জিএমও সিড উদ্ভাবন ও সমগ্র পৃথিবীতে এর প্রাসারের জন্য জিএমও জায়ান্ট খ্যাত প্রতিষ্টান হল মনসান্টো। প্রতিদ্বন্দী বা বিরোধী যে কাউকে ধ্বংস করা এবং সমগ্র পৃথিবীর ক্ষতি ও এর অধিবাসীকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন ও এর ব্যবহার , বিশ্ব ক্যান্সার প্রসারের অগ্রদুত হিসেবে খ্যাত এবং রকফেলার পরিবারের মালিকানাধীন প্রতিষ্টান মনসান্টোকে পৃথিবীর সবচেয়ে ইভিল/অশূভ প্রতিষ্টান হিসেবে উ্ল্লেখ করা হয়। কিন্তু কে সেই মনসান্টো এবং কিভাবে তার এত প্রভাব ও শক্তি অর্জিত হল ?
১৯০১০ সালে John Francis Queeny নামে ৩০ বছরের অভিজ্ঞ ফামাসিস্ট এবং নাইট অব মাল্টা ক্লাবের সদস্য এই প্রতিষ্টান প্রতিষ্টা করে। তার স্ত্রী Olga Mendez Monsanto এর নামে প্রতিষ্টানের নামকরন। প্রাথমিক পর্যায়ে saccharin নামের কৃত্রিম সুইটনার উৎপাদন করত যা কোকাকোলাতে ব্যবহার করা হত। saccharin এর ক্ষতিকর প্রভাব এবং মানব শরিরে এর বিষক্রিয়ার প্রভাবের জন্য অমেরিকান সরকার তা বন্ধ করার জন্য মামলা করে। মামলাতে মনসান্টো জয়লাভের ফলে মনসান্টো বাধাহীনভাবে সফট ড্রিংক কোকাকেলার মাধ্যমে বিশ্বকে বিষক্রিয়াযুক্ত করতে থাকে। ২০০৩ সালের পর ইরাকের বহু হাজার বছরের ঐতিহ্য কুষি ও বীজ সংরক্ষন ব্যবস্থা ধ্বংস করে জিএমও সিড চাষ করতে বাধ্য করে।
১৯২০ সালে মনসান্টো ইন্ডািস্ট্রি ও ওষধ শিল্পে রসায়নিক প্রডাক্ট ব্যবহার করার জন্য তা প্রতিষ্ঠানের পরিসর ব্যব ক বৃদ্ধি করে। এসময় aspirin, acetylsalicyclic acid উৎপাদনে তার প্রতিষ্টান পৃথিবীর মধ্য শীর্ষস্থান লাভ করে। পৃথিবীর জন্য হুমকি ,মানব শরীরে carcinogen তৈরী, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্য দায়ী রাসায়নিক পদার্থ polychlorinated biphenyls (PCBs) উদ্ভাবন করে। polychlorinated biphenyls শিল্প কারখানায় lubricants, hydraulic fluids, cutting oils, waterproof coatings হিসেবে ব্যবহৃুত হয়। উল্লেখ্য যে এটি উদ্ভাবন এর ৫০ বছর পর এর ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় তবু এখনোও এটি পুরো বিশ্ব জুড়ে সকল প্রানী ও মানব রক্তে এর উপস্থিতি রয়েছে। মনসান্টো এর ক্ষতিকর প্রভাব জানা সত্তেও তা মানুষের কাছে গোপন রাখে।
১৯৩০ সালে ক্যামিক্যাল ব্যবসায়ী মনসান্টো প্রথমবারের মত এর hybrid seed corn এবং ডিটারজেন্ট, industrial cleaning products, synthetic rubbers and plastics উদ্ভাবন করে । এসকল কিছুই টক্সিক।
১৯৪০ সালে ম্যানহাটন প্রজেক্টে ব্যবহার করার জন্য তারা ইউরেনিয়াম এর উপর গবেষনা করে যা হিরোসীমা ও নাগাসাকিতে ব্যবহার করা হয় এবং মানব ও বিশ্বপরিবেশের জন্য মহা ধ্বংস বয়ে নিয়ে আসে। কোম্পানিটি কৃষিতে ব্যবহারের জন্য কীটনাষক উদ্ভাবনের মাধ্যমে খাবার ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থাকেও বিষাক্ত করে।
সোর্স: Click This Link
চলবে...........।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩০