রাখে।পৃথিবী যদি স্পিনিং বল এর ন্যায় হত তবে অনেক নদীকেই অসম্ভব উপায়ে উর্দ্ধমুখী প্রবাহ বজায় রাখতে হত। উদাহরণ স্বরুপ মিসিসিপি নদী তার 3000 মাইল পথ পেরিয়ে মেক্সিকো সাগরে পৌছতে হল তাকে 11 মাইল উপরে আরোহন করতে হত।
* এককভাবে পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী নীল। প্রায় 6200 কিলোমিটার গদত পথ পেরিয়ে ভ-মধ্য সাগরে পতিত হয়েছে। গোলাকার বলের ন্যায় পৃথিবী এবং এর ব্যাস যদি 25000 কিলো হয় তাহলে নীল নদকে এই গোলাকার বলের কিছু অংশ হয়তো নিম্নমুখী আবার কিছু অংশ উর্দ্ধমুখি প্রবাহিত হত। যা পানির ন্যাচারাল বৈশিষ্ট্যর সম্পূর্ন বিপরিত।
* Gabrielle Henriet তার বইতে উল্লেখ করেন যদি কোপারনিকাসের সময় ফ্লাইং বা বিমান আবিষ্কার হত তাহলে এতে কোন সন্দেহ নেই যে সে পৃথবীর আবর্তন সম্পর্কে তার যে তত্ব তা ভূল।পৃথিবী যদি কথিত 1000 মাইল বেগে ঘুরতে থাকে তবে এবং বিমানও যদি একই দিকে অর্থাৎপশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে 500 মাইল যাত্রা করে তবে এটা স্পষ্ট যে প্রতি মিনিটে পৃথিবীর আবর্তনের কারণে তার গন্তব্যস্থল দূরে সরে যাবে। ( বিমান যেহেতু গ্রাভিটির বিপরিতে নিজস্ব শক্তির মাধ্যমে চলছে সেহেতু গতি জড়তা এখানে কার্যকর নয়)অপরদিকে পৃথিবীর আবর্তনের বিপরিত দিকে যদি 1500 মাইল দূরত্বের কোন স্থানে করে তবে 3 ঘন্টার পরিবর্তে মাত্র 1 ঘন্টায়ই গন্তব্য পৌছব্।অপর দিকে 1000 মাইল তথঅ পৃথিবীর আবর্তন গতির সমমানের কোন বিমান যদি আবর্তন গতির বিপরদ দিকে যাত্রা করে তবুও 1000 মাইলের সামান্য পরিমান বেশী দূরত্বে যেতে পারে না।
* Sir James Clarke Ross আর্কটিক এবং এন্টার্টিকা অভিযান নিয়ে লেখা -“South Sea Voyages, বইতে 27 নভেম্বর 1839 সালের রাতের আকাশ পরযবেক্ষন করার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বলনে- পৃথিবী অবশ্যই গতিহীন হবে “The sky being very clear … it enabled us to observe the higher stratum of clouds to be moving in an exactly opposite direction to that of the wind”
সূত্র. নেট এবং কতিপয় বই-
1. World Beyond the Pole
2. The South Sea Voyages
3.The Hollow Earth
4. Message From the Hollow Earth
5. The Phanthom of Pole
6.200 proofs the Earth is not a spinning Ball
7. Heliocentric and geocentric earth
8. A Journey to the earth interior
9. Paradise and earth
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪