মেয়েটি পড়ে রয়েছে অন্ধকার ঘরে ; বিবস্ত্র । টিনের চালের ফুটো দিয়ে দু'এক চিলতে আলো এসে পরিবেশটাকে আরও অসহায় করে তুলছে । ঢাকার কোথায় টিনের ঘর থাকে , মেয়েটি তা জানেনা । তাছাড়া তলপেটে আর দুই উরুর সন্ধিস্থলের প্রচন্ড ব্যথা নিয়ে এত কিছু ভাবারও সময় নেই তার । কি করে ব্যথা কমবে , দাঁতে দাঁত চেপে শুধু সেটাই ভাবছে । কিছুক্ষন পর জ্ঞান হারালো মেয়েটি ।
- " মেয়েটিকে ১৩ নম্বর ঘরে রাখা হয়েছে বস । " __ বলল ভ্রুহীন কালো চশমা পরা লোকটি ।
- " হুম , হেভি দম আছে মেয়েটার । সাতজনের চোদা খেয়েও কেমন সয়ে গেছে দেখলি ? "
কালো চশমা উত্তরে এমন তরল কথা আশা করেনি । কারন বস গম্ভীর মানুষ । এর অর্থ বস আজ ফুর্তিতে আছেন ।
- " জিনিস গুলো রেডি রাখ , আজই পার্টিটা শেষ করতে হবে । "
বসের আদেশ পেয়ে কালো চশমা চলে গেলো । সে খুব উত্তেজিত । দারুন পার্টি হবে আজ রাতে । তার অপেক্ষায় আছে সবাই ।
লোকগুলো তাকিয়ে আছে বিশাল টিভি স্ক্রিনের দিকে । গতকাল রাতটা তাদের খুব চমৎকার কেটেছে । তেরো বছরের একটা মেয়ের উপর সাতটা পুরুষ যেই অনায়াস ভঙ্গিতে তাদের কার্য সম্পাদন করেছে , তা অনবদ্য । তার উপর মেয়েটির প্রচন্ড আর্তনাদ _ সব মিলিয়ে যেন সর্গীয় সুধা পান করছিল । আজকের পার্টিতে নাকি আরও চমক আছে ।
জ্ঞান ফেরার পর নিজেকে তীব্র আলোর নিচে আবিষ্কার করলো মেয়েটি । মাথাটা ব্যথা করছে খুব । সেই সাথে তলপেট আর যোনির ব্যথা তো রয়েছেই । দু'জন লোক এসে মেয়েটিকে ক্রুশ শেপের একটা বাঁশে বেঁধে ফেলল । আর সামনে একটা টেবিলের উপর নানা ধরনের যন্ত্রপাতি । লোক দু'টো সরে যাওয়ার পরেই বসের আগমন ঘটল ঘরে । লোকটিকে দেখেই ভীষণ চমকে উঠলো মেয়েটি ।
- " বা-বা-বাবা , তুমি ? "
আজ সকালে রামপুরা ব্রীজের নিচে একটি কিশোরীর লাশ পাওয়া গেছে । কিশোরীর হাত-পায়ের নখ সব প্লায়ার্স দিয়ে তুলে ফেলা হয়েছে । স্তনবৃন্ত কেটে ফেলা হয়েছে ধারালো ছুরি বা কাঁচি জাতীয় কিছু দিয়ে । আর লম্বা একটা রড তার যোনীতে প্রবেশ করানো হয়েছে যা তার মুখ অবদি লম্বা । পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট অনুযায়ী উপর্যুপরি ধর্ষনের পর প্রচন্ড নির্যাতন করে মারা হয়েছে মেয়েটিকে । পুলিশি রিপোর্ট অনুযায়ী একটা ম্যানিয়াক সংগঠন এই কাজগুলো করছে । কিন্তু তাদের পরিচয় সম্পর্কে পুলিশ এখনও অন্ধকারে । ধারণা করা হচ্ছে সমাজের উঁচুতলার প্রভাবশালী কিছু মানুষ এই সংগঠনের সাথে জড়িত ।