ছবি: জাতিসংঘ এর মনোগ্রাম
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়েই বিশ্ব নেতাদের বিভিন্ন স্থানে কনফারেন্স এর মাধ্যমে্ চুড়ান্ত হয়ে যায় জাতিসংঘ গঠনের প্রক্রিয়া। অবশেষে ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টবর আনুষ্টানিকভাবে যাত্রা শুরু করে জাতিসংঘ। নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে রকফেলার পরিবারের দেয়া জমির উপর প্রতিষ্টিত হয় জাতিসংঘের। প্রতিষ্টার পর এর পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় রকফেলার পরিবারের মালিকানাধীন লুসিস ট্রাস্টকে। এই গ্লোবাল প্রতিষ্টানের অর্থনৈতিক বিষয়ের অঙ্গ প্রতিষ্টান হিসেবে আবিভুত হয় WORLD BANK AND INTERNATIONAL MONETERY FUND (IMF).
উল্লেখ্য এই রথচাইল্ড, রকফেলার ও তাদের মেগা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্টানই ছিল ২য় বিশ্বযুদ্ধে মিত্র শক্তির সকল প্রকার শক্তির উৎস ও যোগানদাতা। হিটলার যখন লন্ডনে বোমা ফেলছিল তখন যদি তিনি সব বাদ দিয়ে লন্ডনের Financial District এ বোমা ফেলতেন তাহলে হয়তোবা হিটলারের এত দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হত না এবং এত কোটি মানুষ বা পরিবেশ ধংস করতে হত না।। অপরদিকে হিটলারকে যুদ্ধ বিমান, বিকল্প জ্বলানী গ্যাসলিন, ট্যাংক সহ সকল প্রকার যুদ্ধ সরন্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে মিত্র পক্ষ ধ্বংস করতেন তবুও যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হত না। যাইহোক সেটি আলোচনার বিষয় না।
ছবি: বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ
আমেরিকার ওয়াশিংটনে একই স্ট্রিটে পরস্পর মুখোমুখি অবস্থান করছে WORLD BANK AND INTERNATIONAL MONETERY FUND (IMF এর সদর দফতর। প্রশ্ন কি জন্য এই মহাযুদ্ধ শেষ হতে ন হতেই মহাঅায়োজনে এসব প্রতিষ্ঠানকে জাতিসংঘের অন্তুভুক্ত করা হল?। কৌশলে পৃথবীর সকল দেশকে মানি চেন্জার ও ব্যাংকাররা ১ম বিশ্বযুদ্ধ শেষেও যুদ্ধ পরবর্তি উন্নয়ন এবং শান্তিপ্রতিষ্ঠার কথা বলে প্রতিষ্ঠা করে the Bank of International Settlements, বিশ্ব বিচারব্যবস্থার জন্য World Court in the Hague এবং সকল জাতির জন্য নর্বিাহী প্রতিষ্টান the League of Nations । কিন্তু বাস্তবে তার ২০ বছর পরই অাবার সংগঠিত হয় ২য় মহাযুদ্ধ।
WORLD BANK যুদ্ধোত্তর পৃথিবী পুনর্গঠন এবং ঋণ প্রদান ও উন্নন্য়নের প্রতিশ্রুতি দান করে এবং ঋন এর কালকর্টি এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। অপরদিকে অইএমএফ বিশ্ব বাজার ব্যবস্থা এবং মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও বিশ্ব বাণিজ্যর জন্য ব্যালান্স অব পেমেন্ট এবং ব্যালান্স অব ট্রেড সমতা করার জন্য ঋণ প্রদান করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। এবং পৃথিবীর সকল দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকিং পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রন করার দায়িত্ব দেয়া হয় মানি চেন্জার/ব্যাংকারদের মালিকানাধীন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে। ১ম বিশ্বযদ্ধের সময়ে পৃথিবীর অনেক স্বাধীন দেশই ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমের বাইরে ছিল। আর কলোনিয়াল স্টেটগুলো ছিল ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, ব্যাংক অব ফ্রন্স ও ১৯১৩ এর পর অামেরকিার ফেডারেল রিজার্ভ এর অধীন।
আইএমএফ প্রতিষ্ঠা হবার পর কারেন্সি ইস্যু করার একমাত্র ক্ষমতা দিয়ে দেয় ফেডারেল রিজার্ভকে। অর্থাৎ পৃথিবীর যে দেশই নতুন করে নোট ছাপাবে এজন্য সমপরিমান স্বর্ণ বা ডলার ফেডারেল রিজার্ব ব্যাংকে জমা রাখতে হবে। যদি স্বর্ণ বা ডলার কোনটাই না থাকে তখন আইএমএফ আপনাকে ঋণ প্রদান করবে। অথচ সে ঋণের অর্থ কিন্তু আএইমএফ এর নিজস্ব নয় বরং সদস্য দেশগুলো তাদের নোট ইস্যু করার জন্য যে স্বর্ণ বা ডলার প্রদান করে তার বিপরেদেই দিচ্ছে। অর্থাৎ নোট ইস্যু করার জন্য সমপরিমান বা তার চেয়ে বহুগুন বেশী(ঋণ গ্রহন কনরার ক্ষেত্রে) তাদেরকে দিতে হচ্ছে। (হিস্ট্রি অব মানির পূর্বের পর্বে এই বিষয়ই বেশী করে অঅলোচনা করা হয়েছে যে, যে সরকার বা দেশই তাদের এই ভয়ানক চাঁদাবাজী/অযৌক্তিক ব্যবস্থা গ্রহন করতে যায়নি সেই সরকার বা দেশকেই ব্যাংকাররা/মানি চেন্জারা/রথচাইল্ড-রকফেলাররা হত্যা করেছে।
স স্টাডি হিসেবে: বাংলাদেশের পদ্মা সেতু এবং ইন্ডিয়ার ২০১৬ সালের নোট বাতিলের বিষয়টি নিয়ে আসা হল:
বাংলাদেশ: ঠিক আজকে বাংলাদেশের জাতীয় ঋণের চিত্র:
$285 429 554 795 GDP this year (PPP)
$1 729 GDP this year per capita (annual $2 760)
$162 179 480 785 Total National Debt (Public Debt Clock)
$982 Total National Debt per capita
$8 905 500 785 National Debt this year
$1.02445 National Debt toda
সোর্স: Click This Link
বাংলাদেশের এই বিশয়ালায়তনের ঋণ হয়েছে শুধু এজন্য নয় যে সরকার উন্য়ন কর্মসূচীর জন্য বিভিন্ন সংস্থঅর কাছ থেকে ঋণ গ্রহন করছে। বরং এর একটি বড় অংশই হয়েছে। নিজ দেশের নেটা ছাপানোর জন্য সমপরিমান স্বর্ণ বা ডলার ফেডারেল রিজার্ভে জমা রাখার জন্য। অবশ্য ১ টাকা ২ টাকা নোট বা ১ থেকে ৫ টাকার কয়েন সরকার নিজেই ছাপায় এজন্য সেন্ট্রাল ব্যাংক বা ফে ডারেল রিজার্ভে কোন কিছু জমা রাখতে হয় না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের ২৫ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাপতে হয়েছে। যদি এর মধ্য ১-২টাকার নোট ও ১-৫ টাকার কয়েন এর জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বাদ দেয়া হয় এবং পুরাতন, ছেড়া-ফাটা ও অচলে নাটের জন্য বাদ দেয়া হয় ২০ হাজার কোটি তবে ১+২০= ২১ হাজার কোটি বাদে যেই ৪হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাপতে হয়েছে এজন্য সমান পরিমান স্বর্ণ বা ডলার ফেডারেল রিজার্ভে জমা রাখতৈ হয়েছে।
বাণিজ্য ঘাটতির বড় কারণ হল ডলার ছাড়া অন্য কোন ম্রদ্রায় পেমেন্ট নিষিদ্ধকরণ। বানিজ্য ঘাটতি যা আছে তা সসমতা করার জন্য কিন্তু আমদানী কারক বা রপ্তানী কারক কোন দেশেরই এমন প্রয়োজন নেই যে ঐ বছর বা সময়ের মধ্যই পেমেন্ট করতে হবে। কিন্তু ৩য় পক্ষ হিসেবে আইএমএফ এখানে একটি বড় গেম খেলছে যে তা সমতা করতে হবে এবং আইএমএফ এটি ভাল করেই জানে যে ব্যালান্স অব ট্রেড সমতা করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সকল দেশের জন্য সব সময় সথাকবে না। এই না থাকার ও ডলার ছাড়া অন্য কোন মুদ্রায় পেমেন্ট না দেবার সুযোগ নিয়ে সকল দেশকেই ঋণ নিতে বাধ্য করছে এবং সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের ধোকায় সকল দেশেকেই দেউলিয়া করার মাধ্যমে তাদের ইচ্ছামাফিক চলাতে বাধ্য হচ্ছে। সহজ শর্তে বলতে ৫০ বছরের জন্য ৪% হারে বা ২% হারে ঋণ প্রদান করল (সরকারী ঋণ বেশীর ভাগই দীর্ঘ মেয়াদী করে) ঋণ গ্রহীতা দশে দেখল এটি খুবই সহজ শর্ত ফলে তা ৫-১০বছরের জন্য পরিশোধ করার কথা ভুলে গলে এখন ২৫ বছ র পর দেখা গেল তা ১০০গুণ ও ৫০গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে সকল দেশকে ঋণের জালে আবদ্ধ করছে বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ।
ইন্ডিয়া:
Interest per Year $61,788,150,000
Interest per Second $1,959
Debt per Citizen $812
Debt as % of GDP 46.82%
GDP $2,071,500,000,000 সোর্স: Click This Link
২০১৬ সালে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল করা হল। এখন যদি মোট ১ লক্ষ কোটি রুপির নোট বাতিল হয় তার মধ্য ব্যাংকে জমা হল ৭০ হাজার কোটি বাকি ৩০ হাজার কোটি রুপি পানিতে ফেলা হয়েছে বা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এখন এই ৩০ হাজার কোটি সমমানের ডলার জমা রেখে তার পরে রুপি ছাপতে হবে। ফলে লাভবান হল ফেড. এবং অঅইএমএফ এখন বাস্তবতা কোন দিকে যায় তা দেখার বিষয়।
বিষয়টি আরো সহজ হবে লিংকের সাইটটি ভিজিট করলে: http://www.nationaldebtclocks.org/
এখানে দেখা যাবে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশই ঋনগ্রস্থ তাহলে এত ঋণ প্রদান করেছ কে বা কারা এবং এসবের মালিকই বা কারা। কিছু দেশে দেখো যাবে ঋণের পরিমান এত অথিক যে তা পরিোশাধ করা অসম্ভব অর্থাৎ উক্ত দেশ অলরেডি দেইলয়া হয়ে গেছে । কিন্তু ঋণ এর কালেকটিং এজন্টে বিশ্ব ব্যাংক ও আই এমএফ তা পরিশোধের জন্য দাবি করেনী ফলে এখনো দেউলিয়া ঘোষিত হয়নী। মূলত সকল কিছুরই মালিক হয়েছে রথচাইল্ড/রকফেলার, ডু-পন্ট,মরগান সহ হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার এবং উক্ত প্রিতষ্টিানের মালিকও এরাই। শুধূ রথচাইল্ড পরিবারেরই প্রায় ৫০০ট্রিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক যা প্রায় পৃথিবীর অর্ধেক সম্পদ। ফলে এদের কাছেই সকল দেশ ও সরকার খেলনার পুতুলের ন্যায় ভুমিকা পালন করছে। ( Click This Link)
চলবে.........................
সোর্স:১. http://www.xat.org/xat/worldbank.html
২. Click This Link
পূর্বের পর্ব:
৩য় পর্ব: Click This Link
৪র্থ পর্ব: Click This Link
5ম পর্ব: Click This Link
6 পর্ব: Click This Link
7ম পর্ব: Click This Link
8ম পর্ব: Click This Link
9ম পর্ব: Click This Link
10ম পর্ব: Click This Link
11ম পর্ব: Click This Link
12ম পর্ব: Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:০৭