ছবি: টালি স্টিক নস
রাজা হেনরী প্রথমবারের মত কাঠের তৈরী স্টিকে বিভিন্ন মানের মুদ্রার মান নির্দেশ করার জন্য বিশেষভাবে খচিত নস (notche) ব্যবহার করেন। স্টিককে এমনভাবে কর্তন করা হত যাতে প্রতিটি অংশেই নসের রেকর্ড থাকে। কোন প্রকার জাল-জালিয়াতি রোধের জন্য কিং এর অর্ধেক প্রমান হিসেবে নিজের কাছে রাখতেন এবং বাকিং অধেক মানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য বাজারে ছাড়তেন।
কর পরিশোধের জন্যও একমাত্র এই স্টিকের মুদ্রা গ্রহনযোগ্য ছিল। ফলে এটিকে মানি হিসে্বে গ্রহন করতে জনগণ আস্থা লাভ করতে থাকে। টালি স্টিক 726 বছর ধরে কাজ করে। সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটি সবচেয়ে সফল মুদ্রা (বিকল্প মুদ্রা)এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বাস্তবে এই টালি সিস্টেম এর উপরই গড়ে উঠেছিল। কিন্তু এটা কিভাবে হল তা সম্পর্কে সচেতন নয়।
ছবি: ব্যাংক অব ইংল্যান্ড
১৬৯৪ সালে Bank of England প্রতিষ্টা হলে তা টালি স্টিক সিস্টেমকে আক্রমন করে (কারণ টালি স্টিক ইস্যু করত রাজা নিজে সেখানে মানি চেন্জারদের কিছু করার সুযোগ ছিল না) । এ ঘটনাই টালি এর গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে সাহায্য করছে।
money changers ভাবল যে টালি স্টিক সিস্টেম আমাদের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার বাহিরে। অপরদিকে Bank of England প্রতিষ্টিত হয়েছেল ব্যাক্তি মালিকানায় শেয়ারেরর মাধ্যমে। এসকল বিনিয়োগকারীদের নাম গোপন রাখা হয় । চার্টার লাভের সময় Bank of England কে ১.২৫ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করার কথা বলা হয়। কিন্তু ১৬৯৪ সালে যখন ব্যাংটি চার্টারবদ্ধ হয় তখন মাত্র এক মিলিয়নের তিনভাগের একভাগ পাউন্ড পাওয়া যায়। ব্যাংক তখন এর রিজার্ভে যা ছিল তার চেয়ে বহুগুণ অর্থ ঋণ দান করে প্রচুর পরিমাণ সুদ আদায় করতে থাকে।
ছবি: সকল যুদ্ধই ব্যাংকারদের যুদ্ধ।
১৫০০ সালে With King Henry VIII সুদপ্রথার কঠোরতা সংক্রান্ত আইন শিথিল করলে money changers রা তাদের গচ্ছিত স্বর্ন ও রৌপ্য মুদ্রা দিয়ে বাজার ভাসিয়ে দেয় ফলে তারা স্বল্প সময়েরে মধ্য ধনী হয়ে যায়। 1642 সালের ইংলিশ বিপ্লব পরিচালিত হয় money changers দের আর্থিক সহায়তায়। Oliver Cromwell কে সহায়তা দিয়ে বিপ্লব সফল করে পার্লামেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং রাজা Charles কে হত্যা করে। ফলশ্রুতিতে পরবর্তি ৫০ বছর ধরে যুদ্ধ হয় । যারা যুদ্ধ করে তাদের ব্যায় বহন করতে হল আর যারা তাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করল সেই money changersরা লাভবান হল।
ছবি: লন্ডনে অবস্থিত ফিন্যান্সিয়াল সেন্টার
এতে তারা এত অধিক লাভবান হয় যে, লন্ডন সিটির ১ বর্গমাইল এলাকার সম্পূর্ণ প্রপার্টির মালিকানা লাভ করে। যা বর্তমানে London financial District/center নামে পরিচিত।
দীর্ঘ ৫০ বছরের যুদ্ধে ইংল্যান্ডকে অর্থিকভাবে ধ্বংস করে দেয়। সরকারি কর্মকর্তারা অর্থ ঋণের জন্য money changers দের কাছে ধর্না দিতে থাকে। ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার পর ব্যাক্তিমালিকানাদীন ব্যাংক কোন প্রকার এসেট ছাড়াই মানি তৈরী করতে থাকে। অথচ এটি জাতীয়ভাবে হওয়া উচিত ছিল অথচ তা না হয়ে ন্যাশনাল করেন্সিকে প্রাইভেট স্বার্থের জন্য দেয়া হয়। জনগণের ট্যাক্স এর বিপরিদে রাজনীতিবিদদের জন্য অর্থ ঋণ নেয়ার একটি গুরুত্বপূর্ন উৎস। এখন প্রতিটি দেশকেই ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক এর অধীনে তাদের Central Bank পরিচালনা করতে হয়।
যে কোন দেশের অর্থনীতির নিয়ন্ত্রন ও উক্ত দেশের প্রকৃত শাসনকারী শক্তিতে পরিণত হবার শক্তি রয়েছে এসকল সেন্ট্রাল ব্যাংকের । যে কোন দেশ অর্থের বিনিময়ে ব্যাংকের কাছে তাদের বন্ড বিক্রয় করে যা ট্যাক্স এর মাধমে পরিশোধ করার কথা। কোন কিছু ছাড়াই টাকা ছাপিয়ে ব্যাংক সরকারের কাছ থেকে বন্ড কিনে নেয় ।(ইউএস ছাড়া অন্য সকল দেশকে তাদের স্ব স্ব সেন্টাল ব্যাংক এর কাছে বন্ড বিক্রি করে এবং সেন্ট্রাল ব্যাংকফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে ডলার বা স্বর্ণ জমা রেখে টাকা ছাপায়)। সরকারকে ঋণের বিপরিদে সুদ প্রদান করতে হয় এবং উক্ত সুদ প্রদান করার জন্য আরো অর্থ ঋণ নিতে হয়। এবং এ টাকা পরিশোধের কোন উপায়ই থাকে না বর্ং ঋণ বাড়তেই থাকে।
যদি সরকার ঋণ সম্পূর্ন পরিশোধের ব্যবস্থা করেন তাহলে ফলাফল যেটা হবে তাহল কোন মুদ্রার সমমানের বন্ডের প্রয়োজন হত না। ঋণ পরিোশাধ করার অর্থ হল মুদ্রা ধ্বংস করা। Bank of England প্রতিষ্টার সাথে সাথে পুরাে বৃটেন অর্থের বন্যায় ভেসে যায়। পাউন্ড এর বিপরিদে সকল দ্রব্যর দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়্। অবস্থা এমন পর্যায়ে যায় যে, একটি কোম্পানি পুরো লোহিত সাগর ড্রেইন করে মুসাকে পশ্চাদ্ধাবন করার সময় সমুদ্র বন্ধ হয়ে মিশরের যে স্বর্ন হারিয়ে যায় তা উদ্ধারের ঘোষনা দেয়।
১৬৯৪ সাল থেকে ১৬৯৮ সালের মধ্য ঋণের পরিমান বেড়ে £1,250,000 থেকে £16,000,000 তে দাড়ায়। যখন অধিকাংশ জনগন অথনৈতিক মন্দায় ভোগে তখন অবশ্যই মনে করতে হবে যে কিছু সংখ্যক লোক তাতে আরো ধনি হচ্ছে। এমনকি এখনও ব্যাংক অব ইংল্যান্ড পাউন্ডের দ্রুত উত্থান-পতন রোধের কথা বলে তবুও এর প্রতিষ্টাকালীন সময় থেকে এ পর্যন্ত উত্থান-পতন রোধ করে স্থিতিশীল পর্যায়ে আনতে পারেনী।
THE ROTHSCHILDS (1743)
ছবি: রথচাইল্ড বিজনেস লোগো
Amshall Moses Bower নামে একজন স্বর্ণকার ১৯৪৩ সালে জার্মাানির ফ্রাংকফুটে কাউর্ন্টং ব্যবসা শুরু করে। সে তার ব্যবসায়িক হাউজের দরজায় লাল মিল্ডের উপর রোমান স্থাপন করে এবং জনগনকে এটিকে "Rothschild" (লাল প্রতীক/চিহ্ণ) বলতে উৎসাহিত করে। পরবর্তিতে তার সন্তান নাম পরিবর্তন করে রথচাইল্ড করে। সাধারণ জনগণকে অর্থ ঋণ দেয়ার মাধমেউ তাদের ব্যবসা চলতে থাকল। পরবর্তিতে দেখল যে গভমেন্ট বা রাজাকে ঋণ দেয়াই বেশী লাভ এবং আদায় করাও নিরাপদ। এতে ঋণের অংকও অনেক বড় এবং পাবলিক ট্যাক্স এরর মাধ্যে সহজেই আদায়যোগ্য।
চলবে ………………..
সোর্স: http://www.xat.org/xat/moneyhistory.html
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০