ছবি: রথচাইল্ড পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা মেয়ার আমসেল বুয়ার(রথচাইল্ড)
রথচাইল্ড পরিবারেরর প্রতিষ্ঠাতা Amshall Moses Bower দেখল যে সাধারণ জনগণকে ঋণ দেয়ার চেয়ে বিভিন্ন সরকার ও রাজপরিবারকে ঋণ দেয়া বেশী সুবিধা এবং সরকারী ট্যাক্স এর মাধমে সহজে আদায়যোগ্য। মেয়ার রথচাইল্ড এই কৌশলরে সুবিধা পেয়ে জার্মানি ছাড়াও ইউোরপের অন্যদেশের দিকে নজর দেন। এজন্য তার পাঁচ ছেলেকে ইউরোপের প্রধান পাঁচটি শহর বার্লিন, লন্ডন, প্যারিস, নেপলস ও ভিয়েনাতে পাঠান সেখানে মুদ্রা বিনিময় ও ব্যাংক ব্যবসা চালু করার জন্য। গুরুত্বপূর্ন পাচটি শহরে থেকে পুরো ইউরোপের মুদ্রা বিনিময় ও ব্যাংক ব্যবসার নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেন ।
মনে করা হয় ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় পৃথিবীর সবচেয়ে সম্পদশালী ব্যাক্তি ছিলেন J.P. Morgan। কিন্ত তার মৃত্যুর পর দেখা যায় যে, তিনি ছিলেন রথচাইল্ড মানি সম্রাজ্যর কর্মচারী/প্রতিনিধি এবং J.P. Morgan কোম্পানির মোট সম্পদের মধ্য তার মালিকানা ছিল মাত্র ১৯%।
নেইল ফাগুসন তার THE HOUSE OF ROTHSCHILD, Money's Prophets বইতে উল্লেখ করেছেন - ইউরোপে Rothschild ছাড়া কোন শক্তি নাই।
THE AMERICAN REVOLUTION (1764 - 1781)
১৭০০ সালের মাঝামাঝিতে বৃটেন তার শক্তির সর্বোচ্চ পর্যায়ে আরোহন করে কিন্তু একইসাথে ব্যাপক পরিমানে ঋণগ্রস্থ হয়। ১৬৯৪ সালে Bank of England প্রতিষ্ঠার পর তেকেই বৃটেনকে ব্যায়বহু চারটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হয় যাতে ঋণের পরিমান দাড়ায় £140,000,000, পাউন্ড( যা তৎকালীন সময়ে অনেক বেশী পরিনমাণ অর্থ)। ব্যাংকের সুদ পরিশোধের জন্য বৃটিশ স রকার অমেরিকান কলোনি থেকে রেভিনিউ তথা ট্যাক্স বৃদ্ধির কর্মসূচি গ্রহন করে।
কলোনিগুলোতে কয়েন তৈরী উৎপাদন করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমান উপাদান ছিল না ফলে কলোনিগুলো নিজেরাই নিজেদের কাগজের অর্থ প্রিন্ট করতে থাকে। এটাকে কলোনিতে Colonial Script বলা হত। Colonial Script সফল বিনিময় মাধ্যম হিসেবে পরিগণিত হয় এবং কলেনিগুলো স্বকীয় পরিচয় পেতে থাকে। এটি ছিল ঋণ বিহীন কাগজের মুদ্রা যার পরিবর্তে কোন র্স্বণ বা রৌপ্য রিজার্ভ রাখা হত না।
১৭৬৩ সালে বৃটেনে ভ্রমনের সময় Benjamin Franklin কে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড তাকে প্রশ্ন করেছিল কিভাবে কলেনিতে সমৃদ্ধি আনা সম্ভব হল? ফ্রাংলিন উত্তর দিল- এটি খুবই সহজ। কলেনিতে আমারা নিজেদের অর্থ ছাপি যাকে কলেনিয়াল মানি বলা হয়। ব্যাবসা-বাণিজ্য ও পণ্য উৎপাদকের কাছ থেকে ভোক্তার কাছে সহজে সরবরাহের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় পরিমানে মানি ছাপাই। এভাবে আমরা নিজেদের টাকা ছাপিয়ে এর ক্রয় ক্ষমতা নির্ধারণ করি এবং এজন্য আামদেরকে কারো কাছে কোন প্রকার সুদ্ প্রদান করতে হয় না। (অথচ সমগ্র পৃথিবীর দেশগুলো ফেডারেল রিজাভ ব্যাংকের মাধ্যমে ছাপায় এবং সেখানে ডলার বা স্বর্ণ্ জমা রাখতৈ হয়)। এর মাধ্যমে তারা ঋণ নেয়ার প্রয়োজন থেকেও মুক্তি পায়। আর মুক্তি মানে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড তেকে মুক্তি(এখন ফেডারেল রিজার্ভ)।
কলেনির এই উন্নতি ও ঋণ এবং সুদবিহীন ব্যবস্থাকে খরাপ চোখে দেখল ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। তৎ'কালীন পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যাংক হল ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। ব্যাংক বৃটিশ সংসদে প্রভাব খাটিয়ে 1764 সালে Currency Act পাশ করে। এই আইন কলোনিকে নিজেদের অর্থ নিজে ছাপানোকে অবৈধ ঘোষনা করে এবং কলেনিকে তাদের ট্যাক্স পরিশোধের জন্য স্বর্ণ বা রোপ্য ব্যবহার করতে বলা হয়। (ঠিক যেমনটি ৯/১১ ঘটিয়ে ঐসকল দেশকেই দখল করে যারা ফেডারেল রিজার্ভের অধীন ছিল না এবং নিজের অর্থ নিজেই ছাপাতো তার মধ্য ইরাক,আফগান, লিবিয়া অলরেটি এখন ফেডারেল রিজার্ভ এর অধীন। ইরান , উত্তর কোরয়িা ,কিউবা বাহিরেই আছে)
ছবি: ১৭৬৪ সালে কিং জর্জ তৃতীয় কর্তক প্রবর্তিত Currency Act
এই কারেন্সি এক্ট পাশের পর Franklin বলেন -
এক বছরের মধ্যই অবস্থা পুরো উল্টে গেল যাতে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির যুগ শেষ হয় এবং মন্দা এমনভাবে শুরু হয় যে, কলোনির স্ট্রিট/রাস্তাগুলো বেকারে ভরে গেল। জন অসন্তোষ বাড়তে থাকল। আমেরিকার Revolutionary War এর অন্যতম কারণ ছিল কলেনির হাত থেকে অর্থ প্রিন্ট করার ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডে বা আন্জার্তিক ব্যাংকারদের হাতে স্থায়ীভাবে দিয়ে দেয়া।
ছবি: ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কর্তক সুদী নোট
"The bank hath benefit of interest on all moneys which it creates out of nothing." -- William Paterson, founder of the Bank of England in 1694
কোন কিছু ছাড়াই ব্যাং যে নোট তৈরী করে তাতে ব্যাংক এর সুদের স্বার্থ আছে। (William Paterson, founder of the Bank of England in 1694)
১৯ এপ্রিল ১৭৭৫ সালে আমেরিকার যুদ্ধ শুরু হলে তারা যে কাজটি করে তাহল নিজের অর্থ নিজেরাই প্রিন্ট শুরু করে। আকর্ষনীয় ব্যপার হল ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এর মানির পরিবর্তে Colonial Script ভাল ভাবেই চলতে লাগল। ব্যাংক অব র্্ংল্যান্ড ও বৃটিশ রকারের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাড়ায়।
ছবি: বেনজামিন ফ্রাংকলিন
Franklin এর মানি ইস্যু করার ধারণা ব্যবসা-বাণিজ্যর চাহিদা অনুপাতে পরিমাণ মত ছাপানো হল। এজন্য কোন সুদ দিতে হল না এবং তা কোন প্রকার মন্দা বা মুদ্রস্ফিতিও দেখা দিলনা। ক্নিতু ব্যাংক অবক ইংল্যান্ড তার শেয়ার হোল্ডরদের প্রফিটের জন্য অর্থ ইস্যু করে (ফেডালে রিজার্ভ)।
চলবে......................
1ম পর্ব্: Click This Link
২য় পর্ব: Click This Link
সোর্স: http://www.xat.org/xat/moneyhistory.html
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:১৫