আমাদের পৃথিবীতে কিভাবে অর্থের আবির্ভাব ঘটল তা প্রায় এক প্রকার রহস্য ও আকর্ষনীয় ব্যাপার। সভ্যতার অন্যান্য উন্নয়নের সাথে সাথে অর্থ বা মুদ্রারও উদ্ভব হয়েছে কিন্তু তা বিভন্ন যায়গায় বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।
আমেরিকান ইন্ডিয়ানরা ব্যবহার করেছে Wampum, পশ্চিম আফ্রিকানরা ব্যবসার জন্য ব্যবহার করেছে একপ্রকার সজ্জিত মেটালিক পদার্থ্ যাকে বলা হত Manillas, ফিজিয়ানরা ব্যবহার করেছে তিমির দাঁত যা এখনো কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহার আইনসিদ্ধ। এছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন যায়গায় এম্বর, আইভরি, কোয়র্টজ সহ বিভিন্ উপাদান ব্যবহুত হয়েছে।সর্বপরি একজন ব্যাক্তির যা প্রয়োজন তা সতাতন ট্রেড সিসেটমে পুরন নাও করতে পারে।কিন্ত মানি সে সমস্যার সম্পূর্ন সমাধান দিয়ে দিয়েছে।
বাট সব কিছুই ভাল নয়:
কিন্তু ইতিহাসের রেকর্ড মতে মানি একচেন্জাররা মানি ও মানি ইস্যু কন্ট্রল করার দ্বারা সকল সরকারকে তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এর অপব্যবহার, চক্রান্ত, প্রতারণা ও সংঘর্ষ সহ সম্ভব্য সকল উপায়ই অবলম্বন করেছে। প্রেসিডেন্ট জেমস মেডিসন বলেছেন- ‘Money, money, money, it's always just been there, right? Wrong’.
সাধারণত আমরা জনি যে, আমাদের বিনিময় সুবিধার জন্য সরকার মানি ইস্যু করে। যা আরেকটি ভুল (Wrong again!)সত্য যেটা তা অধিকাংশ মানুষই জানে না যে, মানি ইস্যু করা একটি প্রাইভেট ব্যবসা এবং মানি ইস্যু করার সুবিধা গ্রহন ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ন বিবাদের বিষয়ে পরিণত হযেছে।
কে মানি ইস্যু করবে এই ইসুতে যুদ্ধ করা হযেছে এবং অর্থনৈতিক মন্দা তৈরী করা হয়েছে ।যাই হোক আমাদের অধিকাংশই এ ব্যাপারে সতর্ক নয়। এজন্য মানি ইস্যুর দ্বন্দে জয়ী পক্ষ আমদের বিশ্ব সমাজে (global society)ভইটাল এবং সম্মানিত সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে।এরাই আমাদের (বিশ্বের) শিক্ষা, মিডিয়া,এবং সরকারের উপর প্রভাব বিস্তার করছে।
মানি ম্যানিপুলেশনের মাধমে যে ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের ব্যায়ে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের মুনাফা লাভের পথ বন্ধে নিজেদের ক্ষমতাহীন মনে করছি অথচ আমরা সম্মিলিতভাবেই এ মানিকেই ভ্যালু(মুল্য) দিচ্ছি। প্রিন্টেড কাগজের টুকরোর যে স্পেশাল ভেলু আছে তা বিশ্বাস করার জন্য আমাদেরকে শিক্ষা দেয়া। কারণ আমরা জানি যে অন্য সকলেও এই বিশ্বাসই করছে।
ইতিহাসের প্রতি একটি অনেস্ট দৃষ্টি আমদেকে দেখাবে যে কিভাবে এই র্মিল বিশ্বাসকে অপব্যহার করা হযেছে (An honest look at history will show us how our innocent trust has been misused.)।চলুন আমারা আমদের অনুসন্ধান শুরু করি।
JESUS FLIPS (many coins) 33 A.D
দীর্ঘ দিন ধরে ইহুদিদেরকে তাদের মন্দির/প্রার্থনাগৃহ এর ট্যাক্স দীর্ঘ দিন ধরে half shekelshekel নামক বিশেষ এক প্রকার কয়েনের মাধ্যমে প্রদান করার কথা বলা হয়।খাটি রৌপ্যর তৈরী যাতে কোন প্রকার প্যাগান সম্রাটের ছবি ছিল না এবং পরিমাপে ছিল অর্ধ আউন্স সমান। shekelshekel ছিল একমাত্র কয়েন যা তাদের কাছে গড একসেপটেড মনে হত।
কিন্তু বাজারে এর সংখ্যা ও সরবরাহ কম হওয়ায় money changer এ সুযোগ লাগিয়ে কয়েন কিনতে থাকে। তারা এসকল মুদ্রা কিনে নেয়াতে বাজারে এর ঘাটতি দেখা দেয়ায় money changer রা কয়েনের দাম ব্যাপক পরিমান বৃদ্ধি করে।বাজার মনপলি করার মাধমৈ তারা এ থেকে প্রচুর পরিমান প্রফিট অর্জন করে।জেসাস ফিলিপ এটাকে জনগনের কাছ থেকে চুরি করে নেয়া হিসেবে দেখল এবং সম্পূর্ণ মনপলি ব্যবস্থাকে ‘"A den of thieves" বা চোরের আখড়া হিসেবে ঘোষনা করে।
যারা মানি উৎপাদন করে তাদের মানি যদি একবারের জন্য গ্রহনযোগ্য হয় তাহলে তারা এর মাধ্যমে লোন দেয়া ও এর সংক্যা ম্যানিপুলেট করতে থাকে। এরাই হল "Money Changers". ।
MEDIEVAL ENGLAND (1000 - 1100 A.D.)
ছবি: goldsmith রিসিট
এ সময় goldsmith/স্বণর্কাররা জগনকে খাটি স্বর্ন ও রৌপ্য ভল্টে রাখার অফার দেন এবং এর পরিবর্তে ডিপোজিটরদেরকে একটি রিসিট প্রদান করা হয়। কাগজের এই রিসিট শীঘ্রই ব্যবসা-বাণিজ্যর জ্ন্য জনপ্রিয়তা অর্জন করতে থাকে কারণ এটি স্বণ বা রৌপ্য মুদ্রার চেয়ে কম ভারি ও সহজে বহনযোগ্য।
ছবি: মিডিয়েভাল goldsmith
পরবর্তে দেখল যে অনেক ডিপোজিটরই তাদের স্বর্ণ নেয়ার জন্য নিদির্ষ্ট সময়ের মধ্য আসছে না। ফলে খুব চতুরভাবে স্বর্ণকাররা এমন কিছু রিসিট তৈরী করা শুরু করল বাস্তবে যার বিপরিদে কোন স্বণ বা রৌপ্য জমা রাখা নেই এবং সুদ লাভের জন্য এইসকল রিসিট দিয়ে লোন দেয়া শুরু করে।
স্বর্ণকারদের মধ্য চুক্তির মাধমে এই প্রাকটিস ব্যাংকিং পদ্ধতির মধ্য একীভুত করা হয়।এ সিস্টেমকে আরো গ্রহনযোগ্য করার জন্য ব্যাংকিং পদ্ধতিকে 'Fractional Reserve Banking' নাম প্রদান করে ।'Fractional Reserve Banking' অরথ হল ডিপোজিটের মাধমৈ যে পরিমান এসেট আছে তার চেয়ে অধিক পরিমান মানি (এসেটের চেয়ে বেশী মানি তৈরী) ধার দেয়া।
বরতমান সময়ে ব্যাংককে এসেটের বিপরিদে কমপক্ষে 10 গুণ বেশী পরিমাণ অর্থ ধার দেয়ার অনুমুতি প্রদান করা হয়।সুতরাং ভাবেন যে যেক্ষেত্রে আপনি 10% সুদ দেখেই আশ্চর্য হচ্ছেন যে তারা কত ধনী হচ্ছে সেক্ষেত্রে মুলত বছরে 11% নয় বরং 110%সুদ আদায় করছে।
চলবে ………………..
সোর্স: http://www.xat.org/xat/moneyhistory.html
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭